শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর নিকেতনে নিজ ব্যবসায়িক কার্যালয় ‘জি কে বিল্ডার্সে’ অভিযান চালিয়ে নামধারী যুবলীগ নেতা জি কে শামীমকে আটক করেছে র্যাব। এ সময় সেখান থেকে নগদ প্রায় ১০ কোটি টাকাসহ ২০০ কোটি টাকার এফডিআর ডকুমেন্টসহ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্রসহ বিদেশি মদও জব্দ করা হয়।
শামীমের সঙ্গে থাকা তার ৬ জন দেহরক্ষীকেও আগ্নেয়াস্ত্রসহ আটক করা হয়েছে।
জি কে শামীম যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক বলে লোকমুখে শোনা গেলেও যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর দাবি, শামীম যুবলীগের কেউ নয়। তিনি বলেন, (শামীমের) সঙ্গে যুবলীগের কোনো সম্পর্ক নেই।
বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকাকালে শামীম ছিলেন ঢাকা মহানগর যুবদলের সহসম্পাদক এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রভাবশালী নেতা ও সাবেক গণপূর্ত মন্ত্রী মির্জা আব্বাসের খুবই ঘনিষ্ঠ ক্যাডার। সেই জি কে শামীম এখন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।
জি কে শামীম রাজধানীর সবুজবাগ, বাসাবো, মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রভাবশালী ঠিকাদার হিসেবেই পরিচিত। গণপূর্ত ভবনের বেশির ভাগ ঠিকাদারি কাজই জি কে শামীম নিয়ন্ত্রণ করেন। বিএনপি-জামায়াত শাসনামলেও গণপূর্তে এই শামীমই ছিলেন ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণকারী ব্যক্তি।
একসময়ের যুবদল নেতা ক্ষমতার পরিবর্তনে হয়ে যান নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের প্রস্থাবিত সহ-
সভাপতি জি কে শামীম।
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার সন্মানদী ইউনিয়নের দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত মো. আফসার উদ্দিন মাস্টারের ছেলে তিনি। আফসার উদ্দিন মাস্টার ছিলেন হরিহরদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তিন ছেলের মধ্যে জি কে শামীম মেজো।
বিএনপি-জামায়াত-শিবির ছেড়ে আওয়ামীলীগে আসা হাইব্রিডরা টাকা দিয়ে কমিটি কিনে এনে প্রকৃত আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের নির্যাতন-নিপীড়ন চালাচ্ছে। এতে প্রকৃত আওয়ামীলীগ নেতারা যাতাকলে পড়ে ক্ষোভে নীরব ভুমিকা পালন করছে।এমনটাই বললেন ছাত্রলীগ নেতা খন্দকার রনি , সুজুন, মেহেদী, হাসনাত,শুভ, জাহিদ ও শামিম ।
এবং অনুপ্রবেশ কারী, হাইব্রিড নেতাদের হাত ধরে সাথে যারা থাকে তাদেরও বেবস্থা নেয়া উচিৎ।
এখনও সময় আছে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে দলের ত্যাগি নেতাকর্মীদের বঞ্চিত করে বিএনপি-জামাত-শিবির থেকে আসা হাইব্রিডদের পদ দিয়ে কমিটি দেয়া বন্ধ করতে হবে
বাংলাদেশের গন্তব্য কোথায় হবে এবং কোন ধরনের বাংলাদেশ হবে সেটির পূর্ণাঙ্গ চিত্রটি ২০১৯ সালেই পরিষ্কার হয়ে যাবে। সঙ্গে সঙ্গে বিএনপি-আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে অনুপ্রবেশকারী, হাইব্রিড ও সেলফিবাজদের ভূমিকা কী হবে না হবে সেটিও স্পষ্ট হয়ে উঠবে।
টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজির সুনির্দিষ্ট অভিযোগে তাকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।


