গরিব দুঃখি অসহায় ৬ শত পরিবারের মাঝে ব্যক্তিগত অর্থায়নে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করেলেন তরুন উদীয়মান ব্যবসায়ী জুয়েল রানা।

গরিব দুঃখি অসহায় ৬ শত পরিবারের মাঝে ব্যক্তিগত অর্থায়নে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করেলেন তরুন উদীয়মান ব্যবসায়ী জুয়েল রানা।


 


জসিম উদ্দিনঃ  নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার পিরোজপুর  ইউনিয়নের তরুণ উদীয়মান ব্যাবসায়ী মোঃ জুয়েল রানার উদ্যোগে মেঘনা শিল্প নগরী স্কুল এন্ড কলেজের এসএস সি ২০০০ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা করোনার প্রাদুর্ভাবে কর্মহীন অসহায়,দুস্থ  মানুষের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

গত১৮ মে (সোমবার) মেঘনা শিল্প নগরী স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে হতদরিদ্র,গরিব,দুঃখি, অসহায়,কর্মহীন,খেটে খাওয়া দিনমজুর, প্রতিবন্ধী ও বিভিন্ন অসহায় শ্রেণী-পেশার মানুষের মধ্যে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ৬০০ টি পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন 

সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন আয়েশা সিদ্দিকা শিখা এবং হাজী ইকবাল হোসেন

প্রধান অতিথি হিসাবে এখানে উপস্থিত ছিলেন পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম, পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সেলিম রেজা, সংরক্ষিত নারী সদস্য মমতাজ বেগম, আওয়ামীলীগ নেতা হাজী শাহিন আলম ও পিরোজপুর ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি সেলিম রেজা সহ ২০০০ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ।

মেঘনা শিল্প নগরী স্কুল এন্ড কলেজের ২০০০ ব্যাচের শিক্ষার্থী উদীয়মান ব্যাবসায়ী জুয়েল রানা বলেন, মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রভাবে সারাদেশে অবরোধ চলছে। কিছু কিছু মানুষ কর্মহীন থাকতে বাধ্য হচ্ছে। খেটে খাওয়া কিছু কিছু মানুষের মধ্যে হাহাকার শুরু হয়েছে। ঈদ সামগ্রী বিতরণের মাধ্যমে অসহায় ও দুস্থ প্রায় ২৬০০ পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। আগামীতেও আমাদের এ ধারা অব্যাহত থাকবে।


পিরোজপুর ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি সেলিম রেজা বলেন, ২০০০ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগ খুবই প্রশংসনীয়। তাদের মতো সকলেরই অসহায় মানুষের পাশে এগিয়ে আসা উচিত।অসহায় মানুষের পাশে থাকার জন্য ২০০০ ব্যাচের সকলকে মন থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ও  সকল বিত্তবানদের অসহায় ও দুস্থ মানুষের পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য সকলকে আহবান জানাই।

প্রধান অতিথির বক্তব্য পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরকারি দিক নির্দেশনা সবাইকে মেনে চলতে অনুরোধ জানান। সবাইকে ঘরে থাকতে অনুরোধ করেন।এবং দেশ বাসীর জন্য সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন ও সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করেন।


সোনারগাঁয়ে ইউপি সদস্য মাজহারুল ইসলাম মানিক করোনায় আক্রান্ত

সোনারগাঁয়ে ইউপি সদস্য মাজহারুল ইসলাম মানিক করোনায় আক্রান্ত


জসিম উদ্দিনঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ড সদস্য মাজহারুল ইসলাম মানিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
জানা গেছে,উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের এই সদস্য কয়েকদিন ধরে জ্বর কাশি নিয়ে স্বাস কষ্টে ভুগছিলেন।পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনি নমুনা পরিক্ষার জন্য যান।
১০ মে রবিবার সকালে তার নমুনা পরিক্ষার রির্পোট পজেটিভ আসে।বর্তমানে তিনি রাজধানীর করোনা হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার ব্যবস্থা করছেন।তার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে শারীরিক সুস্থতার জন্য  সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন।

ফেসবুকে বিভ্রান্তি ছড়ানোর দায়ে ওয়ার্ড সচিবের বিরুদ্ধে মামলা

ফেসবুকে বিভ্রান্তি ছড়ানোর দায়ে ওয়ার্ড সচিবের বিরুদ্ধে মামলা


নিজস্ব প্রতিনিধি।। ফেসবুকে সাংবাদিককে নিয়ে বিভ্রান্তি, আপত্তিকর মন্তব্য ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে গুজব ছড়ানোর দায়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের এক ওয়ার্ড সচিবের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। অভিযুক্ত আনোয়ারুল করিম জুয়েল সিটি করপোরেশনের ৩৮ নং ওয়ার্ড সচিব হিসেবে কর্মরত। গত সোমবার রাতে গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন স্থানীয় সাংবাদিক জাহিদ হোসেন জিহাদের ভাই রাসেদুল ইসলাম।

মামলার এজাহারে বাদী রাসেদুল ইসলাম উল্লেখ করেন, তার ভাই জাহিদ হোসেন জিহাদ প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার বার্তা সম্পাদক। গত কয়েকদিন আগে গাজীপুর সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের ত্রান বিতরণের অনিয়মের বিভিন্ন সংবাদ ও তথ্য সাংবাদিক জিহাদ তার ফেসবুকে প্রচার করে। এর জের ধরে ৩৮নং ওয়ার্ড সচিব আনোয়ারুল করিম জুয়েল সাংবাদিক জিহাদকে নিয়ে তার নিজস্ব ফেসবুক আইডিতে আপত্তিকর ও বিভ্রান্তিমূলক মন্তব্য ছড়িয়ে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করে। এছাড়া সাংবাদিক জিহাদকে নগরীর যেখানে পাবে সেখানেই গণধোলাই দেওয়ার হুমকি দিয়ে পোস্ট করেন।

গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পাল্টাপাল্টি দুটি মামলা হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সোনারগাঁয়ে ফুলবাড়িয়া বাড়ি-মজলিশ ও বাড়ি-চিনিষ এলাকা স্থানীয় সুশীল সমাজের উদ্যোগে লক ডাউন

সোনারগাঁয়ে ফুলবাড়িয়া  বাড়ি-মজলিশ ও বাড়ি-চিনিষ এলাকা স্থানীয় সুশীল সমাজের উদ্যোগে লক ডাউন
হাসান খানঃ  নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁ উপজেলার ফুলবাড়িয়া,  বাড়ি মজলিশ ও বাড়ি চিনিষ এলাকায় বিভিন্ন পাড়া মহল্লা লকডাউন করেছ স্থানীয় সুশীল সমাজ ও সচেতন মহল।
(৬ এপ্রিল) বিকেলে ফুলবাড়িয়া সন্ধ্যা থেকে বাড়ি চিনিষ ও বাড়ি মজলিশ এলাকার সকল রাস্তা বন্ধ করে দেয় তারা।
এলাকাবাসী জানায়, করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে হলে নিজেদেরকেই সচেতন হতে হবে। বিভিন্ন জায়গায় এই করোনার রোগী পাওয়া যাচ্ছে, তাই আমরা নিজেদের উদ্যোগে এলাকার প্রবেশ মুখ গুলো বন্ধ করে দিয়েছি। সেইসাথে সবকয়টি মসজিদ থেকে মাইকিং করে ঘর থেকে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বাহিরে বের হতে নিষেধও করা হয়েছে। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকারের নির্দেশনা মেনে চলার জন্য অনুরোধ করেছি সবাইকে।
এসময় এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে ভলান্টিয়ার হিসাবে কাজ করছে ফুলবাড়িয়া গ্রামের ইমরান,বিজয়, বাধন,জসিম,রাকিব,মিলটন,নয়ন সহ আরো অনেকে  ।


 বাড়ি চিনিষ ও বাড়ি মজলিশ থেকে ভলান্টিয়ার হিসাবে কাজ করছে মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মাজহারুল ইসলাম মানিক, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য সাবিনা মেম্বার, মামুনুর রশিদ পাপ্পু, শামীম আহমেদ, ও সুজনসহ আরো অনেকে।

মোগরাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০০৪ ব্যাচ ও একতা সংঘের উদ্যোগে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ

মোগরাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০০৪ ব্যাচ ও একতা সংঘের উদ্যোগে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ

হাসান খানঃ

নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁ মোগরাপাড়া এইচ জি জি এস স্মৃতি বিদ্যালয়ের  ২০০৪ ব্যাচ ও একতা সংঘের উদ্যোগে করোনা ভাইরাসের পার্দুভাবে কর্মহীন হয়ে পড়া ২ শতাধিক অসহায়, গরীব, দুঃস্থ‌্যদের মাঝে আজ ০৪-০৪-২০ইং তারিখে রাতের আধারে অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দিয়েছেন।
রাতে এশার নামাজের শেষে  চাল, ডাল, আলু, আটা, তেল ও সাবানসহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী বিতরন করা হয়েছে। সোনারগাঁ থানায় বিভিন্ন গ্রামের ২ শতাধিক অসহায়, গরীব, দুঃস্থ‌্যদের মাঝে এই খাদ্য সামগ্রী বিতরন করা হয়।
ত্রান সামগ্রী বিতরন কালে উপস্থিত ছিলেন, মোগরাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০০৪ ব্যাচের প্রাক্তন ছাত্র/ ছাত্রী নিয়ে গঠিত একতা সংঘের সকল সদস্য। সদস্যরা আশা রাখেন আমাদের ন্যয় যার যতটুকু সাধ্য আছে সবাই গরিব, অসহায়, দুস্থ ও নিম্ন আয়ের মানুষের পাশে এসে দাঁড়াবেন। সংগঠন টির সদস্যগন তাদের পরিচয় প্রকাশ করতে বিরত থাকেন।   
একতা সংঘ ২০০৪ ব্যাচের একটি বিষেশ আহবান সমাজের ধনী গরিব সকলকে করোনা ভাইরাস থেকে বাংলাদেশ সহ বিশ্বের সকর মানুয়ের জন্য মহান আল্লাহ নিকট মুক্তি কামনা করছি ।


সোনারগাঁওয়ে ঢাকা-চিটাগং মহাসড়কে কাচপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সামনেই পরিবহণ চলাচল মানছেনা সরকারী নিষেধাজ্ঞা।

সোনারগাঁওয়ে ঢাকা-চিটাগং মহাসড়কে কাচপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সামনেই পরিবহণ চলাচল মানছেনা সরকারী  নিষেধাজ্ঞা।
হাসান খানঃ
নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁওয়ে ঢাকা-চিটাগং মহাসড়কে মানছে না গণপরিবহণ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা। কাচপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সামনেই চলছে গণপরিবহন। প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সারা দেশে গণপরিবহন বন্ধ ঘোষণা থাকলেও বন্ধ হয়নি উপজেলার সোনারগাঁও কাচপুর  এলাকার ঢাকা-চিটাগাং  মহাসড়কে গণপরিবহনগুলো। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ঘোষণা দিয়েছেন ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ রাখার । কিন্তু সরকারের সেই নিষেধাজ্ঞা মানছে না ট্রাক মাইক্রোসহ গণপরিবহনের চালক ও মালিকরা । রোববার(২৯মার্চ) সকালে উপজেলার মোগরাপারা চৌরাস্তা মদনপুর ও কাচপুর  এলাকার ঢাকা-চিটাগাং  মহাসড়ক ঘুরে দেখা যায়, এ যেনও দেখার কেউ নেই, কাচপুর পুলিশ ফাঁড়ির সামনেই চলছে গণপরিবহন । পরিবহণগুলোতে চোখে পড়ার মতো  অনেক যাত্রী দেখা গেছে আবার  মোটরসাইকেল যাএী নেয়ার দ্রিশ দেখা গেছে ।

সোনারগাঁওয়ে ফ্রেশ কোম্পানির দখলদাররা করোনার চেয়েও ভয়ংকর ভাইরাস ধারণা এলাকাবাসীর !!

সোনারগাঁওয়ে ফ্রেশ কোম্পানির দখলদাররা করোনার চেয়েও ভয়ংকর ভাইরাস ধারণা  এলাকাবাসীর !!

লকডাউনে প্রশাসন যখন ব্যস্ত সাধারন মানুষকে ঘরে রেখে স্বাস্থ্য সুরক্ষা দিতে সেই সুযোগে কিছু অমানুষ ব্যস্ত দখল বানিজ্যে। সরকারি জমি, খাস খ🤩
তিয়ানের শতশত একর জমি ও অসহায় মানুষের জমি দখল করে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক বনে আছেন। এ সময় অসহায় দরিদ্র মানুষের পাশে যেখানে তাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়ার কথা সেখানে তারা অসহায়দের সম্বলহানি ও স্বা
স্থ্য ঝুকিতে ফেলতে ব্যস্ত। তারা কি সত্যিই  🙂😌🥰😫রক্তমাংসে গড়া মানুষ নাকি করোনার চেয়েও ভয়ংকর কোন ভাইরাস?

সারাদেশ যখন করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে লকডাউনে ঘরবন্দী ঠিক সে সুযোগে সোনারগাঁয়ের  কম্পানীগুলো ব্যস্ত নদী, খাল ও সরকারি খান জমি দখলে।

প্রশ্ন হলো ডিসি, এসপি, বিআইডব্লিউিটএ, কোষ্টগার্ড, নদী রক্ষা কমিশন, স্থানীয় প্রশাসন, সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ, সড়ক ও জনপদের কারো চোখে পড়ে না কেন?

গতকাল মনিরামপুর উপজেলার এসিল্যান্ড তিনজন সত্তুরোর্ধ অসহায় বাবাদের ভ্যান চালানোর অপরাধে জনসম্মূখে কান ধরে উঠবস করিয়েছেন? লকডাউনে বাড়ি থেকে বের হওয়ায় অনাহারী মানুষগুলোর শাস্তি যদি কানধরে উঠবস হয় তবে আমরা দেখতে সোনারগাঁয়ের কোম্পানীর শিক্ষিত কর্তাব্যক্তিদের কি শাস্তি হয়? তারা তো সরকারের লকডাউন না মেন সরকারি সম্পত্তি, খাল, নদী দখল করে কারখানার দূষিত বর্জ্য নিষ্কাশন করে প্রকৃতি, পরিবেশ ও জনজীবনে চরম ভোগান্তি ডেকে আনছে। আমরা দেখার অপেক্ষায় রইলাম।

আরেকটা প্রশ্ন স্থানীয় জনপ্রতিনিরাই বা কোথায়। মোগরাপাড়া ইউনিয়নের যে জায়গায় দখল হচ্ছে সেই ওয়ার্ডে ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, সাবেক এমপি, আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপকমিটির নেতা, জেলা পরিষদ সদস্য, যুবলীগের সভাপতি, ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান সভাপতি, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারন সম্পাদক, ছাত্রলীগের জেলা কমিটির সহসভাপতিসহ অনেক নেতার বাড়ি, নুনেরটেকে বারদী চেয়ারম্যান এরা কেউ কি এ দখলরোধে কার্য্যত কোন পদক্ষেপ নিয়েছেন? তারা কি সরকারের সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন?
এ বিষয়ে মেঘনা গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার কার্তিক চন্দ্র সাহার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ করে সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর লাইনটি কেটে দেন।

বিঃদ্রঃ- ছবিদুটি আজ সকালে সোনারগাঁয়ের ফুলবাড়িয়া  ও নুনেরটেক থেকে তোলা।

প্রবীণ সাংবাদিকের ঘাড় মটকে দিতে চাইলেন ওসি আসলাম

প্রবীণ সাংবাদিকের ঘাড় মটকে দিতে চাইলেন ওসি আসলাম


হাসান খানঃ

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আসলাম হোসেনের বিরুদ্ধে এক প্রবীণ সাংবাদিকের সাথে অশোভন আচরনের অভিযোগ উঠেছে।

 ২৭ মার্চ শুক্রবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ফতুল্লা মডেল থানার ভেতরেই ফতুল্লা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি প্রবীণ সাংবাদিক নুরুল ইসলাম নুরুর সাথে এমন অশোভন আচরন করেন ওসি আসলাম হোসেন ও অপারেশন তারিকুল আলম জুয়েল।

অশোভন আচরনের শিকার সাংবাদিক নুরুল ইসলাম নুরু জানান, বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে থানার ভেতরে প্রবেশ করার সাথে সাথেই অপারেশন তারিকুল আলম জুয়েল ধমকের সুরে বলেন, আপনি কোথায় যাবেন।

থানার ভিতরে কেন আসছেন। তখন নুরুল ইসলাম নুরু ওয়াস রুমে যাওয়ার কথা জানালে তিনি আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে বলেন, এটা ওয়াস রুমে যাওয়ার জায়গা না। এসময় ওসি আসলাম অপারেশন তারিকুল আলম জুয়েল পাশেই দাড়িয়ে ছিলেন।

সাংবাদিক নরুল ইসলাম নুরু ওসি আসলাম হোসেনকে বললেন, ভাই আপনি তো আমাকে চিনে আপনার সামনে তারিকুল সাহেব এ ধরেনে ব্যবহার করতেছে।

আপনি কিছু বলেন। আমরা সাংবাদিকরা থানায় তথ্য সংগ্রহরের জন্য আসি। তখন ওসি আসলাম হোসেন অপারেশনের এমন আচরনের প্রতিবাদ না করেই নিজেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন।

তিনি প্রবীন সাংবাদিক নুরুল ইসলাম নুরুকে বলেন, আপনি কিসের বালের সাংবাদিক। আপনার ঘাড় মটকে ভেঙ্গে মাটির সাথে মিশিয়ে দিবো।

 আপনি এসপির সামনে আমার বিরুদ্ধে কথা বলেন। আপনি কত বড় সাংবাদিক। আপনাকে আমি এ থানায় থাকলে দেখায় দিবো।

 আজকে থেকে এ থানার ভেতরে আপনার আশা সম্পূর্ন নিষেধ।
এমন অশোভন আচরনে ফতুল্লার সাংবাদিক সমাজে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।

 আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে যদি ওসি আসলাম হোসেন অপসারন না হয় তাহলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুশিয়ারী উচ্চারন করেন তারা।

উল্লেখ্য গত ১৫ মার্চ ফতুল্লা মডেল থানায় অনুষ্ঠিত ওপেন হাউস ডে তে বক্তব্য রাখেন প্রবীন সাংবাদিক নরুল ইসলাম নুরু।

 তার বক্তব্যে তিনি বলেছিলেন সাংবাদিক পুলিশ একে অপরের পরিপুরক। কিন্তু এ থানা তার ব্যতিক্রম। ওপেন হাউস ডের নামে চলে ফতুল্লা মডেল থানায় চলে গোপন হাউস ডে।

ওসি আসলাম হোসেনে বিরুদ্ধে এমন বক্ত্য দেয়াতে তার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে এমন অশোভন আচরন করেছেন বলে জানান নরুল ইসলাম নুরু।

সারাদেশ যখন করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে লকডাউনে ঠিক সে সুযোগে সরকারি খাল দখলে ব্যস্ত অদৃশ্য শক্তি

সারাদেশ যখন করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে লকডাউনে ঠিক সে সুযোগে সরকারি খাল দখলে ব্যস্ত অদৃশ্য শক্তি
হাসান খানঃ সারা দেশে প্রায় ২০০০টি শিল্প কল-কারখানা । অর্ধেকের বেশি ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (ইটিপি) স্থাপন করেনি বা সব সময় চালু রাখে না বলে বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায়। বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। শিল্পবর্জ্যরে বড় শিকার হচ্ছে রাজধানী বা শিল্প এলাকার নদীগুলো। বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা, বালু, হালদা, কর্ণফুলী, সুরমা, রূপসা কিংবা ব্রহ্মপুত্র কোনো নদীই রেহাই পাচ্ছে না #ফুলবাড়িয়া_এলাকা_ও এ দূষণের হাত থেকে। শিল্পের উন্নয়নের সাথে সাথে দেশে দূষণের ভয়াবহতাও বাড়ছে। শিল্প-কারখানা থেকে নির্গত তরল বর্জ্য, বিষাক্ত রাসায়নিক এবং অন্যান্য মানুষের বর্জ্য ইত্যাদির মাধ্যমে নদী-খাল ইত্যাদি দূষণ হচ্ছে। #নারায়ণগঞ্জ_এর_সোনারগাঁও_মোগরাপাড়া_ফুলবাড়িয়া  ও এর #আশপাশের_১৬_টা_এলাকার নদী-খাল, বায়ু দূষণ হচ্ছে। পরিকল্পিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না থাকায় ফুলবাড়িয়া সহ ১৬ টি এলাকা বা শীতলক্ষ্যা নদীর পানি দূষিত করছে। এসব শিল্প কল-কারখানার বেশিরভাগই শব্দ দূষণ করছে। কল-কারখানার বর্জ্য পানির পরিমাণ দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে।। কিন্তু সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ব্যাপারে কারও বিশেষ করে সংশ্লিষ্ট শিল্প মালিকের তেমন মাথা ব্যথা নেই। পানির ঢলে শিল্পবর্জ্য হালদায় পড়ে নদী দূষণ হচ্ছে। ফলে এলাকার অন্যতম বৃহত্তম প্রাকৃতিক মাছের অভয়ারণ্য হুমকির মুখে। #মোগরাপাড়া_ফুলবারিয়া_হতে_মেঘনা_নদী_পর্যন্ত শিল্প কারখানাগুলোর বর্জ্য হালদা সংযুক্ত খাল ও সংযুক্ত পরিত্যক্ত জমিতে পড়ছে। এর ফলে বর্ষাকালে বা বন্যার সময় খাল বেয়ে হালদার পানিতে পড়ছে এসব বর্জ্য। এতে ফসল নষ্ট হচ্ছে, মাছ মরছে। দূষণ হচ্ছে। পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। শিল্পবর্জ্য ও দখলে অস্তিত্ব হারাচ্ছে ১৬টি এলাকার খাল ফসল জমি ও নদ। অপরিকল্পিত নগরায়ণ ও বিষাক্ত বর্জ্য এই এলাকার পানির রঙ পাল্টে দিচ্ছে। ভয়াবহ দূষণের শিকার হচ্ছে। কোথাও পানির রঙ লাল হয়ে গেছে আবার কোথাও কালচে হয়ে যাচ্ছে পানির রঙ। #টিপুরদির #কেন্টাকি_টেকক্সটাইল_লিঃ_ফ্রেশ_উসান_ও_চৈতী_গ্রুপ  আরও অনেক শিল্প কারখানা থেকে ময়লার পানি ও শিল্পের এসিডের পানি আমাদের এলাকা ও জনগনদের অনেক ক্ষতি  করছে । এখান থেকে শিল্পবর্জ্য পানি শীতল্ক্ষ্যা-ও মেঘনা নদীতে  পড়ছে। এর ফলে ফসলাদু জমি গুলা নষ্ট হয়ে গেছে
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শিল্প খাত হচ্ছে বস্ত্র ও পোশাক খাত। পোশাক কারখানা বা এর সংশ্লিষ্ট কারখানাতেই দূষণ বেশি।

বুয়েটের এ গবেষণায় বলা হয়, পরিবেশের ওপর বেশি প্রভাব ফেলছে বস্ত্র শিল্পে ব্যবহৃত পানি ও সেখান থেকে নিঃসরিত বর্জ্য। এ শিল্পের কারখানায় উৎপাদিত প্রতি ইউনিট কাপড়ে ভালোমাত্রায় পানির ব্যবহার হয়। এর প্রভাবে ভূগর্ভস্থ পানির পরিমাণ ব্যাপক হারে কমছে। আবার বস্ত্র শিল্প-কারখানা থেকে নির্গত পানি কোনো পরিশোধন ছাড়াই নদী ও শুকনো জমিতে গিয়ে মিশছে। এ অপরিশোধিত বর্জ্য পানিতে অক্সিজেনের মাত্রা কমিয়ে জলজ প্রাণীর জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, বস্ত্র শিল্প অধ্যুষিত ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁও অঞ্চলগুলোর নদী ও পানি সবচেয়ে বেশি দূষণের শিকার হচ্ছে।

এবং মোগরাপাড়ার ফুলবারিয়ার খাল হয়ে শীতলক্ষ্যা ও মেঘনা নদী দূষণের কারণে ওই অঞ্চলে দূষিত পানি ব্যবহার করার ফলে মরণব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
জেলা প্রশাসক ও সোনারগাঁও থানার ইউএনও
কে এই বিষয় টা গুরত্বসসহ দেখার অনুরোধ ভোক্তভুগি এলাকাবাসি

সোনারগাঁওয়ে কাচপুর হাইওয়ে পুলিশের বেপরোয়া ঘুশ বানিজ্যের অভিযোগ

সোনারগাঁওয়ে কাচপুর হাইওয়ে পুলিশের বেপরোয়া ঘুশ বানিজ্যের অভিযোগ


হাসান খানঃ গত ১৯-০৩-২০২০ ইং  নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁওয়ে মদনপুর থেকে কাচপুর জেতে মাঝামাঝি  কিউটের কোম্পানির  সামনে রকেট ডিস্টিভিউসন মালিক এর বাইকের পিছনে বেপরোয়া গতি সম্পন্ন সৌদিয়া পরিবহন দাক্কা দেয়।

ডিস্ট্রিভিউশন মালিক ও ম্যানেজার বাইক নিয়ে রাস্তার পরে গেলে আশেপাশের লোকজন ও একটি প্রাইভেট কার এসে সাথে সাথে বাসটির গতিরোধ করে ,ওই সময় বাস এর চালক ও রকেট ডিস্টিভিউসন এর মালিক এর কথা কাটাকাটির এক প্রজায় আইনের প্রতি স্রোধা জানিয়ে রকেট ডিস্টিভিউসন মালিক কাচপুর হাইওয়ে পুলিশকে ফোন করে , কিছুক্ষণের মধ্যে  কিউটের সামনে উপস্থিত হয় কাচপুর হাইওয়ে পুলিশের এস আই মাহাবুব, তখন রকেট ডিস্টিভিউসন এর মালিক ও আসেপাশের লোকজন  পুলিশ এর কাছে  আটক করা গাড়িটি বুঝিয়ে দেন।
 আসেপাশের লোকজনের কথাশুনে  পুলিশ  আশ্বাস প্রধান করেছেন আপনারা আগে চিকিৎসা করেন আমরা গাড়িটি থানায় নিয়ে যাচ্ছি গাড়ির মালিক ও আপনাকে নিয়ে এক সাথে বসে যেভাবে সুন্দর হবে উভয়ের খতির বিষয় চিন্তা করে  মিট করবো কিন্তু ২ দিন অতিক্রম হলেও কোনো রেস্পন্স না পেয়ে রকেট ডিস্টিভিউসন এর মালিক কাচপুর হাইওয়ে থানায় হাজির হয়ে দেখে আটক করা গাড়িটি থানায় নাই পাসে থাকা এক কনস্টেবলকে জিজ্ঞেস করলে জান্তেপারে আটককীত গাড়ি ঐ দিনই ছেরে দেয়া হয়েছিলো, এই বেপারে রকেট ডিস্টিভিউসন এর মালিক খোব প্রকাশ করে  আমাদের জানান,  নাজানিয়ে ছেড়ে দেয়ার মানি হলো টাকার কাছে পুলিশের বিক্রি হওয়া ।আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি ও এই বিষয়টি নিয়ে উর্ধতন কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ করবো কারন আমাদের চিকিৎসা, গাড়ি, মোবাইল সহ অনেক ক্ষতি হয়েছে। 

সাংবাদিককে তুলে নিয়ে যাওয়ার ভয়াবহ বর্ণনা দিলেন স্ত্রী

সাংবাদিককে তুলে নিয়ে যাওয়ার ভয়াবহ বর্ণনা দিলেন স্ত্রী



 শনিবার, ১৪ মার্চ, ২০২০
 অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনের কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি আরিফুল ইসলামকে তার বাসা থেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা বর্ণনা করেন তার স্ত্রী মোস্তারিমা সরদার নিতু।
‘রাত সাড়ে ১২টার দিকে হঠাৎ করে আমাদের বাড়ির গেটে ধাক্কাধাক্কির শব্দ শুরু হয়। আমরা জানতে চাই, কারা ধাক্কাচ্ছে। এসময় বলা হয়, দরজা খুলুন, না হয় ভেঙে ফেলা হবে। এসময় আমার স্বামী কুড়িগ্রাম সদর থানার ওসিকে ফোন করলে তিনি বলেন, থানা থেকে কোনও পুলিশ সেখানে যায়নি, কারা গেছে বিষয়টি তিনি দেখছেন। এর মধ্যেই তারা দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে পড়ে। ঢুকেই মারতে শুরু করে আরিফকে। আমার স্বামী ও আমি জানতে চাই আপনারা কারা, কেন মারছেন। এসময় তারা আরিফকে বলে, তুই অনেক জ্বালাচ্ছিস- এই কথা বলেই মারধর শুরু করে। মারতে মারতে তাকে নিয়ে যায়। তাকে একটা শার্ট পরারও সময় দেওয়া হয়নি। মাত্র পাঁচ-সাত মিনিটের মধ্যে এই ঘটনা ঘটে যায়। বাসায় কোনও তল্লাশি অভিযানও চালানো হয়নি। অথচ দাবি করা হয়েছে তার কাছে মদ ও গাঁজা পেয়েছে।’
আরিফুলের স্ত্রী নিতু জানান এক পর্যায়ে দরজা ভেঙে ৭/৮ জন সাদা পোশাকধারী তাদের বাসায় প্রবেশ করে দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে আমার স্বামী আরিফুলকে মারধর করতে করতে ঘরের বাইরে নিয়ে আসে। এরপর আরিফুল তাদের কাছে কারণ জানতে চাইলে তারা আবারও তাকে মারধর করে। এরপর তাকে নিয়ে সরাসরি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, ‘বাড়িতে প্রবেশ করা ৭/৮ জন আনসার বাহিনীর পোশাক পরা ছিল। এছাড়াও বাইরে আরও ৪০ থেকে ৫০ জন দাঁড়িয়েছিল। আশপাশের লোকজন যাতে বাইরে বেরুতে না পারে সে জন্য প্রতিটি বাড়ির গেটের সামনে ২/৪ জন করে দাঁড়িয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘এই ঘটনা সময় বাড়িতে আমার স্বামী, আমি আর আমার দুই শিশু সন্তান ছাড়া আর কেউ ছিল না। তাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর এডিশনাল এসপি ও ওসি সাহেব আমাদের বাসা পরিদর্শন করেছেন। তারা বলেছেন, এ বিষয়ে কিছুই জানেন না।’
স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে তিনি জানান, রাত ২টার দিকে জেলা প্রশাস কার্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে আরিফুলের কাছে মাদক পাওয়া গেছে বলে অভিযোগ এনে রাত আড়াইটার দিকে কুড়িগ্রাম কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘আরিফুল সিগারেট এমনকি পানও খান না। আর তারা বাড়িতে আসলেও শুধু আরিফুলকে ধরে নিয়ে গেছে। তারাতো আমাদের ঘরের ভেতরে সার্চ করেনি বা কোনও কিছু পায়নি। এরপরেও কেমন করে তার কাছে মাদক পাওয়া গেছে বলে তাকে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হলো।’ তিনি বলেন, ‘দেশে কি আইন নেই? এভাবে রাতে বাড়ির গেট ও দরজা ভেঙে বাড়িতে ঢুকে একজন সংবাদকর্মীকে ধরে নিয়ে যাবে আমরা কোন দেশে বাস করছি?’ এদিকে এ ঘটনায় কুড়িগ্রামের সাংবাদিকদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক খ.ম আতাউর রহমান বিপ্লব জানান, ‘আমি গভীর রাতে বিষয়টি শুনেছি। এটি খুবই দুঃখজনক। বিষয়টি নিয়ে জরুরি সভা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
কুড়িগ্রাম কারাগারের জেলার লুৎফর রহমান সাবাদিক আরিফের এক বছরের সাজার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।

৫০,০০০ টাকা ঋণ নিলে, হাতে পান ২৫,০০০ টাকা

৫০,০০০ টাকা ঋণ নিলে, হাতে পান ২৫,০০০ টাকা

প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জ
হাওর উপজেলা মিঠামইনে ব্যাংক থেকে ঋণের পুরো টাকা পাচ্ছেন না গ্রাহকেরা। গ্রাহকদের অনেকে ঋণের টাকা তোলার পর দালালের খপ্পরে পড়ছেন। এমন অভিযোগে এক দালালকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রাহকদের দাবি, এর সঙ্গে ব্যাংকের কর্মকর্তারা জড়িত।
সম্প্রতি জনতা ব্যাংক মিঠামইন সদর বাজার শাখা থেকে ৫০ হাজার টাকা ঋণ তোলার পর অর্ধেক টাকা খুইয়েছেন মোহামিন নামের এক গ্রাহক। এ ঘটনায় তিনি কামাল হোসেন নামের এক দালালের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। পুলিশ কামালকে গ্রেপ্তার করে। তিনি কামালপুর গ্রামের মৃত শব্দর আলীর ছেলে।
মামলা থেকে জানা যায়, কৃষক মোহামিন চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে জনতা ব্যাংকে মিঠামইন শাখায় গিয়ে ঋণের আবেদন ফরম তোলার চেষ্টা করেন। কিন্তু ব্যাংকের লোকজন তাঁকে ফরম না দিয়ে কয়েক দিন অপেক্ষা করতে বলেন। এরপর ব্যাংক থেকে কামালের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়। ব্যাংকের পরামর্শে তিনি কামালকে ব্যাংকের কর্মকর্তা ভেবে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কামাল তখন ঋণের বিনিময়ে টাকা দাবি করেন। ঋণটা খুব প্রয়োজন বিধায় মোহামিন কিছু টাকা দিতে রাজি হন। কামাল জনতা ব্যাংক থেকে একটি ফরম তুলে ৫০ হাজার টাকা ঋণ চেয়ে মোহামিনের স্বাক্ষর নিয়ে নিজেই ফরমটি ব্যাংকে জমা দেন। ফরম পূরণের ৩ দিন পর ১৫ ফেব্রুয়ারি কামাল ফোন করে মোহামিনকে উপজেলার গোপদীঘি এলাকার চান মিয়াকে নিয়ে মিঠামইন বাজারে যেতে বলেন। মোহামিন কথামতো চান মিয়ার সঙ্গে মিঠামইন বাজারে গেলে কামাল ফোন করে তাঁদের একটি দোকানে যেতে বলেন। দোকানে গেলে কামাল জনতা ব্যাংকের একটি চেক বই মোহামিনের হাতে দিয়ে স্বাক্ষর করতে বলেন। তিনি কামালের কথামতো স্বাক্ষরের পর ৫০ হাজার টাকার চেকটি চান মিয়ার হাতে দিয়ে ব্যাংকে যান। সেখানে তাঁর আরেকটি স্বাক্ষর নেওয়া হয়। এরপর চান মিয়া গ্রাহক মোহামিনকে নিয়ে আবার সেই দোকানে আসেন। সেখানে কামাল তাঁর (মোহামিন) হাতে জোর করে ২৫ হাজার টাকা তুলে দিয়ে বাড়ি চলে যেতে বলেন এবং বিষয়টি কাউকে জানালে হত্যার হুমকি দেন।
এ ঘটনার পর মোহামিন খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, কামাল জনতা ব্যাংকের কেউ নন। তিনি জনতা ব্যাংকের ঋণগ্রহীতাদের কাছ থেকে নিয়মিত জোর করে এভাবে টাকা রেখে দেন।
মোহামিন ছাড়াও আল আমিন নামের আরেক ঋণগ্রহীতা ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে গিয়ে এ রকম ভোগান্তির অভিযোগ করেন। তাঁদের অভিযোগ, দালালের মাধ্যমে প্রত্যেক ঋণগ্রহীতার কাছ থেকে প্রায় অর্ধেক টাকা রেখে দেওয়ার এ অপকর্মের সঙ্গে ব্যাংকের ব্যবস্থাপকসহ অন্য কর্মকর্তারা জড়িত।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরও অন্তত পাঁচজন ঋণগ্রহীতা অভিযোগ করেন, জনতা ব্যাংকের ঋণ প্রদানে অনিয়ম-দুর্নীতি ও গ্রাহক হয়রানিতে অতিষ্ঠ হাওরের অনেক কৃষক। কারও কারও ক্ষেত্রে ঋণের অর্ধেক টাকা রেখে দেওয়া হয়।
তবে মিঠামইন শাখা জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপক তুলিপ কুমার সাহা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, তিনি একজন কৃষককে সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা ঋণ দিতে পারেন। এ পর্যন্ত প্রায় ৮০-৮৫ লাখ টাকার ঋণ দেওয়া হয়েছে। গ্রেপ্তার কামালের ব্যাপারে তিনি দাবি করেন, কামাল তাঁর গ্রাহক, মোহামিনও গ্রাহক। দুজনের মধ্যে কী হয়েছে, সে ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না। কামালের সঙ্গে তাঁর কোনো যোগসাজশ নেই দাবি করে তিনি বলেন, প্রত্যেক ঋণগ্রহীতা তাঁর ব্যক্তিগত হিসাবের মাধ্যমে টাকা নেন। এখন মোহামিন কেন কামালের দোকান থেকে ২৫ হাজার টাকা নিলেন, এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।
মিঠামইন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকির রব্বানী বলেন, কামালের বিরুদ্ধে জনতা ব্যাংকে মধ্যস্থতা করে গ্রাহকদের তোলা ঋণের প্রায় অর্ধেক নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সে জন্য তাঁর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা হওয়ার পর তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া গেছে, কামাল এসব কাজ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে করে থাকেন।

গাজীপুর সদর দলিল লিখক ও ভেন্ডার কল্যান সমিতির এডহক কমিটি ভেঙ্গে প্রশাসক নিয়োগ

গাজীপুর সদর দলিল লিখক ও ভেন্ডার কল্যান সমিতির এডহক কমিটি ভেঙ্গে প্রশাসক নিয়োগ


জাহিদ হাসান জিহাদঃ গাজীপুর সদর দলিল লিখক ও ভেন্ডার কল্যান সমিতির নির্বাচনের পক্ষে যাওয়া সদস্যদের অভিযোগের ভিত্তিতে বর্তমান ৩ সদস্য বিশিষ্ট এডহক কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে সমাজসেবা কার্যালয় তারই পরিপ্রেক্ষিতিতে উক্ত গাজীপুর সদর দলিল লিখক ও ভেন্ডার কল্যান সমিতির সকল কার্যক্রম জেলা সমাজসেবা কার্যালয় নিয়ন্ত্রন করবে বলে গত ২৩/০১/২০২০ তারিখে একটি চিঠি প্রেরণ করেছে গাজীপুর সদর দলিল লিখক ও ভেন্ডার কল্যান সমিতি বরাবর। গাজীপুর সদর দলিল লিখক ও ভেন্ডার কল্যান সমিতির সদস্যরা গত ২৩/০১/২০২০ তারিখে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব জাহিদ আহসান রাসেল এম.পি, গাজীপুর সিটি কর্পোরশেনের মাননীয় মেয়র এড. জাহাঙ্গীর আলম, গাজীপুর জেলা প্রশাসক, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, গাজীপুর জেলা রেজিষ্টার, গাজীপুর সমাজকল্যান অধিদপ্তর ও সদর মেট্রোথানা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করে।

উক্ত অভিযোগে বলা হয়, গাজীপুর সদর দলিল লিখক ও ভেন্ডার কল্যান সমিতি একটি পেশাজীবী সংগঠন, বিগত দিনে উক্ত সংগঠনের দুই বৎসর অন্তরে সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচিত সদস্যদের নিয়ে সমিতিটি পরিচালিত হয়ে আসতেছে। কমিটির মেয়াদান্তে পরবর্তী মেয়াদের কমিটি নির্বাচনের জন্য এডহক কমিটি গঠন করা হয়। পরবর্তী সকল এডহক কমিটি সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত কমিটির নিকট শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর করে কিন্তু পরিতাপের বিষয়, সর্বশেষ গঠিত এডহক কমিটির মেয়াদ প্রায় শেষের দিকে এরই মধ্যে তারা নির্বাচন ত দূরের কথা, নির্বাচন করার ব্যাপারে কোনো প্রকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তার পরিবর্তে গরিমষি করিয়া কালক্ষেপন করিতেছে বলে একটি লিখিত অভিযোগ করে।

উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে গাজীপুর জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক এস.এম.আনোয়ারুল করিম স্বাক্ষরিত গত ২৩/০১/২০২০ তারিখ গাজীপুর সদর দলিল লিখক ও ভেন্ডার কল্যান সমিতির কার্যালয়, মহা পরিচালক সমাজসেবা অধিদপ্তর ঢাকা, পরিচালক (কার্যক্রম) সমাজসেবা অধিদপ্তর, ঢাকা গাজীপুর জেলা প্রশাসক, উপ-পরিচালক (নিবন্ধন) সমাজসেবা অধিদপ্তর, ঢাকা বরাবর একটি চিঠি দাখিল করেছে। উক্ত চিঠিতে বলা হয়েছে, নির্বাচনের পক্ষে ২৯৩ জনের স্বাক্ষরিত একটি তালিকা তাদের বরাবর প্রেরণ করা হয়। উক্ত কাগজপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, গঠনতন্ত্রের ১০ ধারা মোতাবেক দুই বঃসর অন্তর অন্তর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। গত ২৮/১২/২০১৭ তারিখে ৩ সদস্য বিশিষ্ট এডহক কমিটি গঠন করা হয়। উক্ত কমিটির মেয়াদ গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ৬০ দিন। মেয়াদ উর্ত্তীণ হবার পরও দীর্ঘদিন পর্যন্ত নির্বাচনের বিষয়ে গঠনতন্ত্র মোতাবেক কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় গঠিত এডহক কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহাকারী পরিচালককে নিয়োগ দিয়েছে।

এদিকে একটি সূত্রে জানা গেছে, উক্ত সমিতির নির্বাচন নিয়ে বর্তমান বিলুপ্ত এডহক কমিটি নির্বাচন না দিয়ে একটি পকেট কমিটি করার পায়তারা করছে দীর্ঘদিন যাবৎ এবং পকেট কমিটি করার জন্য মহানগর পর্যায়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলে দৌড়ঝাপ শুরু করছে বলে জানা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক সদস্য এই প্রতিনিধিকে জানান, ৩৫০ জন সদস্যের ভিতরে ২৯৩ জন সদস্য নির্বাচন চায়, উক্ত নির্বাচনের পক্ষে একটি গণস্বাক্ষর বিভিন্ন কার্যালয়ে আমরা প্রেরণ করেছি শুধু মাত্র একটি সুষ্ঠ নির্বাচনের জন্য। যদি আমাদের এই দাবী না মানা হয় তাহলে আমরাও কোনো প্রকার পকেট কমিটি মানব না। এদিকে নির্বাচনকে সামনে রেখে উক্ত নির্বাচনী এলাকায় দিনে দিনে বাড়ছে উত্তপ্ততা। যে কোনো সময় ঘটতে পারে রক্ষক্ষয়ি সংঘর্ষ। বিষয়টির প্রতি গাজীপুর প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে গাজীপুর সদর দলিল লিখক ও ভেন্ডার কল্যান সমিতির সদস্যবৃন্দরা।

আইজিপি পদক পেলেন গাজীপুর র‍্যাব -১ কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন

আইজিপি পদক পেলেন গাজীপুর র‍্যাব -১ কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন
 

    

জাহিদ হাসান জিহাদ।। ‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার-পুলিশ হবে জনতার’ এই পতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে পাঁচ দিনব্যাপী পুলিশ সপ্তাহ-২০২০ শুরু হয়েছে।

রবিবার (৫ জানুয়ারি) সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে পাঁচ দিনব্যাপী পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ বছর ৭১৩ জন পুলিশ সদস্য পাচ্ছেন বিপিএম, পিপিএম ও আইজিপি পদক। এর মধ্যে সেবা, সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য পুলিশ সপ্তাহে চারটি ক্যাটাগরিতে ১১৮ জনকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) ও প্রেসিডেন্ট পুলিশ পদকের (পিপিএম) জন্য মনোনীত করা হয়েছে। এছাড়া প্রশংসনীয় ও ভালো কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ এ বছর ‘আইজিপিস এক্সেমপ্ল্যারি গুড সার্ভিসেস ব্যাজ’ পেয়েছেন ৫৯৫ জন।

পাঁচ দিনব্যাপী পুলিশ সপ্তাহের এ আইজিপি পদক (আইজিপিস এক্সেমপ্ল্যারি গুড সার্ভিসেস ব্যাজ) পেয়েছেন র‍্যাব-১ এর গাজীপুর পোড়াবাড়ি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন, (জি), বিএন।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মাঠে পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল ড. মো. জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম (বার) পুরস্কার হিসেবে তাকে আইজিপি ব্যাজ পড়িয়ে দেন।

আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ায় ১০ হাজার উটকে গুলি করে মারার নির্দেশ

পুরস্কার পাওয়ার পর আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, এ পুরস্কার তাকে সামনে এগিয়ে চলার অনুপ্রেরণা যোগাবে। তিনি সারাজীবন দেশের নির্যাতিত এবং নিপীড়িত মানুষের হয়ে কাজ করতে চান। দেশ থেকে জঙ্গিবাদ, মাদক এবং সন্ত্রাস দূর করতে তিনি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

উল্লেখ্য, এ বছর তিনি ১০ জন জঙ্গি, বেশ কয়েকটি হত্যাকাণ্ডের আসামি, কয়েকশ মাদক মামলার আসামিকে গ্রেফতারসহ গাজীপুরের ১৩টি থানার আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন। তার সাহসী নেতৃত্বে জঙ্গি, সন্ত্রাসী, মাদক কারবারি, চাঁদাবাজ, হত্যা মামলার ভূমিদস্যু, চোরাকারবারিসহ প্রায় ৫শ জন আসামিকে গ্রেফতার করে আইনের হাতে সোপর্দ করে অপরাধ মুক্ত দেশ গঠনে ভূমিকা পালন করেছেন। এছাড়া গাজীপুরের বিলাশপুরে চাঞ্চল্যকর রিনা হত্যার আসামিদের গ্রেফতার করেন।