সোনারগাঁওয়ে ঢাকা-চিটাগং মহাসড়কে কাচপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সামনেই পরিবহণ চলাচল মানছেনা সরকারী নিষেধাজ্ঞা।

সোনারগাঁওয়ে ঢাকা-চিটাগং মহাসড়কে কাচপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সামনেই পরিবহণ চলাচল মানছেনা সরকারী  নিষেধাজ্ঞা।
হাসান খানঃ
নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁওয়ে ঢাকা-চিটাগং মহাসড়কে মানছে না গণপরিবহণ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা। কাচপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সামনেই চলছে গণপরিবহন। প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সারা দেশে গণপরিবহন বন্ধ ঘোষণা থাকলেও বন্ধ হয়নি উপজেলার সোনারগাঁও কাচপুর  এলাকার ঢাকা-চিটাগাং  মহাসড়কে গণপরিবহনগুলো। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ঘোষণা দিয়েছেন ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ রাখার । কিন্তু সরকারের সেই নিষেধাজ্ঞা মানছে না ট্রাক মাইক্রোসহ গণপরিবহনের চালক ও মালিকরা । রোববার(২৯মার্চ) সকালে উপজেলার মোগরাপারা চৌরাস্তা মদনপুর ও কাচপুর  এলাকার ঢাকা-চিটাগাং  মহাসড়ক ঘুরে দেখা যায়, এ যেনও দেখার কেউ নেই, কাচপুর পুলিশ ফাঁড়ির সামনেই চলছে গণপরিবহন । পরিবহণগুলোতে চোখে পড়ার মতো  অনেক যাত্রী দেখা গেছে আবার  মোটরসাইকেল যাএী নেয়ার দ্রিশ দেখা গেছে ।

সোনারগাঁওয়ে ফ্রেশ কোম্পানির দখলদাররা করোনার চেয়েও ভয়ংকর ভাইরাস ধারণা এলাকাবাসীর !!

সোনারগাঁওয়ে ফ্রেশ কোম্পানির দখলদাররা করোনার চেয়েও ভয়ংকর ভাইরাস ধারণা  এলাকাবাসীর !!

লকডাউনে প্রশাসন যখন ব্যস্ত সাধারন মানুষকে ঘরে রেখে স্বাস্থ্য সুরক্ষা দিতে সেই সুযোগে কিছু অমানুষ ব্যস্ত দখল বানিজ্যে। সরকারি জমি, খাস খ🤩
তিয়ানের শতশত একর জমি ও অসহায় মানুষের জমি দখল করে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক বনে আছেন। এ সময় অসহায় দরিদ্র মানুষের পাশে যেখানে তাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়ার কথা সেখানে তারা অসহায়দের সম্বলহানি ও স্বা
স্থ্য ঝুকিতে ফেলতে ব্যস্ত। তারা কি সত্যিই  🙂😌🥰😫রক্তমাংসে গড়া মানুষ নাকি করোনার চেয়েও ভয়ংকর কোন ভাইরাস?

সারাদেশ যখন করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে লকডাউনে ঘরবন্দী ঠিক সে সুযোগে সোনারগাঁয়ের  কম্পানীগুলো ব্যস্ত নদী, খাল ও সরকারি খান জমি দখলে।

প্রশ্ন হলো ডিসি, এসপি, বিআইডব্লিউিটএ, কোষ্টগার্ড, নদী রক্ষা কমিশন, স্থানীয় প্রশাসন, সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ, সড়ক ও জনপদের কারো চোখে পড়ে না কেন?

গতকাল মনিরামপুর উপজেলার এসিল্যান্ড তিনজন সত্তুরোর্ধ অসহায় বাবাদের ভ্যান চালানোর অপরাধে জনসম্মূখে কান ধরে উঠবস করিয়েছেন? লকডাউনে বাড়ি থেকে বের হওয়ায় অনাহারী মানুষগুলোর শাস্তি যদি কানধরে উঠবস হয় তবে আমরা দেখতে সোনারগাঁয়ের কোম্পানীর শিক্ষিত কর্তাব্যক্তিদের কি শাস্তি হয়? তারা তো সরকারের লকডাউন না মেন সরকারি সম্পত্তি, খাল, নদী দখল করে কারখানার দূষিত বর্জ্য নিষ্কাশন করে প্রকৃতি, পরিবেশ ও জনজীবনে চরম ভোগান্তি ডেকে আনছে। আমরা দেখার অপেক্ষায় রইলাম।

আরেকটা প্রশ্ন স্থানীয় জনপ্রতিনিরাই বা কোথায়। মোগরাপাড়া ইউনিয়নের যে জায়গায় দখল হচ্ছে সেই ওয়ার্ডে ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, সাবেক এমপি, আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপকমিটির নেতা, জেলা পরিষদ সদস্য, যুবলীগের সভাপতি, ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান সভাপতি, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারন সম্পাদক, ছাত্রলীগের জেলা কমিটির সহসভাপতিসহ অনেক নেতার বাড়ি, নুনেরটেকে বারদী চেয়ারম্যান এরা কেউ কি এ দখলরোধে কার্য্যত কোন পদক্ষেপ নিয়েছেন? তারা কি সরকারের সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন?
এ বিষয়ে মেঘনা গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার কার্তিক চন্দ্র সাহার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ করে সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর লাইনটি কেটে দেন।

বিঃদ্রঃ- ছবিদুটি আজ সকালে সোনারগাঁয়ের ফুলবাড়িয়া  ও নুনেরটেক থেকে তোলা।

প্রবীণ সাংবাদিকের ঘাড় মটকে দিতে চাইলেন ওসি আসলাম

প্রবীণ সাংবাদিকের ঘাড় মটকে দিতে চাইলেন ওসি আসলাম


হাসান খানঃ

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আসলাম হোসেনের বিরুদ্ধে এক প্রবীণ সাংবাদিকের সাথে অশোভন আচরনের অভিযোগ উঠেছে।

 ২৭ মার্চ শুক্রবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ফতুল্লা মডেল থানার ভেতরেই ফতুল্লা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি প্রবীণ সাংবাদিক নুরুল ইসলাম নুরুর সাথে এমন অশোভন আচরন করেন ওসি আসলাম হোসেন ও অপারেশন তারিকুল আলম জুয়েল।

অশোভন আচরনের শিকার সাংবাদিক নুরুল ইসলাম নুরু জানান, বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে থানার ভেতরে প্রবেশ করার সাথে সাথেই অপারেশন তারিকুল আলম জুয়েল ধমকের সুরে বলেন, আপনি কোথায় যাবেন।

থানার ভিতরে কেন আসছেন। তখন নুরুল ইসলাম নুরু ওয়াস রুমে যাওয়ার কথা জানালে তিনি আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে বলেন, এটা ওয়াস রুমে যাওয়ার জায়গা না। এসময় ওসি আসলাম অপারেশন তারিকুল আলম জুয়েল পাশেই দাড়িয়ে ছিলেন।

সাংবাদিক নরুল ইসলাম নুরু ওসি আসলাম হোসেনকে বললেন, ভাই আপনি তো আমাকে চিনে আপনার সামনে তারিকুল সাহেব এ ধরেনে ব্যবহার করতেছে।

আপনি কিছু বলেন। আমরা সাংবাদিকরা থানায় তথ্য সংগ্রহরের জন্য আসি। তখন ওসি আসলাম হোসেন অপারেশনের এমন আচরনের প্রতিবাদ না করেই নিজেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন।

তিনি প্রবীন সাংবাদিক নুরুল ইসলাম নুরুকে বলেন, আপনি কিসের বালের সাংবাদিক। আপনার ঘাড় মটকে ভেঙ্গে মাটির সাথে মিশিয়ে দিবো।

 আপনি এসপির সামনে আমার বিরুদ্ধে কথা বলেন। আপনি কত বড় সাংবাদিক। আপনাকে আমি এ থানায় থাকলে দেখায় দিবো।

 আজকে থেকে এ থানার ভেতরে আপনার আশা সম্পূর্ন নিষেধ।
এমন অশোভন আচরনে ফতুল্লার সাংবাদিক সমাজে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।

 আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে যদি ওসি আসলাম হোসেন অপসারন না হয় তাহলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুশিয়ারী উচ্চারন করেন তারা।

উল্লেখ্য গত ১৫ মার্চ ফতুল্লা মডেল থানায় অনুষ্ঠিত ওপেন হাউস ডে তে বক্তব্য রাখেন প্রবীন সাংবাদিক নরুল ইসলাম নুরু।

 তার বক্তব্যে তিনি বলেছিলেন সাংবাদিক পুলিশ একে অপরের পরিপুরক। কিন্তু এ থানা তার ব্যতিক্রম। ওপেন হাউস ডের নামে চলে ফতুল্লা মডেল থানায় চলে গোপন হাউস ডে।

ওসি আসলাম হোসেনে বিরুদ্ধে এমন বক্ত্য দেয়াতে তার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে এমন অশোভন আচরন করেছেন বলে জানান নরুল ইসলাম নুরু।

সারাদেশ যখন করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে লকডাউনে ঠিক সে সুযোগে সরকারি খাল দখলে ব্যস্ত অদৃশ্য শক্তি

সারাদেশ যখন করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে লকডাউনে ঠিক সে সুযোগে সরকারি খাল দখলে ব্যস্ত অদৃশ্য শক্তি
হাসান খানঃ সারা দেশে প্রায় ২০০০টি শিল্প কল-কারখানা । অর্ধেকের বেশি ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (ইটিপি) স্থাপন করেনি বা সব সময় চালু রাখে না বলে বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায়। বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। শিল্পবর্জ্যরে বড় শিকার হচ্ছে রাজধানী বা শিল্প এলাকার নদীগুলো। বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা, বালু, হালদা, কর্ণফুলী, সুরমা, রূপসা কিংবা ব্রহ্মপুত্র কোনো নদীই রেহাই পাচ্ছে না #ফুলবাড়িয়া_এলাকা_ও এ দূষণের হাত থেকে। শিল্পের উন্নয়নের সাথে সাথে দেশে দূষণের ভয়াবহতাও বাড়ছে। শিল্প-কারখানা থেকে নির্গত তরল বর্জ্য, বিষাক্ত রাসায়নিক এবং অন্যান্য মানুষের বর্জ্য ইত্যাদির মাধ্যমে নদী-খাল ইত্যাদি দূষণ হচ্ছে। #নারায়ণগঞ্জ_এর_সোনারগাঁও_মোগরাপাড়া_ফুলবাড়িয়া  ও এর #আশপাশের_১৬_টা_এলাকার নদী-খাল, বায়ু দূষণ হচ্ছে। পরিকল্পিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না থাকায় ফুলবাড়িয়া সহ ১৬ টি এলাকা বা শীতলক্ষ্যা নদীর পানি দূষিত করছে। এসব শিল্প কল-কারখানার বেশিরভাগই শব্দ দূষণ করছে। কল-কারখানার বর্জ্য পানির পরিমাণ দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে।। কিন্তু সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ব্যাপারে কারও বিশেষ করে সংশ্লিষ্ট শিল্প মালিকের তেমন মাথা ব্যথা নেই। পানির ঢলে শিল্পবর্জ্য হালদায় পড়ে নদী দূষণ হচ্ছে। ফলে এলাকার অন্যতম বৃহত্তম প্রাকৃতিক মাছের অভয়ারণ্য হুমকির মুখে। #মোগরাপাড়া_ফুলবারিয়া_হতে_মেঘনা_নদী_পর্যন্ত শিল্প কারখানাগুলোর বর্জ্য হালদা সংযুক্ত খাল ও সংযুক্ত পরিত্যক্ত জমিতে পড়ছে। এর ফলে বর্ষাকালে বা বন্যার সময় খাল বেয়ে হালদার পানিতে পড়ছে এসব বর্জ্য। এতে ফসল নষ্ট হচ্ছে, মাছ মরছে। দূষণ হচ্ছে। পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। শিল্পবর্জ্য ও দখলে অস্তিত্ব হারাচ্ছে ১৬টি এলাকার খাল ফসল জমি ও নদ। অপরিকল্পিত নগরায়ণ ও বিষাক্ত বর্জ্য এই এলাকার পানির রঙ পাল্টে দিচ্ছে। ভয়াবহ দূষণের শিকার হচ্ছে। কোথাও পানির রঙ লাল হয়ে গেছে আবার কোথাও কালচে হয়ে যাচ্ছে পানির রঙ। #টিপুরদির #কেন্টাকি_টেকক্সটাইল_লিঃ_ফ্রেশ_উসান_ও_চৈতী_গ্রুপ  আরও অনেক শিল্প কারখানা থেকে ময়লার পানি ও শিল্পের এসিডের পানি আমাদের এলাকা ও জনগনদের অনেক ক্ষতি  করছে । এখান থেকে শিল্পবর্জ্য পানি শীতল্ক্ষ্যা-ও মেঘনা নদীতে  পড়ছে। এর ফলে ফসলাদু জমি গুলা নষ্ট হয়ে গেছে
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শিল্প খাত হচ্ছে বস্ত্র ও পোশাক খাত। পোশাক কারখানা বা এর সংশ্লিষ্ট কারখানাতেই দূষণ বেশি।

বুয়েটের এ গবেষণায় বলা হয়, পরিবেশের ওপর বেশি প্রভাব ফেলছে বস্ত্র শিল্পে ব্যবহৃত পানি ও সেখান থেকে নিঃসরিত বর্জ্য। এ শিল্পের কারখানায় উৎপাদিত প্রতি ইউনিট কাপড়ে ভালোমাত্রায় পানির ব্যবহার হয়। এর প্রভাবে ভূগর্ভস্থ পানির পরিমাণ ব্যাপক হারে কমছে। আবার বস্ত্র শিল্প-কারখানা থেকে নির্গত পানি কোনো পরিশোধন ছাড়াই নদী ও শুকনো জমিতে গিয়ে মিশছে। এ অপরিশোধিত বর্জ্য পানিতে অক্সিজেনের মাত্রা কমিয়ে জলজ প্রাণীর জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, বস্ত্র শিল্প অধ্যুষিত ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁও অঞ্চলগুলোর নদী ও পানি সবচেয়ে বেশি দূষণের শিকার হচ্ছে।

এবং মোগরাপাড়ার ফুলবারিয়ার খাল হয়ে শীতলক্ষ্যা ও মেঘনা নদী দূষণের কারণে ওই অঞ্চলে দূষিত পানি ব্যবহার করার ফলে মরণব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
জেলা প্রশাসক ও সোনারগাঁও থানার ইউএনও
কে এই বিষয় টা গুরত্বসসহ দেখার অনুরোধ ভোক্তভুগি এলাকাবাসি

সোনারগাঁওয়ে কাচপুর হাইওয়ে পুলিশের বেপরোয়া ঘুশ বানিজ্যের অভিযোগ

সোনারগাঁওয়ে কাচপুর হাইওয়ে পুলিশের বেপরোয়া ঘুশ বানিজ্যের অভিযোগ


হাসান খানঃ গত ১৯-০৩-২০২০ ইং  নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁওয়ে মদনপুর থেকে কাচপুর জেতে মাঝামাঝি  কিউটের কোম্পানির  সামনে রকেট ডিস্টিভিউসন মালিক এর বাইকের পিছনে বেপরোয়া গতি সম্পন্ন সৌদিয়া পরিবহন দাক্কা দেয়।

ডিস্ট্রিভিউশন মালিক ও ম্যানেজার বাইক নিয়ে রাস্তার পরে গেলে আশেপাশের লোকজন ও একটি প্রাইভেট কার এসে সাথে সাথে বাসটির গতিরোধ করে ,ওই সময় বাস এর চালক ও রকেট ডিস্টিভিউসন এর মালিক এর কথা কাটাকাটির এক প্রজায় আইনের প্রতি স্রোধা জানিয়ে রকেট ডিস্টিভিউসন মালিক কাচপুর হাইওয়ে পুলিশকে ফোন করে , কিছুক্ষণের মধ্যে  কিউটের সামনে উপস্থিত হয় কাচপুর হাইওয়ে পুলিশের এস আই মাহাবুব, তখন রকেট ডিস্টিভিউসন এর মালিক ও আসেপাশের লোকজন  পুলিশ এর কাছে  আটক করা গাড়িটি বুঝিয়ে দেন।
 আসেপাশের লোকজনের কথাশুনে  পুলিশ  আশ্বাস প্রধান করেছেন আপনারা আগে চিকিৎসা করেন আমরা গাড়িটি থানায় নিয়ে যাচ্ছি গাড়ির মালিক ও আপনাকে নিয়ে এক সাথে বসে যেভাবে সুন্দর হবে উভয়ের খতির বিষয় চিন্তা করে  মিট করবো কিন্তু ২ দিন অতিক্রম হলেও কোনো রেস্পন্স না পেয়ে রকেট ডিস্টিভিউসন এর মালিক কাচপুর হাইওয়ে থানায় হাজির হয়ে দেখে আটক করা গাড়িটি থানায় নাই পাসে থাকা এক কনস্টেবলকে জিজ্ঞেস করলে জান্তেপারে আটককীত গাড়ি ঐ দিনই ছেরে দেয়া হয়েছিলো, এই বেপারে রকেট ডিস্টিভিউসন এর মালিক খোব প্রকাশ করে  আমাদের জানান,  নাজানিয়ে ছেড়ে দেয়ার মানি হলো টাকার কাছে পুলিশের বিক্রি হওয়া ।আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি ও এই বিষয়টি নিয়ে উর্ধতন কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ করবো কারন আমাদের চিকিৎসা, গাড়ি, মোবাইল সহ অনেক ক্ষতি হয়েছে। 

সাংবাদিককে তুলে নিয়ে যাওয়ার ভয়াবহ বর্ণনা দিলেন স্ত্রী

সাংবাদিককে তুলে নিয়ে যাওয়ার ভয়াবহ বর্ণনা দিলেন স্ত্রী



 শনিবার, ১৪ মার্চ, ২০২০
 অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনের কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি আরিফুল ইসলামকে তার বাসা থেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা বর্ণনা করেন তার স্ত্রী মোস্তারিমা সরদার নিতু।
‘রাত সাড়ে ১২টার দিকে হঠাৎ করে আমাদের বাড়ির গেটে ধাক্কাধাক্কির শব্দ শুরু হয়। আমরা জানতে চাই, কারা ধাক্কাচ্ছে। এসময় বলা হয়, দরজা খুলুন, না হয় ভেঙে ফেলা হবে। এসময় আমার স্বামী কুড়িগ্রাম সদর থানার ওসিকে ফোন করলে তিনি বলেন, থানা থেকে কোনও পুলিশ সেখানে যায়নি, কারা গেছে বিষয়টি তিনি দেখছেন। এর মধ্যেই তারা দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে পড়ে। ঢুকেই মারতে শুরু করে আরিফকে। আমার স্বামী ও আমি জানতে চাই আপনারা কারা, কেন মারছেন। এসময় তারা আরিফকে বলে, তুই অনেক জ্বালাচ্ছিস- এই কথা বলেই মারধর শুরু করে। মারতে মারতে তাকে নিয়ে যায়। তাকে একটা শার্ট পরারও সময় দেওয়া হয়নি। মাত্র পাঁচ-সাত মিনিটের মধ্যে এই ঘটনা ঘটে যায়। বাসায় কোনও তল্লাশি অভিযানও চালানো হয়নি। অথচ দাবি করা হয়েছে তার কাছে মদ ও গাঁজা পেয়েছে।’
আরিফুলের স্ত্রী নিতু জানান এক পর্যায়ে দরজা ভেঙে ৭/৮ জন সাদা পোশাকধারী তাদের বাসায় প্রবেশ করে দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে আমার স্বামী আরিফুলকে মারধর করতে করতে ঘরের বাইরে নিয়ে আসে। এরপর আরিফুল তাদের কাছে কারণ জানতে চাইলে তারা আবারও তাকে মারধর করে। এরপর তাকে নিয়ে সরাসরি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, ‘বাড়িতে প্রবেশ করা ৭/৮ জন আনসার বাহিনীর পোশাক পরা ছিল। এছাড়াও বাইরে আরও ৪০ থেকে ৫০ জন দাঁড়িয়েছিল। আশপাশের লোকজন যাতে বাইরে বেরুতে না পারে সে জন্য প্রতিটি বাড়ির গেটের সামনে ২/৪ জন করে দাঁড়িয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘এই ঘটনা সময় বাড়িতে আমার স্বামী, আমি আর আমার দুই শিশু সন্তান ছাড়া আর কেউ ছিল না। তাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর এডিশনাল এসপি ও ওসি সাহেব আমাদের বাসা পরিদর্শন করেছেন। তারা বলেছেন, এ বিষয়ে কিছুই জানেন না।’
স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে তিনি জানান, রাত ২টার দিকে জেলা প্রশাস কার্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে আরিফুলের কাছে মাদক পাওয়া গেছে বলে অভিযোগ এনে রাত আড়াইটার দিকে কুড়িগ্রাম কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘আরিফুল সিগারেট এমনকি পানও খান না। আর তারা বাড়িতে আসলেও শুধু আরিফুলকে ধরে নিয়ে গেছে। তারাতো আমাদের ঘরের ভেতরে সার্চ করেনি বা কোনও কিছু পায়নি। এরপরেও কেমন করে তার কাছে মাদক পাওয়া গেছে বলে তাকে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হলো।’ তিনি বলেন, ‘দেশে কি আইন নেই? এভাবে রাতে বাড়ির গেট ও দরজা ভেঙে বাড়িতে ঢুকে একজন সংবাদকর্মীকে ধরে নিয়ে যাবে আমরা কোন দেশে বাস করছি?’ এদিকে এ ঘটনায় কুড়িগ্রামের সাংবাদিকদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক খ.ম আতাউর রহমান বিপ্লব জানান, ‘আমি গভীর রাতে বিষয়টি শুনেছি। এটি খুবই দুঃখজনক। বিষয়টি নিয়ে জরুরি সভা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
কুড়িগ্রাম কারাগারের জেলার লুৎফর রহমান সাবাদিক আরিফের এক বছরের সাজার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।