সোনারগাঁ মেঘনায় ট্রাকের পিছনে বাসের ধাক্কায় আহত ২০

সোনারগাঁ মেঘনায় ট্রাকের পিছনে বাসের ধাক্কায় আহত ২০


নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁ মেঘনায় হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সামনে ট্রাকের পিছনে বাসের ধাক্কায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।

শনিবার  দুপরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পিরোজপুর ইউনিয়নের মেঘনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।আহত সবাই কুমিল্লা লাকসাম থেকে ঢাকা যাচ্ছিলেন।

বাসে থাকা যাত্রী সাওন,হানিফ,পারবিন সময়ের সোনারগাঁকে জানান
শনিবার সকালে কুমিল্লা লাকসাম থেকে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী বাস (ঢাকা মেট্রো-জ-১৪-২৬৬৪) রওনা করে। পথিমধ্যে দুপরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা এলাকায় ওভারটেকিং করার সময় বাসটি মালবাহী একটি ট্রাককে স্বজোরে ধাক্কা দেয়। এতে বাসের একপাশ দুমড়েমুচড়ে যায়।  সাথে সাথে  ড্রাইভার ও হেলপার পালিয়ে জায়, ঘটনাস্থলে আহত হয় অন্তত ২০ যাত্রী  ।


খবর পেয়ে আশেপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার শেষে স্থানীয় ক্লিনিক ও হাসপাতালে পাঠায়।

সোনারগাঁয়ে রহস্যজনক ইমামকে খুন করা হয় স্বর্ণের বারের ব্যবসার টাকা ফেরত চাওয়ায়

সোনারগাঁয়ে রহস্যজনক ইমামকে খুন করা হয় স্বর্ণের বারের ব্যবসার টাকা ফেরত চাওয়ায়

হাছান খানঃ সোনারগাঁয়ে ইমাম দিদারুল খুনের ঘটনায় বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ক্লু-লেস এই হত্যাকান্ডের পুরোটাই ছিল সুপরিকল্পিত। ইতিমধ্যে পুলিশসহ একাধিক সূত্রে জানা গেছে, দিদারুল হত্যার নেপথ্যে ছিল তারই একজন বন্ধু। ওই বন্ধু অর্থ সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরেই নির্মমভাবে হত্যা করেছে ইমাম বন্ধুকে।
গত ২২ আগস্ট সোনারগাঁ মল্লিকপাড়া গ্রামের নারায়ণদিয়া বায়তুল জালাল জামে মসজিদের ইমাম দিদারুল ইসলামকে গলা কেটে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। নিহত দিদারুল খুলনার তেরখাদা থানার রাজাপুর এলাকার আফতাব ফরাজির ছেলে। এর আগে গত ২৬ জুলাই তিনি মল্লিকপাড়া গ্রামের ওই মসজিদটিতে ইমাম হিসেবে নিয়োগ পান।
হত্যাকান্ডের পর জেলা পুলিশ সুপারের (এসপি) নির্দেশে ক্লু-লেস এ মামলার তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে ইতোমধ্যে আসামিকে শনাক্ত করে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দিবাগত রাতে মাদারীপুরের শিবচর থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতাকৃতের নাম ওহিদুর রহমান (৩১)। সে খুলনার নড়াইলের কলাবাড়ীয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক (টুকু) শেখের ছেলে। ওহিদুর রহমান নিজেও মাদারীপুরের শিবচরের স্থানীয় একটি মসজিদে ইমামতি করতো।
সূত্রমতে, দিদারুলের সঙ্গে বিভিন্ন ব্যবসা সংক্রান্ত ব্যাপারে আর্থিক লেনদেন হয় বন্ধু ওহিদুরের সাথে। স্বর্ণের বার বেচা-কেনার ব্যবসাও ছিল তাঁর। স্বর্ণের বারের ব্যবসা নিয়েই ইমাম ও তার বন্ধুর মধ্যে দ্বন্দ হয়। পরে ইমাম দিদারুল ব্যবসা থেকে সরে আসতে এবং বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে দেওয়া টাকা ওহিদুরের কাছে ফেরত চায়। এতেই তাকে হত্যা করতে পরিকল্পনা সাজায় ওহিদুর।
পরিকল্পনা মতে, হত্যাকান্ডের আগের দিনও দিদারুলের সঙ্গে দেখা করে তার সঙ্গে চা খেয়ে হত্যার পরিকল্পনা সাজিয়ে যায় ঘাতক বন্ধু। পরে হত্যাকান্ডের দিন এশার নামাজের পর রাতের খাবার প্রস্তুত করার সময় দিদারুলকে কিছু নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশ্রিত খাবার খাওয়ানো হয়। এতেই দিদারুল অচেতন হয়ে পড়েন। তার সেই রাতের খাবারও হত্যাকান্ডের পর সেই অবস্থাতেই উদ্ধার করে পুলিশ।
দিদারুল অচেতন হয়ে পড়লে তাকে চাপাতি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে একটি চিরকুট লিখে ফেলে রেখে দরজায় তালা দিয়ে ঘাতক পালিয়ে যায়। এর আগে কুমিল্লায় হত্যাকারী ওহিদুর ও দিদারুল একইসঙ্গে পাশাপাশি মসজিদে ইমামতিও করেছেন। কিলিং মিশনে সেই বন্ধু একাই অংশ নেন বলেও একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। তবে এ হত্যাকান্ডে অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা তা জানতে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এদিকে আসামিকে সাথে নিয়ে ইমাম হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত সরঞ্জাম উদ্ধারে অভিযান চালিয়েছে সোনারগাঁ থানা পুলিশ।
এদিকে দিদারুলের পারিবারিক সূত্র জানায়, নিহত দিদারুল তার বন্ধুর সঙ্গে ব্যবসা করবে বলে বিনিয়োগের জন্য দুটি গবাদী পশু কিছুদিন আগে বিক্রি করে। এছাড়াও সব মিলিয়ে প্রায় তিন লাখ টাকার কাছাকাছি সে বিনিয়োগ করবে বলে পরিবারকে জানিয়েছিল।
জেলা পুলিশের একটি সূত্র জানায়, ওই টাকা থেকেই তার বন্ধুকে স্বর্ণের বারের ব্যবসায় বিনিয়োগের জন্য টাকা দেয় দিদারুল। পরে তাদের মধ্যে কোন কারণে দ্বন্দ হওয়ায় ব্যবসা থেকে সরে আসতে চায় এবং নিজের টাকাও ফেরত চায় দিদারুল। আর এতেই পরিকল্পনা করে তাকে হত্যা করা হয়।
হত্যাকান্ডের পর ফরিদপুরের দিকে গাঁ ঢাকা দেয় সে ওহিদুর। নিজের পরিচয়ও গোপন করে সে। পুলিশ তার সঠিক পরিচয় খুঁজে বের করে মাদারীপুর থেকে গ্রেফতার করে।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, মূল আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলাটির বিষয়ে এখনও তদন্ত চলছে। তদন্তের স্বার্থে বিস্তারিত জানানো যাচ্ছে না।
এদিকে এ হত্যাকান্ডের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে বুধবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করবেন জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ।

নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁয়ে মসজিদের ইমামকে গলা কেটে হত্যা

নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁয়ে মসজিদের ইমামকে গলা কেটে হত্যা


হাসান খানঃ নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের মল্লিকপাড়া এলাকার নারায়নদিয়া বায়তুল জালাল জামে মসজিদের ইমামকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২আগষ্ট) ভোরে রাতে মল্লিকপাড়া এলাকার নারায়নদিয়া বায়তুল জালাল জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ইমাম দিদারুল ইসলাম খুলনা জেলার তেরোখাদা এলাকার আফতাব ফরাজীর ছেলে।
 
পুলিশ ও এলাকাবাসীর সুত্রে জানা যায়, উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ছোট কাজীরগাঁও এলাকার মসজিদের ঈমামের রেফারেন্সে নারায়নদিয়া বায়তুল জালাল জামে মসজিদে আসেন তিনি। ঈদের পরদিন মঙ্গলবার ট্রেনিং এর কথা বলে বাইরে যায় পরে শুক্রবার জুমার নামাজ পড়ান তিনি । এরপর আবার ট্রেনিং এ চলে যান পরে আবার মঙ্গলবার আসরের নামাজ পড়ান তবে তিনি বেশিদিন হয়নি আমাদের মসজিদে এসেছেন। নারায়নদিয়া বায়তুল জালাল জামে মসজিদের ইমামকে কে বা কারা গলা কেটে হত্যা করে মসজিদের হুজরাখানায় ফেলে যায়।

এব্যাপারে সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, নারায়নদিয়া বায়তুল জালাল জামে মসজিদের ইমামের লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে । তবে কি কারনে কে বা কারা হত্যা করেছে তা এখনো জানা যায়নি তবে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

সোনারগাঁও মোঘল সম্রাট ঈশা খাঁ’র রাজধানী সামান্য বৃষ্টিতেই পাকা রাস্তায় জলাবদ্ধতা পর্যটকদের চরম ভোগান্তি

সোনারগাঁও মোঘল সম্রাট ঈশা খাঁ’র রাজধানী সামান্য বৃষ্টিতেই পাকা রাস্তায় জলাবদ্ধতা পর্যটকদের চরম ভোগান্তি
জসিম উদ্দিন {রাজিব}
নারায়ণগঞ্জ জেলার অন্তর্গত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মোগড়াপাড়া ক্রসিং থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার উত্তরে সোনারগাঁও অবস্থিত। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য়ের নান্দনিক ও নৈসর্গিক পরিবেশে ঘেরা বাংলার প্রাচীন রাজধানী সোনারগাঁও।
ধারণামতে বারো ভূঁইয়া প্রধান ঈশা খাঁ’র স্ত্রী সোনাবিবি’র নামানুসারে সোনারগাঁও নামকরণ করা হয়।
ঈশা খাঁ ও তাঁর বংশধরদের শাসনামলে সোনারগাঁও ছিল পূর্ববঙ্গের রাজধানী। সোনারগাঁও-এর আরেকটি নাম ছিল পানাম।
 
সোনারগাঁয়ে এই পর্যটন নগরী পানাম ও বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন সড়কের বিভিন্ন জায়গায় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কের বেহাল দশার কারনে ঐতিহ্যের শিকড় সন্ধানে আসা শতশত পর্যটক ও স্থানীয় এলাকাবাসীর চলাচলে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এ সড়কটি মেরামত করা হলেও কিছুদিনের মধ্যেই রাস্তায় গর্তের সৃষ্টি হয়। তাই এ সড়কটি পূণঃসংস্কারের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী।
 
বাংলাদশ সড়ক ও জনপদের (সওজ) তথ্য মতে, সোনারগা৭ও পৌরসভার চিলারবাগ থেকে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন পর্যন্ত সড়কটি সওজের অধীন। গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি দীর্ঘদিন যাবত সংস্কার না করায় চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়লে এলাকাবাসীর আন্দোলন ও বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প কর্তৃপক্ষের লিখিত আবেদনের পর ৫ মাস আগে সওজের প্রধান কার্যালয় থেকে অর্থ বরাদ্ধ দিয়ে সড়কটি দ্রুত মেরামত করার জন্য নারায়ণগঞ্জ সড়ক বিভাগকে নির্দেশ দেয়া হয়। পরে ওয়েষ্টার্ন কন্সট্রাকশন এন্ড শিপ বিল্ডার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দরপত্রের মাধ্যমে মেরামতের কার্যাদেশ পেয়ে অল্পকিছু জায়গায় নিম্নমানের ইট সুরকি দিয়ে কাজ সম্পন্ন করে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করনে।
 
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনে ঘুরতে আসা পর্যটক ও পৌরসভার কয়েকটি ওয়ার্ড, সনমান্দী, বৈদ্যের বাজার ও বারদীর লোকজনের চলাচলের একমাত্র সড়ক এটি। সামন্য বৃষ্টি হলেই হাটু সমান পানি জমে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত থাকায় ধীরগতিতে যানবাহন চলছে এতে ব্যস্ততম এ সড়কটিতে প্রতিদিন যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

স্থানীয় এলাকাবাসী মাসুদ,হানিফ,রবিন,মামুন ও শিপন হোসেন বলেন, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে পাঁচমাস আগে সড়কটি মেরামতের দুইমাস পরেই ভেঙ্গে যায়। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির পানি জমে সড়কে গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে।
 
এ ব্যপারে সোনারগাঁ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক রবিউল হোসাইন প্রতিদিনের কাগজ প্রতিনিধিকে বলেন, সোনারগাঁয়ের গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ অতিদ্রুত সংস্কার করা অতীব জরুরি। ১৩ জুলাই শুক্রবার বাংলাদেশে দেশে সফররত ওআইসির ৫০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন ও পানাম নগরী পরিদর্শন করতে এসে এ রাস্তার কারনে দূভোর্গে পড়েন। এ রাস্তাটির কারনে প্রতিদিন বিদেশী ও দেশী পর্যটকদের কাছে সোনারগাঁয়ের ঐতিহ্যগত ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে।
 
নারায়ণগঞ্জ সড়ক বিভাগের উপ সহকারী প্রকৌশলী মতিয়ার রহমান বলেন, সড়কটিতে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির পানি জমাট সৃষ্টি হচ্ছে। সড়কটি দ্রুত সংস্কার করতে উর্ধ্বতন কর্র্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।