জসিম উদ্দিনঃ আজ শনিবার (২৯ জুন ) নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে শ্রমিকদের স্বার্থ সুরক্ষা, নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, নদী ভরাট ও বালু সন্ত্রাসের মূল হোতাদেও গ্রেফতারের দাবীতে মানব বন্ধন করেছে কয়েকটি পেশাজীবি, সামাজিক ও শ্রমিক সংগঠন। এ দাবীতে কালের কন্ঠের শুভসংঘের আয়োজনে মানব বন্ধনে অংশ গ্রহণ করেন গ্রাজুয়েট ফাউন্ডেশন, বিবিসি প্রেস, জাতীয় শ্রমিকলীগ, শ্রমিক কল্যাণ সংসদ, সোনারগাঁ ফাউন্ডেশন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, নদী থেকে বালু উত্তোলন, নদীতে বালু ভরাটের যারা গডফাদার তাদের সাথে প্রশাসনের সু-সম্পর্ক রয়েছে। তাই তারা লোক দেখানো অভিযান চালিয়ে নদী থেকে বালু উত্তোলন, নদী ও খাসজমি ভরাট বন্ধে মূল হোতাদের গ্রেফতার না করে অসহায় খেটে খাওয়া শ্রমিকদের আটক করে মোবাইল কোট বসিয়ে ৬মাস থেকে ১বছরের শাস্তি দিচ্ছে। ৩০০-৫০০ টাকার দৈনিক হাজিরায় কাজ করা শ্রমিকদের অনেকের বাড়ি বরিশাল, কিশোরগঞ্জ সহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। এলাকায় কাজ না থাকায় অনাহারি মানুষগুলো সন্তানদের নিয়ে একটু ভালো থাকার জন্য কাজ করতে এসে ফাঁদে পড়েন, বালু সন্ত্রাসের শ্রমিক সংগ্রহকারী দালালের খপ্পরে। ভালো থাকার আশায় তারা ড্রেজারে কাজ শুরু করেন। জেল হলে হোতারা তাদের জামিনটুকু পর্যন্ত করেন না। নানা কৌশলে তারা শ্রমিকের বসত বাড়িঘর (যদি থাকে) বিক্রি করিয়ে নিয়ে আসে।
আনন্দ বাজার সংলগ্ন মেঘনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় মূল হোতা ঈসমাইল মেম্বারের ড্রেজার থেকে ৭জন এবং চর রমযান সোনাউল্লাহ মৌজায় অবৈধভাবে নদী ভরাটের অপরাধে ভ’মিদস্যু শাহ জালালের ড্রেজার থেকে ২১জন শ্রমিককে আটক করে। ঈসমাইল মেম্বারের ৪জন শ্রমিককে ১বছর,তিন জনের ১ মাস এবং শাহ জালালের ২১জন শ্রমিককে ৬মাস কারাদন্ড প্রদান করে ভ্রাম্যমান আদালত।
যারা বালু সন্ত্রাসের সাথে জড়িত সোনারগাঁয়ের প্রতিটি মানুষ তাদের চিনে। তাদের সাথে জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সর্বস্তরের কর্মকর্তা কর্মচারিদের সাথে গভীর সম্পর্ক। এটা প্রতিটি মানুষ দেখেন, জানেন, বুঝেন কিন্তু কিছু বলতে পারেন না।আনন্দ বাজার সংলগ্ন মেঘনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় মূল হোতা ঈসমাইল মেম্বারের ড্রেজার থেকে ৭জন এবং চর রমযান সোনাউল্লাহ মৌজায় অবৈধভাবে নদী ভরাটের অপরাধে ভ’মিদস্যু শাহ জালালের ড্রেজার থেকে ২১জন শ্রমিককে আটক করে। ঈসমাইল মেম্বারের ৪জন শ্রমিককে ১বছর,তিন জনের ১ মাস এবং শাহ জালালের ২১জন শ্রমিককে ৬মাস কারাদন্ড প্রদান করে ভ্রাম্যমান আদালত।
বক্তারা মানববন্ধনে দাবী করেন, ড্রেজার শ্রমিক নয় মূল হোতাদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দিন। তাদের ব্যবহৃত ড্রেজার, বাল্কহেট আটক না করলে বালু সন্ত্রাস বন্ধ হবে না। শ্রমিকদের স্বার্থ সুরক্ষা এবং নদী রক্ষায় কঠোর শাস্তি প্রদান করার দাবী জানান।




