পূবাইলে ঘরে ঢুকে স্বামী-স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা

পূবাইলে ঘরে ঢুকে স্বামী-স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা

জাহিদ হাসান জিহাদ।। গাজীপুরের পূবাইলে স্বামী ও স্ত্রীকে ঘরে ঢুকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে পূবাইল মেট্রো থানার ৪১নং ওয়ার্ডের বসুগাঁও পূর্বপাড়া এলাকা থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহতরা হলেন- আবুল কালাম (৩৯) ও তার স্ত্রী পুতুল বেগম (২৫)। তাদের বাড়ি একই এলাকায়। ওই দম্পতির সাফোয়ান নামে দুই বছরের একটি ছেলে রয়েছে।

পূবাইল থানার এসআই মাসুদ জানান, বুধবার দিবাগত রাতে পূবাইল মেট্রো থানার ৪১নং ওয়ার্ডের বসুগাঁও পূর্বপাড়া এলাকায় ঘরে ঢুকে দুর্বৃত্তরা স্বামী ও স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করে। নিহতদের মরদেহের পাশে মরিচের গুঁড়া পাওয়া গেছে।

পূবাইল থানার ওসি নাজমুল হক ভূঁইয়া জানান, ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আশা করি খুব দ্রুত হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনসহ খুনি ধরা পড়বে।f

সংগঠন কে শক্তিশালী করতে নিজ পরিবারকে ঠিকমতো সময় দিতে পারিনা কাজী আনিস

সংগঠন কে শক্তিশালী করতে নিজ পরিবারকে ঠিকমতো  সময় দিতে পারিনা কাজী আনিস

স্টাফ রিপোর্টার।।নেতা হওয়া চট্টিখানি কথা নয়। এর পেছনে থাকে ঘাম ঝড়ানো পরিশ্রম। থাকে কর্মীদের প্রতি নি:স্বার্থ ভালোবাসা। সেই পরিশ্রম এবং ভালোবাসা দিয়ে যিনি কর্মীবান্ধব নেতা-তিনি কাজি আনিসুর রহমান। বলা যায়-যুবলীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের হাড়ির খবরও যার নখদর্পনে,তিনিই কাজি আনিসুর রহমান। অবশ্য, একদিনেই তিনি এই স্থানটিতে উঠে আসেননি। এর জন্য ত্যাগ-তিতিক্ষা ছিল অবর্ণনীয়। মেধা আর কাজের সমন্বয় ঘটিয়ে মন জয় করে নেন সকলের। হয়ে উঠেন সংগঠনের মধ্যমনি।
যুবলীগের সাংগঠনিক কর্মসূচীর ফাইলপত্র, প্রচার বিভাগের যাবতীয় কাজ, কর্মীদের যাবতীয় তথ্য সংরক্ষণসহ তৃণমূল পর্যায়ে কর্মীদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করাই ছিল কাজি আনিসের সার্বক্ষণিক দায়িত্ব। মূলত এই কারণেই তৃণমুলে সংগঠনের ভিত হয়ে উঠে বেশ শক্তিশালী। ফলে সংগঠনের চেয়ারম্যান কাজপাগল ওমর ফারুক চৌধুরীর নেক নজরেও আসতে থাকেন তিনি। আর এভাবেই স্বীয় যোগ্যতা প্রদর্শনপূর্বক তিনি স্থান পান যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে। বর্তমানে যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক তিনি।
রাতদিন দাপ্তরিক কাজ নিয়ে ব্যস্থ থাকা কাজি আনিস নিজ পরিবারে সময় দিতে না পারলেও সংগঠনকেই নিজের পরিবার মনে করতেন-এমন কথা যুবলীগ কর্মীদের মুখে মুখে। কাজী আনিসুরের এইসকল গুনই একটা সময়ে কাল হয়ে দাঁড়ায়। ফলে একটি চক্র কাজী আনিস এবং যুবলীগ ঘায়েলের ষড়যন্ত্রে মেতে উঠে। বিশেষ করে সারাদেশে যুবলীগ যখন কাউন্সিলদের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে সম্মেলন করে আসছে-সেই সময়ই থেকেই শুরু হয় ঐ চক্রের নানমুখী তৎপরতা। এমনকি খোদ প্রধানমন্ত্রী যখন বিভিন্ন সভাসমাবেশ এবং দলীয় সভায় যুবলীগকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন, তখন থেকেই গাত্রদাহ শুরু হয় ঐ চক্রের।
এ ব্যাপারে রাজশাহী জেলা যুবলীগ নেতা শাহ জামাল জানিয়েছে- সারাদেশে যুবলীগকে চাঙ্গা করতে চেয়ারম্যান-সম্পাদকের পরেই দপ্তর সম্পাদক আনিসুর রহমান কাজ করে গেছেন। যেখানেই যা প্রয়োজন, আনিসুর রহমান তা করে যাচ্ছেন। সারা দেশে যুবলীগকে এগিয়ে নিতে তাঁর চেষ্টার কোন কমতি নেই। নেতাকর্মীদের মধে ঐক্য গড়া, তাদের কে সাংগঠনিকভাবে পাকাপুক্ত করতে তিনি তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছেন।

সুনামগঞ্জ জেলা যুবলীগ নেতা পাভেল আহমদ জানিয়েছেন- সুনামগঞ্জের পদবীধারী নেতা থেকে তৃণমূলের কর্মী পর্যন্ত আনিসুর রহমানের সাথে রয়েছে গভীর সম্পর্ক। কর্মীদের কিভাবে যোগ্যতাসম্পন্ন করে গড়ে তুলতে হয় তা তিনি ভালো করেই যানেন।
যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা আসাদুজ্জামান বলেন, রাজধানীতে চলা ক্যাসিনো থেকে সকল দলের নেতাই ভাগ বসাতেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো- তাহলে যুবলীগ কেনো হঠাৎ করে আলোচনায় আসলো? বিষয়টা সত্যিই রহস্যের। তিনি বলেন, যারা এতদিন টাকা খেয়ে নেশায় বুদ ছিলেন, মূলত সেই চক্রের দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সামনে নিয়ে আসা হলো যুবলীগকে। প্রধানমন্ত্রীর শুদ্ধি অভিযান নতুন বিষয় নয়, উল্লেখ করে তিনি বলেন এরই ধারাবাহিকতায় যুবলীগেরও পথ চলা। কিন্তু যুবলীগের শুদ্ধতায় পথ চলায় বাধা হয়ে দাঁড়ায় একটি পক্ষ। তারা প্রধানমন্ত্রীর নেক নজর থেকে যুবলীগকে সরিয়ে ফেলতে চায়-বলেই চলছে ধারাবহিক প্রচারণা।
সিলেট জেলা যুবলীগ নেতা মাসুম আহমদ একটি ছড়া কেটে বলেন, ‘ও ভাই কানা, আমার জানা, তুমি ছিলে কি ? ঘি যখন পাওনি খেতে, বলছো এখন ছি’। তিনি বলেন, ‘কেটে যাবে ঘণ ঘোর, রাত শেষে আসে ভোর’। যুবলীগ চক্রান্তের শিকার-এমন বিষয় নিশ্চিত করে তিনি বলেন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের বাড়ি ঘিরে রেখেছে র‌্যাব-এমন গুজব ছড়ানো শেষ না হতেই সিলেটে আমাদের মহানগর সভাপতি আলম খান মুক্তির নিকট কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের নাম দিয়ে একটি ফেইক আইডি থেকে চাঁদা চাওয়া হয়। শুধু এখানেই শেষ নয়-চাঁদার জন্য একটি বিকাশ নাম্বার পাঠিয়ে দ্রুত টাকা প্রেরণের তাগিদও প্রদান করা হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সংগঠনের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমানের ব্যক্তিগত সেল ফোনে একাধিকবার ফোন করলেও মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় মন্তব্য আদায় করা সম্ভব হয়নি।

কাজী আনিস একজন দায়িত্বশীল কর্মী বান্ধব নেতা

কাজী আনিস একজন দায়িত্বশীল কর্মী বান্ধব নেতা


স্টাফ রিপোর্টার।।নেতা হওয়া চট্টিখানি কথা নয়। এর পেছনে থাকে ঘাম ঝড়ানো পরিশ্রম। থাকে কর্মীদের প্রতি নি:স্বার্থ ভালোবাসা। সেই পরিশ্রম এবং ভালোবাসা দিয়ে যিনি কর্মীবান্ধব নেতা-তিনি কাজি আনিসুর রহমান। বলা যায়-যুবলীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের হাড়ির খবরও যার নখদর্পনে,তিনিই কাজি আনিসুর রহমান। অবশ্য, একদিনেই তিনি এই স্থানটিতে উঠে আসেননি। এর জন্য ত্যাগ-তিতিক্ষা ছিল অবর্ণনীয়। মেধা আর কাজের সমন্বয় ঘটিয়ে মন জয় করে নেন সকলের। হয়ে উঠেন সংগঠনের মধ্যমনি।
যুবলীগের সাংগঠনিক কর্মসূচীর ফাইলপত্র, প্রচার বিভাগের যাবতীয় কাজ, কর্মীদের যাবতীয় তথ্য সংরক্ষণসহ তৃণমূল পর্যায়ে কর্মীদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করাই ছিল কাজি আনিসের সার্বক্ষণিক দায়িত্ব। মূলত এই কারণেই তৃণমুলে সংগঠনের ভিত হয়ে উঠে বেশ শক্তিশালী। ফলে সংগঠনের চেয়ারম্যান কাজপাগল ওমর ফারুক চৌধুরীর নেক নজরেও আসতে থাকেন তিনি। আর এভাবেই স্বীয় যোগ্যতা প্রদর্শনপূর্বক তিনি স্থান পান যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে। বর্তমানে যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক তিনি।
রাতদিন দাপ্তরিক কাজ নিয়ে ব্যস্থ থাকা কাজি আনিস নিজ পরিবারে সময় দিতে না পারলেও সংগঠনকেই নিজের পরিবার মনে করতেন-এমন কথা যুবলীগ কর্মীদের মুখে মুখে। কাজী আনিসুরের এইসকল গুনই একটা সময়ে কাল হয়ে দাঁড়ায়। ফলে একটি চক্র কাজী আনিস এবং যুবলীগ ঘায়েলের ষড়যন্ত্রে মেতে উঠে। বিশেষ করে সারাদেশে যুবলীগ যখন কাউন্সিলদের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে সম্মেলন করে আসছে-সেই সময়ই থেকেই শুরু হয় ঐ চক্রের নানমুখী তৎপরতা। এমনকি খোদ প্রধানমন্ত্রী যখন বিভিন্ন সভাসমাবেশ এবং দলীয় সভায় যুবলীগকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন, তখন থেকেই গাত্রদাহ শুরু হয় ঐ চক্রের।
এ ব্যাপারে রাজশাহী জেলা যুবলীগ নেতা শাহ জামাল জানিয়েছে- সারাদেশে যুবলীগকে চাঙ্গা করতে চেয়ারম্যান-সম্পাদকের পরেই দপ্তর সম্পাদক আনিসুর রহমান কাজ করে গেছেন। যেখানেই যা প্রয়োজন, আনিসুর রহমান তা করে যাচ্ছেন। সারা দেশে যুবলীগকে এগিয়ে নিতে তাঁর চেষ্টার কোন কমতি নেই। নেতাকর্মীদের মধে ঐক্য গড়া, তাদের কে সাংগঠনিকভাবে পাকাপুক্ত করতে তিনি তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছেন।

সুনামগঞ্জ জেলা যুবলীগ নেতা পাভেল আহমদ জানিয়েছেন- সুনামগঞ্জের পদবীধারী নেতা থেকে তৃণমূলের কর্মী পর্যন্ত আনিসুর রহমানের সাথে রয়েছে গভীর সম্পর্ক। কর্মীদের কিভাবে যোগ্যতাসম্পন্ন করে গড়ে তুলতে হয় তা তিনি ভালো করেই যানেন।
যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা আসাদুজ্জামান বলেন, রাজধানীতে চলা ক্যাসিনো থেকে সকল দলের নেতাই ভাগ বসাতেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো- তাহলে যুবলীগ কেনো হঠাৎ করে আলোচনায় আসলো? বিষয়টা সত্যিই রহস্যের। তিনি বলেন, যারা এতদিন টাকা খেয়ে নেশায় বুদ ছিলেন, মূলত সেই চক্রের দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সামনে নিয়ে আসা হলো যুবলীগকে। প্রধানমন্ত্রীর শুদ্ধি অভিযান নতুন বিষয় নয়, উল্লেখ করে তিনি বলেন এরই ধারাবাহিকতায় যুবলীগেরও পথ চলা। কিন্তু যুবলীগের শুদ্ধতায় পথ চলায় বাধা হয়ে দাঁড়ায় একটি পক্ষ। তারা প্রধানমন্ত্রীর নেক নজর থেকে যুবলীগকে সরিয়ে ফেলতে চায়-বলেই চলছে ধারাবহিক প্রচারণা।
সিলেট জেলা যুবলীগ নেতা মাসুম আহমদ একটি ছড়া কেটে বলেন, ‘ও ভাই কানা, আমার জানা, তুমি ছিলে কি ? ঘি যখন পাওনি খেতে, বলছো এখন ছি’। তিনি বলেন, ‘কেটে যাবে ঘণ ঘোর, রাত শেষে আসে ভোর’। যুবলীগ চক্রান্তের শিকার-এমন বিষয় নিশ্চিত করে তিনি বলেন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের বাড়ি ঘিরে রেখেছে র‌্যাব-এমন গুজব ছড়ানো শেষ না হতেই সিলেটে আমাদের মহানগর সভাপতি আলম খান মুক্তির নিকট কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের নাম দিয়ে একটি ফেইক আইডি থেকে চাঁদা চাওয়া হয়। শুধু এখানেই শেষ নয়-চাঁদার জন্য একটি বিকাশ নাম্বার পাঠিয়ে দ্রুত টাকা প্রেরণের তাগিদও প্রদান করা হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সংগঠনের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমানের ব্যক্তিগত সেল ফোনে একাধিকবার ফোন করলেও মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় মন্তব্য আদায় করা সম্ভব হয়নি।

গাজীপুর সদর উপজেলার পিরুজালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ভাংচুর

গাজীপুর সদর উপজেলার  পিরুজালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ভাংচুর
 
স্টাফ রিপোর্টারঃগাজীপুর সদর উপজেলার পিরুজালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন বন্ধের জন্য উক্ত বিদ্যালয়ে হামলা চালিয়ে বহিরাগত সন্রাসী আজ দুপুরে বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের অফিস রুম ভাংচুর ও প্রধান শিক্ষককে হত্যার হুমকি প্রধান করেছে বলে জানা গেছে
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবু সুবোধ চন্দ্র দাস জানান আমার বিদ্যালয়ে আগামী ১৫ তারিখ ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনের দিন নিরধারন করা হয়েছে  উক্ত নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল আজ তারিই ধারাবাহিকতায় আজ দুপুরে রাজেন্দ্র পুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক নজরুল ইসলাম বি এস সি,  আওয়ামীলীগ নেতা বানাজ উদ্দিন, যুবদল নেতা রাশেল শিকদার, যুবলীগ নেতা খোরশেদ, মজিবুর রহমান শিকদার, ও রুবেল সহ ৩০/৪০ জন বহিরাগত লোক নিয়ে সন্রাসী কায়দায় আমার অফিসে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে উক্ত ভাংচুর কাজে বাধা প্রদান করতে গেলে উল্লেখিত লোকজনেরা আমাকে হত্যার হুমকি প্রদান করে
এবং বলতে থাকে এই বি্দ্যালয়ে কোন নির্বাচন হবেনা নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া হোক  তা না হলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে
এদিকে এক শিক্ষক জানান গাজীপুর ৩ আসনের সাবেক এমপি এ্যাডভোকেট রহমত আলী  সাহেব বিদ্যালয়ে একটি ভবন দেন উক্ত ভবনের কাজ চলছিল উল্লেখিত লোকজনের লেলিয়ে দেওয়া সন্রাসী বাহিনীরা আজ সব কাজ বন্ধ করে দিয়ে চলে যায়
উক্ত ঘটনার পর উক্ত এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে যে কোন সময় বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা বিরাজ করছে  বিষয়টির প্রতি গাজীপুর জেলা প্রশাসনের নজর দাবী করেছে এলাকাবাসী।
এদিকে উক্ত ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাংবাদিকদের জানান

যুবদল নেতা ক্ষমতার পরিবর্তনে আওয়ামীলীগ নেতা জি কে শামীম নগদ টাকা আগ্নেয়াস্ত্র ও মাদক সহ আটক

যুবদল নেতা ক্ষমতার পরিবর্তনে আওয়ামীলীগ নেতা জি কে শামীম নগদ টাকা আগ্নেয়াস্ত্র ও মাদক সহ আটক

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর নিকেতনে নিজ ব্যবসায়িক কার্যালয় ‘জি কে বিল্ডার্সে’ অভিযান চালিয়ে নামধারী যুবলীগ নেতা জি কে শামীমকে আটক করেছে র‌্যাব। এ সময় সেখান থেকে নগদ প্রায় ১০ কোটি টাকাসহ ২০০ কোটি টাকার এফডিআর ডকুমেন্টসহ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্রসহ বিদেশি মদও জব্দ করা হয়।

শামীমের সঙ্গে থাকা তার ৬ জন দেহরক্ষীকেও আগ্নেয়াস্ত্রসহ আটক করা হয়েছে।
জি কে শামীম যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক বলে লোকমুখে শোনা গেলেও যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর দাবি, শামীম যুবলীগের কেউ নয়। তিনি বলেন, (শামীমের) সঙ্গে যুবলীগের কোনো সম্পর্ক নেই।

বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকাকালে শামীম ছিলেন ঢাকা মহানগর যুবদলের সহসম্পাদক এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রভাবশালী নেতা ও সাবেক গণপূর্ত মন্ত্রী মির্জা আব্বাসের খুবই ঘনিষ্ঠ ক্যাডার। সেই জি কে শামীম এখন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।
জি কে শামীম রাজধানীর সবুজবাগ, বাসাবো, মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রভাবশালী ঠিকাদার হিসেবেই পরিচিত। গণপূর্ত ভবনের বেশির ভাগ ঠিকাদারি কাজই জি কে শামীম নিয়ন্ত্রণ করেন। বিএনপি-জামায়াত শাসনামলেও গণপূর্তে এই শামীমই ছিলেন ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণকারী ব্যক্তি।
একসময়ের যুবদল নেতা ক্ষমতার পরিবর্তনে হয়ে যান নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের প্রস্থাবিত সহ-
 সভাপতি জি কে শামীম।

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার সন্মানদী ইউনিয়নের দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত মো. আফসার উদ্দিন মাস্টারের ছেলে তিনি। আফসার উদ্দিন মাস্টার ছিলেন হরিহরদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তিন ছেলের মধ্যে জি কে শামীম মেজো।

বিএনপি-জামায়াত-শিবির ছেড়ে আওয়ামীলীগে আসা হাইব্রিডরা টাকা দিয়ে কমিটি কিনে এনে প্রকৃত আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের নির্যাতন-নিপীড়ন চালাচ্ছে। এতে প্রকৃত আওয়ামীলীগ নেতারা যাতাকলে পড়ে ক্ষোভে নীরব ভুমিকা পালন করছে।এমনটাই বললেন ছাত্রলীগ নেতা খন্দকার রনি , সুজুন, মেহেদী, হাসনাত,শুভ, জাহিদ ও শামিম ।

এবং অনুপ্রবেশ কারী, হাইব্রিড নেতাদের হাত ধরে সাথে যারা থাকে তাদেরও বেবস্থা নেয়া উচিৎ।
এখনও সময় আছে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে দলের ত্যাগি নেতাকর্মীদের বঞ্চিত করে বিএনপি-জামাত-শিবির থেকে আসা হাইব্রিডদের পদ দিয়ে কমিটি দেয়া বন্ধ করতে হবে

বাংলাদেশের গন্তব্য কোথায় হবে এবং কোন ধরনের বাংলাদেশ হবে সেটির পূর্ণাঙ্গ চিত্রটি ২০১৯ সালেই পরিষ্কার হয়ে যাবে। সঙ্গে সঙ্গে বিএনপি-আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে অনুপ্রবেশকারী, হাইব্রিড ও সেলফিবাজদের ভূমিকা কী হবে না হবে সেটিও স্পষ্ট হয়ে উঠবে।

টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজির সুনির্দিষ্ট অভিযোগে তাকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

ময়মনসিংহে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মাদক ব্যবসায়ী রুবেল মিয়া নিহত

ময়মনসিংহে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মাদক ব্যবসায়ী রুবেল মিয়া নিহত

জাহিদ হাসান জিহাদঃ ময়মনসিংহের ভালুকায় পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ রুবেল মিয়া নামে একজন নিহত হয়। শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার হবিরবাড়ি-জামিরদিয়া সড়কের তারা মিয়ার বাড়ির পাশে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশের দাবি, নিহত রুবেল মিয়া (৩১) মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে মাদকের পাঁচটিসহ মোট ৭টি মামলা রয়েছে।

নিহত রুবেল মিয়া উপজেলার জমিরদিয়া গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে।
ডিবি ওসি শাহ কামাল আকন্দ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাত সোয়া ২টার দিকে ভালুকা উপজেলার দক্ষিণ হবিরবাডীর পাকা রাস্তার পশ্চিম পাশে একটি সংঘবদ্ধ দল মাদক ক্রয়-
 বিক্রয় করার সময় ডিবির দুটি টিম সেখানে অভিযানে যায়।

পুলিশের উপস্থিতি টের মপেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়লে পুলিশও আত্মরক্ষার্থে ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এক পর্যায়ে মাদক ব্যবসায়ীরা গুলি করতে করতে পালিয়ে যায়।
এসময় তাদের গুলিতে এক পুলিশ সদস্য আহত হয়। এরপর ঘটনাস্থলে রুবেলকে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ভালুকা থানা পুলিশের সহায়তায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক রুবেলকে মৃত ঘেষণা করেন।

রুবেলের কাছে থেকে ২০০পিস ইয়াবা এবং ১০০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয় বলে জানান তিনি।

সোনারগাঁওয়ে পিরোজপুর ইউনিয়নে র‌্যাবের অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

সোনারগাঁওয়ে পিরোজপুর ইউনিয়নে র‌্যাবের অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
হাসান খানঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে এক মাদক কারবারিকে আটক করেছে র‌্যাব-১১। ১৩ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) রাত আড়াইটায় র‌্যাবের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে আবু কাইয়ুম (৩৩) নাম মাদক ব্যবসায়ীকে ৭৩০পিছ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার করে।
র‌্যাব-১১,স্কোয়াড কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের ঝাউচর গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে মহিউদ্দিনের ছেলে কাইয়ুমকে ৭৩০পিছ ইয়াবাসহ গ্রেফতার করেছে র‌্যাবের সদস্যরা।
কাউয়ুমের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে কাভার্ডভ্যানসহ চোরাই সেগুন কাঠ উদ্ধার

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে কাভার্ডভ্যানসহ চোরাই সেগুন কাঠ উদ্ধার

হাসান খানঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে কাভার্ডভ্যানসহ প্রায় দশ লাখ টাকার চোরাই কাঠ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ ভোরে ঢাকাস্থ কাজী পাড়া হতে কাঠ উদ্ধার করে সোনারগাঁয়ের চেক স্টেশনে সরকারি হেফাজতে রাখা হয়েছে।

সোনারগাঁ উপজেলার স্টেশন অফিসার (ফরেস্ট রেঞ্জার) জহুরল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সামাজিক বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা ড. মো. জাহিদুর রহমান মিয়ার নির্দেশে সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান ও সোনারগাঁ চেক স্টেশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের অভিযানে মিরপুর কাজীপাড়া থেকে একটি কাভার্ডভ্যান (চট্ট মেট্রো-ট ১১-৮৭৬৪) সহ প্রায় সাড়ে চারশ ঘনফুট সেগুন কাঠ উদ্ধার হয়। এ সময় গাড়ির ড্রাইভার ও চোরাই কাজে জড়িত কাউকে পাওয়া যায়নি।

উদ্ধার করা কাঠ জব্দ করে সোনারগাঁয়ের চেক স্টেশনে সরকারি হেফাজতে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় বন আইনে বিভাগীয়ভাবে মামলা করা হবে বলে জানান ফরেস্ট রেঞ্জার জহুরল ইসলাম।

গাজীপুর মহানগরের বাইমাইল এলাকার ফজলু অপহরন মামলার আসামী কথিত যুবলীগ নেতা দিপু গ্রেফতার

গাজীপুর মহানগরের বাইমাইল এলাকার ফজলু অপহরন মামলার আসামী কথিত যুবলীগ নেতা দিপু গ্রেফতার

জাহিদ হাসান জিহাদঃ  গাজীপুরে আলোচিত ফজলু অপহরন ও নিখোজ হওয়ার দেড় বছর পর এই  মামলার এজাহার নামীয় ১ নং আসামি কথিত যুবলীগ নেতা শাহিনুর রহমান দিপু (২৯)কে গাজীপুর সি আই ডি পুলিশ গ্রেফতার করেছে। গাজীপুর সি আই ডি পুলিশের এস আই আজাদ গোপন সংবাদের ভিওিতে খবর পেয়ে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের গেটের সামনে থেকে দিপুকে গ্রেফতার করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস এই আজাদ জানান, গ্রেফতারকৃত শাহিনুর রহমান দিপু এই মামলার এজাহার নামীয় আসামী এবং সে  সোমবার  গাজীপুর আদালতে ১৬৪ ধারায়  স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছে। উল্লেখ্য গত ২৪ মে ২০১৮ইং রাত থেকে নিখোঁজ। ফজলুর মা অজুফা বেগম ২৮মে ২০১৮ইং এ বিষয়ে জয়দেবপুর থানায় সাধারণ ডায়রি (নং ২০৫৬) করেন। এরপরও ফজলু উদ্ধার না হওয়ায় তার মা অজুফা বেগম বাদী হয়ে গত ১২জুন ২০১৮ইং গাজীপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গুম-খুনের অভিযোগে সিআর মামলাটি (নং ১৮) দায়ের করেন। তবে পুলিশ ফজলুকে এ পর্যন্ত উদ্ধার করতে পারেনি। এ বিষয়ে তৎকালীন কোনাবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোবারক হোসেন বলেছিলেন ফজলু একটি অপহরণ মামলার আসামী এবং ঐ মামলায় ২ জন আসামি মোটরসাইকেল সহ গ্রেফতার হয়, মোটরসাইকেল টি ছিল দিপুর। ২৮মে নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে সাধারণ ডায়রি করার আগে থেকেই সে পলাতক রয়েছে। এর মাসখানেক আগে গত ২৭ এপ্রিল অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে জয়দেবপুর থানায় দায়ের হওয়া একটি মামলার (নং ১৪৩) ৩নং আসামী ফজলু। তাই সে গা ঢাকা দিয়েছে। তখন থেকেই তাকে গ্রেফতারের জন্য খুঁজছে পুলিশ। মামলার এজাহারে বাদী অভিযোগ করেন, ফজলু মিয়া গত ৩ বছর ধরে ১নং আসামী শাহিনুর ইসলাম দিপুর ইন্টারনেট ব্যবসার কর্মচারী হিসেবে কাজ করে। ইন্টারনেট ব্যবসার আড়ালে দিপু বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম সহ মাদক ব্যবসা ফজলুকে দিয়ে করাতো। ফজলুর সাথে উঠতি বয়সের কিছু উশৃঙ্খল ছেলে চলাফেরা করতো। তাদেরকে নিয়ে চুরি ছিনতাই সহ বিভিন্ন অপকর্ম করতো এবং মাদকের ব্যবসা করতো। অল্প দিনেই দিপুর নেতৃত্বে এলাকায় ফজলু গ্যাং নামে আলোচনায় আসে।
 ফজলু বাইমাইল এলাকায় জনৈক কামরুজ্জামানের ভাড়া বাসায় স্ত্রীকে নিয়ে বাস করে। দিপুর পিতা শফিকুল ইসলাম শফি মামলার ৪নং আসামী। ফজলুকে দিপু মুঠোফোনে গত ২৪ মে রাতে ভাড়াবাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকে ফজলু নিখোঁজ রয়েছে। ফজলু নিখোঁজ হওয়ার কয়েক দিন পূর্বে দিপুর সাথে ফজলুর বিভিন্ন বিষয়ে কথা কাটাকাটি হয়। ফজলুর বিষয়ে কিছু জিজ্ঞেস করলে আসামীরা বাদী ও স্বাক্ষীদের হুমকী দেয়। বলে, ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিলে ফজলুকে জীবিত ফেরত দিবে। এদিকে বাবা কথিত আওয়ামীলীগ নেতা, ছেলে যুবলীগের খাতায় রাতারাতি নাম লিখিয়ে এমন কোন অপরাধ নাই যে করে না, অপরদিকে দিপুর আপন বড় ভাই জিকু স্থানীয় বিএনপি রাজনীতির সাথে জড়িত। বেশ কিছুদিন আগে দিপুর বড় ভাই জিকু একটি ফেন্সিডিলের চালান সহ কুমিল্লার চান্দিনা পুলিশের হাতে আটক হয়। বর্তমান জিকু মাদক মামলায় জামিনে রয়েছে। জিকূও এই মামলার আসামি।

সোনারগাঁয়ে ভুল চিকিৎসায় গর্ভবতীর মৃত্যু, ক্লিনিক ভাংচুর

সোনারগাঁয়ে ভুল চিকিৎসায় গর্ভবতীর মৃত্যু, ক্লিনিক ভাংচুর

হাসান খানঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের ভুল চিকিৎসায় আমান্তিকা নামের এক গর্ভবতীর মৃত্যুর ঘটনায় সোনারগাঁ জেনারেল হাসপাতাল (ক্লিনিক) ভাংচুর করেছে বিক্ষুব্ধ স্বজনরা।

৯ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় সোনারগাঁ জেনারেল হাসপাতাল নামের একটি ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে।আমান্তিকার স্বজনরা ক্লিনিকের গ্লাস, দরজা জানালাসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করে।ঘটনার পর ওই ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ পালিয়ে যায়।

খবর পেয়ে সোনারগাঁ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষুদ্ধ স্বজনদের বিচারের আশ্বাসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।নিহত আমান্তিকার স্বামী মোঃ পিন্টু মিয়া বাদীতে সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়েরর প্রস্তুতি চলছে। সোনারগাঁ জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে কাউকে পাওয়া যায়নি।

জানা যায়, উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের বড় সাদিপুর গ্রামের পিন্টু মিয়ার স্ত্রী আমান্তিকা গর্ভবতী হলে নিয়মিত চিকিৎসার জন্য শুক্রবার বিকেলে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় সোনারগাঁ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।
সোনারগাঁ জেনারেল ক্লিনিকের চিকিৎসক ডা. নূরজাহান বেগম ওইদিন রোগীকে সিজার করার পরামর্শ দেন এবং নিজেই বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তার সিজার করেন।

এসময় আমান্তিকার একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। তারাহুড়া করে সিজারের পর ওই রোগীর পেটে গজ কাপড় (ব্যান্ডেজ) রেখেই ডা. নূরজাহান কাটা স্থান সেলাই করে দেয়। সিজারের পর আমান্তিকা অবিরত বমি ও পেটে অস্বস্থি হয়ে পেট ফুলে যায়। পুনরায় ডাক্তারের কাছে নিয়ে আসলে সে নারায়ণগঞ্জ কেয়ার হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেয়। ডাক্তার নূরজাহান কেয়ার হাসপাতালে গিয়ে পুনরায় ওই রোগীর সিজার করিয়ে জরায়ু কেটে ফেলেন।

রোগীর অবস্থার অবনতি হলে কেয়ার হাসপাতাল থেকে তাকে ঢাকার গেন্ডারিয়া আজগর আলী হাসপাতালে প্রেরণ করে পরে সোমবার ভোরে সে মারা যায়।

এঘটনায় রোগীর স্বজনরা বিক্ষুদ্ধ হয়ে দুপুরে সোনারগাঁ জেনারেল হাসপাতালে এসে ক্লিনিকের গ্লাস ও দরজা জানালাসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করে।
আমান্তিকার মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পালিয়ে যায়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নিহত আমান্তিকার লাশ একটি এম্বুলেন্সে করে নিয়ে আসে সোনারগাঁ জেনারেল হাসপাতালের সামনে। এসময় রোগীর বিক্ষুদ্ধ স্বজনরা ক্লিনিকে গিয়ে হাসপাতালের গ্লাস ও দরজা জানালাসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করে।
নিহত আমান্তিকার স্বামী মোঃ পিন্টু মিয়া জানান, বন্দর উপজেলার কল্যাণদী গ্রামের সোহেল মিয়ার মেয়ে আমান্তিকার সাথে ২০১৮ সালের ৩রা আগষ্ট তার বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছরের মাথায় ডাক্তারের ভূল চিকিৎসার জন্য তার স্ত্রীকে হারাতে হয়েছে। তিনদিনের মাথায় তার কন্যা সন্তান এতিম হয়েছে। এ হত্যাকান্ডের বিচার দাবী করে দোষী ডাক্তারকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দাবী করেন তিনি।

নিহতের বাবা সোহেল মিয়া জানান, শুক্রবার আমার মেয়েকে সোনারগাঁ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসার পর ডাক্তার সিজার করার পরামর্শ দেন। জরুরি সিজার না করলে মা ও পেটের সন্তান মারা যাবে বলে জানিয়েছেন। ডাক্তারের কথা অনুযায়ী আমরা সিজারের সিদ্ধান্ত নেই। ওইদিন ডাক্তার নূরজাহান আরো ৪টি সিজার করেছেন,পাশাপাশি রোগীর দীর্ঘ লাইন। ডাক্তার তাড়াহুড়া করে সিজারের পর পেটে গজ কাপড় রেখে সেলাই করায় আমার মেয়ের মৃত্যু হয়। আমি আমার মেয়ের হত্যাকারীকে গ্রেফতার করে বিচার দাবী করছি।

সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতাল ভাংচুর হয়েছে। বিক্ষুদ্ধ স্বজনদের পুলিশ বিচারের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

সোনারগাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ফুটপাত দখল বাণিজ্য

সোনারগাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ফুটপাত দখল বাণিজ্য
হাসান খানঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ৬২ নং বৈদ্যের বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ফুটপাত দখল ,ফুটপাতে হাঁটার জায়গা সহ মূল রাস্তার প্রায়  অর্ধেক দখল করে নিয়েছে ফল ,কাঁচামাল চা ও মুদি দোকানীরা। ফলে ফুটপাতে পা ফেলার জায়গা নেই। এতে ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার হচ্ছে শিশু শিক্ষার্থীরা অন্যদিকে যানজটে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ পথচারীরা।
প্রতিদিন স্কুল-কলেজের হাজার হাজার শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক রাস্তার ফুটপাত ধরে চলাচল করে থাকে। সকাল হলেই মূলত এই সড়কে ও ফুটপাতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আনাগোনা শুনা য়ায়। তিল পরিমাণ জায়গা থাকে না। এরই মধ্যে ফুটপাত ও রাস্তা দখল করে হকাররা বিভিন্ন ধরনের পসরা ও মালামাল নিয়ে বসায় স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বিরক্তি চরমে পৌঁছে। বাধ্য হয়েই শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ঝুঁকি নিয়ে ব্যস্ত সড়ক দিয়ে চলাচল করতে হয়। ফুটপাত দখলের ফলে নিরুপায় হয়ে প্রতিদিন অভিভাবকরা তাদের স্কুল পড়ুয়া বাচ্চাসহ ঝুঁকি নিয়ে এভাবে চলাচল করছেন। কোনো কোনো সময় দুর্ঘটনার ঘটনাও ঘটছে।

সরেজমিনে দেখা যায় শুধু ফুটপাত নয় হকাররা রাস্তাও দখল করে পসরা সাজিয়ে বসেন। স্কুলের মূল ফটকের একেবারে সামনে হকারদের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও আপামর জনসাধারণ। ফুটপাত যেন থেকেও নেই। দেখে বোঝার কোনো উপায় নেই যে ব্যস্ততম এই ছোট এলাকায় জনসাধারণের জন্য ফুটপাত আছে! কেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একেবারে সামনে ও পাশঘেঁষে ফুটপাত দিনের পর দিন দখল হয়ে থাকবে,
অনুসন্ধানে দেখা যায়, সোনারগাঁ উপজেলা সংলগ্ন কুশিয়ারা ব্রিজ পার হয়ে আনন্দ বাজার ও বৈদ্যের বাজারের ইউটান থেকে বৈদ্যের বাজার রাস্তায় ফুটপাতের পুরো সীমানা জুড়ে ছোট ছোট দোকান বসিয়েছে। ফুটপাত দখল হয়ে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন কর্মব্যস্ত মানুষ, শিক্ষার্থী, নারী ও শিশুরা।
বিদ্যালয়ের দেয়াল ঘেষা ফুটপাত দখল হয়ে যাওয়ায়, শিশুদের সুন্দর পরিবেশে শিক্ষাদান করতে পারছেন না বলে জানান বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ । পারছেন না শিক্ষামূলক দেয়াল চিত্র একে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়মুখী করার উৎসাহ দিতে।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানান, সোনারগাঁয়ের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দেয়ালগুলো শোবা বর্ধন করলেও আমাদের বিদ্যালয়ের পরিবেশ ভিন্ন। স্থানীয় প্রভাবশালীদের ভয়ে আমরা কিছু বলতে পারছি না।
যেখানে স্কুলের হাজার হাজার কোমলমতি শিশুর আসা-যাওয়ার প্রশ্ন জড়িত সেখানকার ফুটপাত কি দখলমুক্ত করা যায় না? এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের নির্বিঘ্নে চলাফেরার জন্য ও জনসাধারণের দুর্ভোগ লাঘবে ফুটপাত দখলমুক্ত করা হোক।

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে লাফার্জ হোলসিম সিমেন্টের নিজস্ব জেটিতে জাহাজডুবি

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে লাফার্জ হোলসিম সিমেন্টের নিজস্ব জেটিতে জাহাজডুবি

হাসান খানঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মেঘনা নদীর তীরে অবস্থিত লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ এর নিজস্ব জেটিতে একটি পণ্যবাহী জাহাজডুবির খবর পাওয়া গেছে। এমভি মরিয়ম জুসি-২ জাহাজটি ৭৭৫ মেট্টিকটন ফ্লইঅ্যাস সহ গত ৩০ আগস্ট শুক্রবার দুপুরে কম্পানির নিজস্ব জেটিতে তলিয়ে যায়।

জাহাজের মাস্টার সায়েব আলী জানান, ১৯ আগষ্ট ভারতের হলদিয়া বন্দর থেকে ৭৭৫ মেট্টিকটন ফ্লাইএ্যাশ বোঝাই করে জাহাজটি ৩০ আগস্ট মেঘনায় পৌছায়। জাহাজটি মতলব উপজেলার মোহনপুরের কোন এক ডুবোচরে আঘাত পায়। পরে সকাল বেলা জাহাজ ছিদ্র হয়ে পানি উঠতে দেখা যায়। বিষয়টি সাথে সাথে জাহাজের মালিক শেখ ব্রাদার্সের জসীম সাহেব এবং লাফার্জ হোলসিম কোম্পানীর লজিষ্টিক শামিম সাহেবকে জানাই। লজিস্টিক বিভাগ থেকে নিশ্চিত করা হয়, জাহাজটি জেটিতে পৌছাতে পারলে দ্রুত মাল আনলোড করা হবে। কিন্তু জাহাজটি জেটিতে পৌছানোর প্রায় আড়াই ঘন্টা পর ডুবে যায়।

তিনি বলেন, এতে আমাদের বড়রকম ক্ষতি হয়েছে। জাহাজে থাকা খাদ্য দ্রব্য, নাবিকদের মোবাইল সহ কোন কিছুই উদ্ধার করতে পারি নাই।

এ ব্যাপারে লাফার্জ হোলসিম এর শ্রমিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি হাজী মাইনউদ্দিন জানান, এ জাহাজের পূর্বে দুটি জাহাজ আনলোড করছিল। তাই আমরা এটি আনলোড করতে পারি নাই।

লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ জানায়, গত শুক্রবার সকালে মেঘনাঘাটে ফ্লাইঅ্যাশ বহনকারী এমভি মরিয়ম জুসি-২ পৌঁছায়। তখন সেই জাহাজে পানি উঠছিল। মাস্টারের ভাষ্যমতে, আগের দিন জাহাজটি ডুবোচরে আঘাত পেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং সকালে সে জাহাজে পানি উঠতে দেখে। এভাবেই সে জাহাজটিকে মেঘনা ঘাটে লাফার্জ হোলসিম সিমেন্টের নিজস্ব জেটিতে নিয়ে আসি। লজিস্টিক বিভাগ থেকে নিশ্চিত করার পরও মালামাল সরিয়ে নেয়ার কোন চেষ্টা করা হয়নি। এতে প্রায় ১৭ লাখ টাকা মূল্যের ফ্লাই অ্যাশ ছিল।

জাহাজটি উদ্ধারের ব্যাপারে জাহাজের নাবিক সায়েদ আলী জানান, এ ব্যাপারে কয়েকটি উদ্ধারকারী কোম্পানির সাথে কথা হচ্ছে। চুক্তিপত্র সম্পন্ন হলে উদ্ধার কার্যক্রম চলবে।

সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, এ ব্যাপারে আমাদের কেউ কিছু জানায়নি।