সোনারগাঁয় আম পাড়তে বাঁধা দেয়ায় যুবককে পিটিয়ে হত্যা,১ মহিলা আটক

সোনারগাঁয় আম পাড়তে বাঁধা দেয়ায় যুবককে পিটিয়ে হত্যা,১ মহিলা আটক

জসিম উদ্দিনঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে গাছ থেকে আম পাড়ায় বাঁধা দেয়ায় রতন মিয়া (৩৫) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন।

২৯ মে (বুধবার) সকালে উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের বাবরকপুর গ্রামে এ ঘটনার পর পুলিশ আক্তার ভানু (৫০) নামের এক নারীকে আটক করেছে।

সোনারগাঁ থানার এস আই আজিজ জানান,উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের বাবরকপুর গ্রামের মোতালিবের ছেলে রতনের সাথে একই গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে আরিফ ও প্রান্তর দীর্ঘদির ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিলো ।

বুধবার সকালে রতনের বসত বাড়ী থেকে প্রতিপক্ষ আরিফ, প্রান্ত ও আক্তারভানু জোড় করে আম পাড়তে গেলে রতন তাদেরকে আম পাড়তে বাঁধা দেয়।ক্ষিপ্ত হয়ে দেশীয় তৈরী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রতনের উপর হামলা চালায় তারা।

এ সময় রতন তার বসত ঘরে গিয়ে আশ্রয় নিলে প্রতিপক্ষরা তার বসত ঘরে ঢুকে এলোপাথারি পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে।রতনের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে আহত রতনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

খবর পেয়ে সোনারগাঁও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সেখান থেকে আক্তার ভানু নামের এক নারীকে আটক করেছে। ঘটনার পর থেকে আরিফ ও প্রান্ত পলাতক রয়েছে।

নিহত যুবক রতনের মামা জাহাঙ্গির হোসেন বলেন, আমার ভাগিনা রতনের সাথে তার প্রতিবেশি আরিফ ও প্রান্তর জমি নিয়ে পূর্বের বিরোধ ছিল।
বুধবার সকালে রতনের বসত বাড়ি থেকে আম পাড়তে গেলে রতন এতে বাঁধা দেয়। ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিপক্ষরা তাকে পিটিয়ে হত্যা করে। নিহত রতন রাজমিস্ত্রির কাজ করতো। সে বিদেশ যাওয়ার জন্য চেষ্টা করছিল।

সোনারগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক অবস্থায় একজনকে আটক করা হয়েছে,বাকিদেরকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।

মাওলানা ওবাইদুল কাদের নদভী কাসেমীর উদ্যোগে এতিম শিক্ষার্থীদের নিয়ে ইফতার ও দোয়া মাহফিল

মাওলানা ওবাইদুল কাদের নদভী কাসেমীর উদ্যোগে এতিম শিক্ষার্থীদের নিয়ে ইফতার ও দোয়া মাহফিল
জসিম উদ্দিনঃ নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নে নদভী নগর মাওলানা ওবাইদুল কাদের নদভী কাসেমীর উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিত এতিম শিক্ষার্থীদের নিয়ে ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ মে) মাদ্রাসাতুল শরফ আল ইসলামিয়া শিশু সনদ ও এতিমখানায় এই ইফতার ও দোয়া মাহফিল সম্পন্ন হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী অফিসার অঞ্জন কুমার সরকার

সসভাপতিত্ব করেছেন মাওলানা ওবাইদুল কাদের নদভী কাসেমী 
প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মাদ্রাসাতুল শরফ আল ইসলামিয়া শিশু সনদ 

প্রধান অতিথি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য যে কোন প্রয়োজনে এতিমদের পাশে থাকার আশ্বাস প্রদান করেন ,তিনি মাদ্রাসায় প্রায় কয়েকশ সমাজের অবহেলিত এতিম শিশুদের মাঝে নতুন পোশাক বিতরণ করেন। এরপরই দোয়া ও ইফতারের আয়োজন সম্পন্ন হয়। এসব এতিম শিশুদের মাঝে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের  হাত থেকে নতুন পোশাক পেয়ে বাড়তি আনন্দ দেখা মিলেছে।

এ সময় মাদ্রাসার শিক্ষক শিক্ষার্থী ও অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিশেষ অতিথি, হাফিজা সুলতানা সমাজ কল্যাণ অফিসার ,ম্মানিত অতিথি, আলহাজ্ব কবিরুজ্জামান মোল্লা , ম্মানিত অতিথি,সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ রিয়াদ , সেলিম,হারুন,রাজিব সহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। বিকাল ৫টায় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত পাঠের মধ্য দিয়ে আরম্ভ হয়। এরপর ইফতারের আয়োজন করা হয়।

আয়োজক কমিটির সদস্যরা জানান, সমাজের অবহেলিত এই এতিম শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী বিশাল আয়োজন করতে না পারলেও ছোট আকারে ইফতার মাহফিলটি করে জান্নাতি পাখির মুখে হাসি ফোটাতে পেরেছি এতটুকুতেই আমরা আনন্দিত। এর মাধ্যমে আমাদের অনেক দিনের আশা পূর্ণ হয়েছে। আমরা মনে করি সমাজের উচ্চ-মধ্যবিত্ত লোকেরা যেভাবে বিভিন্ন হোটেল রেস্টুরেন্টে গিয়ে ইফতার মাহফিল করে খাবারের অপচয় করে তা বাদ দিয়ে যদি এসব অসহায় এতিম শিক্ষার্থীদের মুখে ভালো কোনো খাবার তুলে দেয় তাহলে তাদের মুখে হাসি ফুটিয়ে তোলতে পারাটাই সার্থকতা

সোনারগাঁ পৌরসভায় সড়ক উন্নয়নের কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ

সোনারগাঁ পৌরসভায় সড়ক উন্নয়নের কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ পৌরসভার বিভিন্ন সড়কে সুরক্ষা দেয়াল ও মাটি ভরাট না করার অভিযোগ উঠেছে দুটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। এর আগেও একই সড়ক ও প্রতিষ্টানের বিরুদ্ধে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। ফলে নির্মিত সড়কগুলো ভেঙ্গে পড়ার আশংকা করছেন এলাকাবাসী।
পৌরসভার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গুরুত্বপূর্ণ শহর অবকাঠামো উন্নয়ণ প্রকল্পের আওতায় চারটি গুচ্ছের কাজ পায় সোনারগাঁ এন্টারপ্রাইজ ও রিপা কন্সট্রাকশন। কার্যাদেশ পেয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলি দশমাস ধরে বিভিন্ন ওয়ার্ডের সড়কে কার্পেটিং এবং আরসিসি ঢালাইয়ের কাজ করে। রাস্তার আরসিসি ঢালাইয়ের ছয়মাস পেরিয়ে গেলেও সড়কের দুই পাশে সুরক্ষা দেয়াল নিমার্ণ ও মাটি ভরাট না করার অভিযোগ করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী। সুরক্ষা দেয়াল না থাকায় যে কোন সময় সড়কগুলো ভেঙ্গে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। এতে দূর্ভোগে পড়বেন হাজার হাজার মানুষ।
পৌরসভার গোয়ালদী জিটকাতলা সড়ক, বাংলাদেশ লোক ও কারশিল্প ফাউন্ডেশনের পাশ থেকে ইছাপাড়া মুক্তিযোদ্ধা ওসমান গনির বাড়ি এবং গোয়ালদীর হরিশপুর থেকে গোয়ালদী কবরস্থান পর্যন্ত সড়কে দেখা যায়, সড়কের আরসিসি ঢালাই হলেও দুই পাশে সুরক্ষা দেয়াল নিমার্ণ ও মাটি ভরাট করা হয়নি। এতে রাস্তার বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক উপ-কমান্ডার ওসমান গনি বলেন, এ সড়কের নির্মাণকাজে যে ধরনের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে, তা খুবই নিম্নমানের। সুরক্ষা দেয়াল না থাকায় কয়েকমাসের মধ্যে সড়কটি ভেঙ্গে যাবে। গত কয়েকমাস আগে সে সুরক্ষা দেয়ালের জন্য সড়ক ঘেষে আরসিসি পিলারের রড উঠিয়ে আবার কাজ বন্ধ করে রেখেছে। তার ক্ষমতার কাছে আমরা অসহায়।
পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নাঈম আহমেদ রিপন বলেন, সুরক্ষা দেয়াল না থাকায় ভারি বর্ষন হলে সড়কটি ভেঙ্গে যেতে পারে। আমি ঠিকাদারের সাথে কথা বলেছি, সে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই সুরক্ষা দেয়াল ও মাটি ভরাট করে দেবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সোনারগাঁ এন্টারপ্রাইজের মালিন শাহীন মিয়া বলেন,‘আমি কাজ না করলে দুনিয়ার কারো ক্ষমতা নেই আমাকে কাজ করানোর। যদি পৌরসভায় বাজেট আসে মন চাইলে কাজ করব না চাইলে করব না।’
শুধু সুরক্ষা দেয়াল নির্মানের অভিযোগ ছাড়াও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার এবং চারটি কাজে দরপত্রের কারসাজির অভিযোগও করেছে একাধিক ঠিকারী প্রতিষ্ঠান। ২০১৮ সালের জুন মাসে ঢাকার ঢাক নামের একটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দরপত্র আহবান করে।
এ ব্যাপারে পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী তানভীর আহাম্মেদ জানান, ঠিকাদারের চাহিদা একটু কাজ করে বিল তুলে বাকি কাজ করবে। যা সম্পূর্ণ বে আইনি। আমি তাদের বলেছি কাজ সমাপ্ত করে বিল তুলে নিয়ে যান। আপনাদের বিল রেডি আছে।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁ পৌরসভার মেয়র সাদেকুর রহমানের সাথে কথা বলতে চাইলেও তিনি দীর্ঘদিন অসুস্থ্য থাকায় তার দায়িত্ব পালন করছেন পৌরসচিব। সরেজমিন পৌরসভায় গিয়ে জানা যায়, সামসুল আলম সপ্তাহে দু’তিন দিন অফিসে আসেন তাও বেলা ২/৩ টার সময়। এ ব্যাপারে কথা বলতে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্ঠা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

সোনারগাঁয়ে মাদক ব্যবসায়িকে বাধা দেওয়ায় একই পরিবারের ৪ জনকে পিটিয়ে আহত,আটক ১

সোনারগাঁয়ে মাদক ব্যবসায়িকে বাধা দেওয়ায় একই পরিবারের ৪ জনকে পিটিয়ে আহত,আটক ১

হাসান খানঃ নারায়ণগঞ্জের সোনাগাঁয়ে মাদক ব্যবসায় বাধা দেওয়ায় একই পরিবারের ৪ জনকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে।
২৬ মে (রবিবার) বিকেলে উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের কাবিলগঞ্জ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন,শেফালী সুলতানা (৪৫), মাকমুদা আক্তার (২৭), বিপ্লব (৩৮) ও আব্দুর রউফ সবুজ (৪২)।


গুরুতর আহত অবস্থায় শেফালী সুলতানা ও অন্তঃসত্তা মাকমুদা আক্তারকে ঢকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আব্দুর রউফ সবুজ বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিশ ঘটনা স্থল থেকে রাব্বু নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে মাদক সহ আটক করেছে।
আহত শেফালী সুলতানা ও অন্তঃসত্তা মাকমুদা আক্তারের অবস্থা আশংকা জনক।
সোনারগাঁও থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমান জানান, এ ঘটনায় রাব্বু নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে মাদক সহ আটক করা হয়েছে

সোনারগাঁওয়ে এ, এইচ, এম মাসুদ দুলালের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল

সোনারগাঁওয়ে এ, এইচ, এম মাসুদ দুলালের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ   বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক উপ কমিটির সহ - সম্পাদক এ এইচ এম মাসুদ দুলাল তার নিজ বাড়ী নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ডহর পাড়ায় এই দোয়া ও ইফতার মাহফিলে আয়োজন করেন ।


আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোঃ হারুন অর রশিদ ।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁও থানার পুলিশের ওসি তদন্ত হেলাল উদ্দিন, সোনারগাঁও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাসান রাশেদ, উপজেলা একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শেখ এনামুল হক বিদ্যুৎ, সাধারণ সম্পাদক গোলজার হোসেন ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত ওসমান সরকার রিপন সহ সোনারগাঁও উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের প্রায় পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী।

রূপচর্চা প্রেমী তরুণী ও তরুণদের জন্য সুখবর

রূপচর্চা প্রেমী তরুণী ও তরুণদের জন্য সুখবর


জসিম উদ্দিনঃ রুপচর্চা প্রেমী তরুণী ও তরুণদের কথা মাথায় রেখে ভেজালের ভিড়ে খাঁটি মানের নিশ্চয়তা নিয়ে সোনারগাঁওয়ে বিশ্বের খ্যাতনামা ব্যান্ডের প্রসাধনীর সম্ভার নিয়ে এসেছে "কাইফা কসমেটিকস" 

কাইফা কসমেটিক্স সদ্য উদ্ধোধন হওয়া সোনারগাঁয়ের মোগরাপাড়া চৌরাস্তা বাস স্ট্যান্ডের পশ্চিম প্রান্তে সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আল মদিনা শপিং মলের ১৫ নাম্বার দোকানে অবস্থিত ।

সোনারগাঁ থানার এসআই সলিমুল হক ও আশিক ইমরানের গ্রেফতার বানিজ্য

সোনারগাঁ থানার এসআই সলিমুল হক ও আশিক ইমরানের গ্রেফতার বানিজ্য

জসিম উদ্দিনঃ  আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনেে রেখে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সলিমুল হক ও আশিক ইমরান নেমেছেন গ্রেফতার বানিজ্যে।

বিভিন্ন স্থানে অভিযানের নামে অপরাধীদের ধরেও মোটা অঙ্কের আর্থিক লেনদেনের মাধম্যে ছেড়ে দিচ্ছেন তারা। গত শনিবার তারা ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের সংঘবদ্ধ ডাকাতদের হাতে পেয়েও ধরার চেষ্টা না করে এক জুয়াড়িকে গ্রেফতারের পর ৪০ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল নিয়ে তাকে ছেড়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা গেছে, গত শনিবার (১৮-০৫-২০১৯ ইং) সন্ধ্যায় ইফতারের পূর্ব মূহুর্তে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চেঙ্গাকান্দী এলাকায় অবস্থিত ওয়াই ইউ কে স্টীল মিলের পেছনের একটি ঝোপের মধ্যে আন্তঃজেলা ডাকাতদলের সদস্যরা অবস্থান করছে মর্মে জানতে পেরে সেখানে যৌথভাবে অভিযান চালায় সোনারগাঁ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সলিমুল হক ও আশিক ইমরান। সেখানে তারা দেখতে পায় আন্তঃজেলা ডাকাতদলের ৫/৬জনসহ কয়েকজন মিলে জুয়া খেলছে। এসময় এসআই সলিমুল হক ও আশিক ইমরানের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা তাদের ধরার চেষ্টা করলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। তবে ডাকাতদের সাথে থাকা স্থানীয় নুরুল ইসলামের ছেলে জুয়াড়ি আলমগীর (৩০)কে তার একটি মোবাইল ও জুয়া খেলার ১০/১২ হাজার টাকাসহ আটক করেন তারা। পরবর্তিতে এসআই সলিমুল হক ও আশিক ইমরান আটককৃতকে ডাকাতিসহ বিভিন্ন মামলার ভয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা দাবী করে। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে সে ৪০ হাজার টাকা দিলে তাকে ছেড়ে দেয়া হলেও তার মোবাইল ও জুয়া খেলার টাকা ফেরত দেয়া হয়নি। অপরাধী ধরে ছেড়ে দেয়ার ঘটনায় সোনারগাঁ থানা পুলিশের বিরুদ্ধে এলাকায় নিন্দার ঝড় বইছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে এসআই সলিমুল হক ও আশিক ইমরান তেমন কোন উত্তর না দিয়ে প্রতিনিধির সাথে দেখা করার কথা বলেন।

 এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার ওসি (তদন্ত) হেলাল উদ্দিন জানান, এমন ঘটনা আমার জানা নেই। যদি এমন ঘটনা তারা ঘটায় তাহলে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নারায়ণগঞ্জে ফোর-ফাইভ পড়া সাংবাদিকের দৌরাত্ম্য বেশী

নারায়ণগঞ্জে ফোর-ফাইভ পড়া সাংবাদিকের দৌরাত্ম্য বেশী



জসিম উদ্দিনঃনারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ বলেছেন, নারায়ণগঞ্জে ফোর ফাইভ পর্যন্ত পড়াশুনা করা সাংবাদিকদের দৌরাত্ম্য রয়েছে। এদের ব্যাপারে সাংবাদিক সমাজকে সজাগ থাকা জরুরি। এরা সাংবদিকদের এবং সমাজের ক্ষতির কারন হয়ে দাড়িয়েছে। গতকাল তিনি নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের জন্য পিআইবির এক প্রশিক্ষন কর্মশালায় প্রধান অথিতি হিসাবে উপস্থিত থেকে এসব কথা বলেন। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ। এছাড়া অন্যান্যের মাঝে আরো উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহবুবুর রহমান মাসুম, নারায়ণগঞ্জ সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবদুস সালাম, সাধারন সম্পাদক আফজাল হোসেন পন্টি, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারন সম্পাদক শরীফ উদ্দিন সবুজ প্রমুখ।

এ সময় পুলিশ সুপার আরো বলেন, নারায়ণগঞ্জের আইনশৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশ প্রশাসন নিরলস পরিশ্রম করে চলেছে। আমরা নারায়ণগঞ্জের সাংবাদিকদের সর্বাত্মক সহযোগিতা পাচ্ছি। আপনারা সহযোগিতা করলে আমাদের পক্ষে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়। এছাড়া তিনি আরো বলেন, আপনারা জানেন এ দেশে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে কিভাবে কোনঠাসা করে ফেলা হয়েছিলো। মিথ্যা ইতিহাস রচনা করা হয়েছিলো। বইপুস্তকে কোনো একজনকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়েছিলো। অথচ যে বঙ্গবন্ধু এ দেশ স্বাধীন করেছে, যার ৭ই মার্চের ভাষনের কারনে এই দেশ স্বাধীন হয়েছলো সেই বঙ্গবন্ধুকে কোনো মূল্যায়ণ করা হয়নি। কিন্তু এ দেশের সাংবাদিক সমাজ এই অপপ্রচার রুখে দাড়িয়েছিলো। সাংবাদিকরা তুলে ধরেছিলো প্রকৃত ইতিহাস। তাই আজ যারা প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন তারা পেশাদারিত্বের সঙ্গে মানুষের পাশে দাড়াবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।

সোনারগাঁয়ে মসজিদের টাকা আত্মসাত করে কোটিপতি

সোনারগাঁয়ে মসজিদের টাকা আত্মসাত করে কোটিপতি

জসিম উদ্দিনঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় মহাসড়কের পাশে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, মসজিদ কমিটির সভাপতি আবদুস সামাদ মুন্সী মসজিদের উন্নয়ন ও দানবাক্সের আয়ের টাকা মেরে হয়েছেন কোটিপতি। 

স্থানীয়রা জানায়, মোগরাপাড়া ইউনিয়নের হাবিবপুর গ্রামের (মৃত) নোয়াব আলী বেপারীর ছেলে ছামাদ মুন্সী। প্রায়  দুই যুগ ধরে অবৈধভাবে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি রয়েছেন। 
রাজনৈতিক কয়েকজন কর্মী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘সামাদ বিএনপি সরকারের সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক রেজাউল করিমের ঘনিষ্ঠ। সেই সময় ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি হাবিবপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি হন। এরপর থেকে সরকারের পরিবর্তন ঘটলেও তিনি বহাল থাকেন সভাপতি পদে। 

কয়েকজন স্থানীয় মুসল্লি জানায়, ‘মসজিদের আয় হলেও উন্নয়ন না করে লুটেপুটে খাচ্ছেন সভাপতি।’
হাবিবপুর গ্রামের হাসান,শাহিন, খোরসেদ, ফারুক সহ আরো অনেকে বলেন, ‘মসজিদের টাকার পাশাপাশি সামাদ নিরীহ লোকদের জিম্মি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন।’
অভিযুক্ত আবদুস সামাদ মুন্সীর বিরুদ্দে গত ১৬ নভেম্বর, ২০১৬ ইং  কালের কণ্ঠ পত্রিকার চাঁদা তুলে কোটিপতি শিরোনামে নিউজ প্রকাশিত হলেও রহস্যজনক কারণে প্রশাসন তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।’

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় মোগরাপাড়া বাসস্ট্যান্ডে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়,ফলের দোকান থেকে শুরু করে টং ও মার্কেটের  দোকানেও মসজিদের নামে সামাদ মুন্সী চাঁদা তোলেন। 
সোনারগাঁ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদ। ফেইসবুক স্টেটাস থেকে জানা যায়। আল্লাহর ঘর মসজিদের নাম করে সমস্ত দোকানপাট এবং ফুটপাত থেকে যে চাঁদা উত্তোলন করা হচ্ছে জার মাসিক আয় দাড়ায় লক্ষ লক্ষ টাকা ,সাধারণ হিসাবে মাসিক  আয় ১০০০০০ টাকা হলে বাৎসরিক আয় ১২,০০০০০ টাকা ২৫ বৎসরে নরমাল হিসেবে  ৩ কোটি টাকা আয় থাকার কথা। তার মধ্যে বৎসরে ২ টি ঈদ ও একটি রমজান মাস, দানের পরিমাণ আকাশ ছোঁয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে মসজিদের সেক্রেটারী জানান যে, মসজিদ কমিটি ঋন আছে, ফান্ডে নগদ কোন টাকা নেই। 
এ ছাড়া তিনি ২৫ বছর ধরে স্থানীয় মসজিদ কমিটির সভাপতি পদে রয়েছেন। এভাবে চাকরি বা ব্যবসা না করেও তিনি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন।

স্থানীয় মুসল্লিরা ও কমিটির অনন্য সদস্যরা মনেকরেন পোরান কমিটি বেঙ্গে যুব সমাজের উদ্দকে নতুন কমিটি করা হলে মসজিদ কমিটি ঋন বলতে কিছু থাকতে পারেনা . 

এ ব্যাপারে সাধারণ জনগন আক্ষেপ করে বলেন আমাদের সোনারগাঁয়ে সাধারণত কবুতর চুরির বিচার হয় মামলা হয় নিউজ হয়, কিন্তু আল্লাহ্‌র ঘর মসজিদের কোটি কোটি টাকা উধাও এ নিয়ে  প্রশাসন সাংবাদিক ও জনপ্রতিনিধি কারো কোন মাথা ব্যথা নেই তাহলে আমরা কি ভাববো সোনারগাঁ থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) আবুল কালাম আজাদ যা বলছে তাই ঠিক  উত্তোলনকৃত টাকাগুলো খাচ্ছে কে?
তাহলে সোনারগাঁও মোগড়াপাড়া চৌরাস্তার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের নামে উত্তোলনকৃত মাসিক লক্ষ লক্ষ টাকা কয়েক বৎছরে কোটি টাকা যাচ্ছে কার পেটে ? মুসল্লিদের ধারনা মসজিদ কমিটির সভাপতি সামাদ মুন্সী ছাড়াও অনেক বেক্তি আছেন পর্দার আড়ালে যারা টাকার ভাগ পাচ্ছে ও সামাদ মুন্সিকে সর্বাধিক ছত্রছায়া দিয়ে রাখেন।

এজন্য তদন্ত করার জন্য প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি কামনা করছি, এবং জনগনের  সম্মুখে টাকা আত্মসাতকারির  মুখোশ উন্মোচন করার অনুরোধ জানাচ্ছি 

সোনারগাঁয়ে যুবলীগ নেতাকে হাতুরি দিয়ে হাত-পা ভেঙ্গে দিয়েছে র্শীষ সস্ত্রাসী আনু

সোনারগাঁয়ে যুবলীগ নেতাকে হাতুরি দিয়ে হাত-পা ভেঙ্গে দিয়েছে র্শীষ সস্ত্রাসী আনু

জসিম উদ্দিনঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে জামপুর ইউনিয়নের মুছারচর গ্রামে এক যুবলীগ নেতাকে হাতুরি দিয়ে হাত-পা ভেঙ্গে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে র্শীষ সন্ত্রাসী আনুর বিরুদ্ধে।
১৮ মে (শনিবার) সকালে এ ঘটনায় আহত ওই যুবলীগ নেতাকে উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্ততি চলছে এবং ঐ এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা গেছে, উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের মুছারচর গ্রামের মোফাজ্জাল হোসেনের সাথে একই গ্রামের ৯নং ওয়ার্ডের সহ-সভাপতি মোঃ খিজির হোসেনের সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল।
এ বিরোধের জের ধরে শুক্রবার সন্ধ্যায় তাদের মধ্যে বাগবিতন্ড হয়। শনিবার সকালে মোটরসাইকেলযোগে খিজির হোসেন ব্যবসার কাজে ঢাকা যাওয়ার পথে আগে থেকে উৎ পেতে থাকা একই গ্রামের প্রতিপক্ষ র্শীষ সন্ত্রাসী আনোয়ার হোসেন আনু, মোফাজ্জল হোসেন মোস্তফা, মাহাবুবসহ ৬-৭জনের একটি দল তার পথরোধ করে হাতুরি দিয়ে পিটিয়ে হাত পা ভেঙ্গে দেয়।
আহত ওই নেতার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে আহত খিজির হোসেনকে উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। হামলার বিষয়ে অভিযুক্ত মোফাজ্জল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের মধ্যে বাড়ি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। খিজির হোসেন আমাদের পাওনা জমি বুঝিয়ে দিচ্ছে না। তবে খিজিরকে দু’একটি আঘাত করা হয়েছে।
সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, যুবলীগ নেতার উপর হামলার ঘটনা শুনেছি। এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের দেবর ও ননদ কে হত্যার চেষ্টা বড় ভাই ও ভাবির

জমি সংক্রান্ত বিরোধের  জের দেবর ও ননদ কে হত্যার চেষ্টা বড় ভাই ও ভাবির



জসিম উদ্দিনঃ নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার চরিসলামপুর গ্রামের জমি সংক্রান্ত বিরোধের  জের ধরে বোন মসাঃ সিবলি ভাই মোঃ আফজাল ও তার স্ত্রীকে পিটিয়ে আহত করেছে বড় ভাই মনির হোসেন।

এলাকাবাসীরা জানায়, চরিসলামপুর গ্রামের (মৃত) জসিম মাষ্টারের ৩ ছেলে ২ মেয়ে এদের মধ্যে সবার বড় ছেলে মোঃ মনির হোসেন পিতার রেখে জাওয়া সম্পত্তি একক ভাবে গ্রাস করার চেষ্টায় দীর্ঘদিন ধরে লিপ্ত, এরই জের ধরে গত ১৭-০৫-১৯ রোজ শুক্রবার দুপুরে ছোট ভাই মোঃ আফজাল মিয়ার সঙ্গে বাকবিতন্ডা হয়। এসময় বড় ভাই মোঃ মনির হোসেনের নেতৃত্বে তার স্ত্রী আলো বেগম  দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে মোঃ আফজাল ও তার স্ত্রীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আহত মোঃ আফজাল মিয়ার পক্ষে বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
ভাই-বোনের সম্পর্কই সবচেয়ে মধুর। তবে মাঝেমধ্যে এই সম্পর্কেও ফাটল দেখা দেয়। বিশেষ করে বাবা-মায়ের রেখে যাওয়া সম্পত্তি নিয়ে প্রায়ই ভাই-বোনদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এ নিয়ে মামলা-মোকদ্দমার সংখ্যাও নেহাত কম নয়। 

মুসলিম আইনে বাবা বা মা মারা যাওয়ার পর তাঁর যদি ছেলে ও মেয়ে থাকে, তবে রেখে যাওয়া সম্পত্তিতে ছেলে যা পাবেন, মেয়ে তার অর্ধেক পাবেন। অর্থাৎ ভাইয়েরা যা পাবেন তার অর্ধেক বোনদের বুঝিয়ে দিতে হবে। ইচ্ছা করলেই বোনদের সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। এ সম্পত্তি বলতে ভূমি, বাড়িসহ ব্যাংকে রেখে যাওয়া টাকা এবং ফ্ল্যাটও বোঝায়। বোনদের বিয়ে হয়ে গেলেও বাবা বা মায়ের রেখে যাওয়া সম্পত্তির ভাগ তাঁদের দিতেই হবে। অনেক বোন হয়তো বাবার বাড়িতেই অবস্থান করতে পারেন; এমনকি বিয়ে হওয়ার পরও স্বামী, সন্তান নিয়ে বাবার বাড়িতে থাকতে পারেন। এ ক্ষেত্রে অনেক ভাই ভেবে থাকেন যেহেতু বোন বাড়িতেই আছেন, সে জন্য কোনো সম্পত্তি দেওয়া লাগবে না। এ ধারণা ঠিক নয়।

এ ব্যাপারে বন্দর থানার এস আই সাদন চন্দ্র বসাক জানান, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ নেওয়া  হয়েছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




মহাসড়কে ছিনতাই ডাকাতি বন্ধের জন্য মহাসড়কের পাশে ঝোপঝাড়গুলো পরিস্কার

মহাসড়কে  ছিনতাই ডাকাতি  বন্ধের জন্য মহাসড়কের পাশে ঝোপঝাড়গুলো পরিস্কার


জসিম উদ্দিনঃ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ডাকাতি বন্ধে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঝোপঝাড় (জঙ্গল) পরিস্কারে নমেছেন সোনারগাঁও থানা পুলিশের এস আই আবুল কালাম আজাদ।
তবে এর পিছনেও রয়েছে তার জনসেবামুলক উদ্দেশ্য। তিনি নিজেই দা হাতে ঝোপঝাড় পরিস্কারে নামেন।
জানাগেছে, ১৭ মে শুক্রবার সকালে সোনারগাঁও উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মোগড়াপাড়া মেনীখালী ব্রীজের নিজ থেকে পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের সংযোগ সড়ক পর্যন্ত ঝোপঝাড় পরিষ্কার করতে নামেন সোনারগাঁও থানা পুলিশের এসআই আবুল কালাম আজাদ।
এই ঝোপঝাড় পরিষ্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে এসআই আবুল কালাম আজাদ বলেন, মহাসড়কের পাশের ঝোপঝাড়ে রোড ডাকাত ও ছিনতাইকারীরা উৎপেতে থাকে। যখনই যানজট সৃষ্টি হয় তখনি ডাকাতি কিংবা ছিনতাই করে দৌড়ে এসে ঝোপে আশ্রয় নেয়। কিন্তু মানুষ তখন ছিনতাইকারী বা ডাকাতদের ধরতে ঝোপের ভিতরে ঢুকতে সাহস পায়না। আর পবিত্র রমজান মাসে ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়ে যায়। ইতিমধ্যে আমরা ৫ রোড ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছি। ছিনতাই ডাকাতি রোধে আমরা মহাসড়কের পাশে ঝোপঝাড়গুলো পরিস্কার করছি। অর্থাৎ ডাকাত ও ছিনতাইকারীদের আস্তানা ঘুড়িয়ে দিচ্ছি।’
এর আগে তিনি শুক্রবার সকালে এসআই আজাদ তার ফেসবুকে ঝোপঝাড় পরিস্কার কাজের ছবি সহ একটি স্ট্যাটাজ দেন। সেখানে তিনি লিখেন, পবিত্র রমজান মাসে ঈদকে সামনে রেখে সবাই যখন কেনাকাটায় ব্যস্ত, আমরা সোনারগাঁ থানা পুলিশ জনসাধারণের নিরাপত্তার জন্য মহাসড়কের পাশে ঝোপঝাড় পরিষ্কারে ব্যস্ত।

গাজীপুরে র‌্যাবের হাতে আটক ৪ বছরের এক শিশু ধর্ষণের চেষ্টাকারী ওমর ফারুক মিদুল

গাজীপুরে র‌্যাবের হাতে আটক ৪ বছরের এক শিশু ধর্ষণের চেষ্টাকারী ওমর ফারুক  মিদুল

জাহিদ হাসান জিহাদ: গাজীপুর :গত ২৩ এপ্রিল ২০১৯ ইং তারিখে গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী পূর্ব থানাধীন গোপালপুর, সাতরং, ওয়াবদা গেইট সংলগ্ন নানা গিয়াস উদ্দিনের বাড়ির আসামী মোঃ মিদুল এর বসতঘরে ০৪ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনাটি দেশের বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রকাশিত হয় এবং সারাদেশে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে টঙ্গী পূর্ব থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা রুজু করেন। যার নং-৬৪, তারিখ- ২৪/০৪/২০১৯, ধারা- ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধিত ২০০৩) এর ৯(৪)(খ)।
এর বর্ণিত ঘটনার সাথে জড়িতকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে র‌্যাব-১ অতি দ্রুততার সাথে ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।  র‌্যাবের একটি আভিযানিক দল গত ১৫ মে ২০১৯ ইং তারিখ আনুমানিক রাত সারে দশটার দিগে ঘ রাজধানাীর দক্ষিণখান থানাধীন রেলগেইট সংলগ্ন আব্দুল্লাহপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বর্ণিত ধর্ষণের চেষ্টাকারী মোঃ ওমর ফারুক  মিদুল (১৫), পিতা- মোঃ নুরুল ইসলাম  নুরু, মাতা- মোসাঃ মুক্তা, সাং- আব্দুল্লাপুর, সিকদারবাড়ি, রেলগেইট সংলগ্ন, থানা- দক্ষিণখান, ডিএমপি, ঢাকা, বর্তমান ঠিকানা- সাং- গোপালপুর, সাতরং, ওয়বদা গেইট সংলগ্ন, গিয়াস উদ্দিনের বাড়ি, থানা- টঙ্গী পূর্ব, জিএমপি, গাজীপুর’কে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামী বর্ণিত ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। সে গ্রেফতার এড়ানোর জন্য বর্ণিত এলাকায় আত্মগোপন করেছিল বলে জানায়।

মসজিদের উন্নয়ন ও দানবাক্সের টাকা মেরে কোটিপতি

মসজিদের উন্নয়ন ও দানবাক্সের টাকা মেরে কোটিপতি

জসিম উদ্দিনঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে বাসস্ট্যান্ড ও কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, মসজিদ কমিটির সভাপতি আবদুস সামাদ মুন্সী মসজিদের উন্নয়ন ও দানবাক্সের  আয়ের টাকা মেরে হয়েছেন কোটিপতি। 

স্থানীয়রা জানায়, মোগরাপাড়া ইউনিয়নের হাবিবপুর গ্রামের (মৃত) নোয়াব আলী বেপারীর ছেলে ছামাদ মুন্সী। প্রায়  দুই যুগ ধরে অবৈধভাবে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি রয়েছেন । 
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন মুসল্লি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘সামাদ মুন্সীর লেবাস এক রকমের আর কাজ করেন আরেক রকমের। 

রাজনৈতিক কয়েকজন কর্মী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘সামাদ বিএনপি সরকারের সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক রেজাউল করিমের ঘনিষ্ঠ। সেই সময় ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি হাবিবপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি হন। এরপর থেকে সরকারের পরিবর্তন ঘটলেও তিনি বহাল থাকেন সভাপতি পদে। 

কয়েকজন স্থানীয় মুসল্লি জানায়, ‘মসজিদের আয় হলেও উন্নয়ন না করে লুটেপুটে খাচ্ছেন সভাপতি।’
হাবিবপুর গ্রামের হাসান,শাহিন, খোরসেদ, ফারুক সহ আরো অনেকে বলেন, ‘মসজিদের টাকার পাশাপাশি সামাদ নিরীহ লোকদের জিম্মি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন।’

অভিযুক্ত আবদুস সামাদ মুন্সীর বিরুদ্দে গত ১৬ নভেম্বর, ২০১৬ ইং  কালের কণ্ঠ পত্রিকার চাঁদা তুলে কোটিপতি শিরোনামে নিউজ প্রকাশিত হলেও রহস্যজনক কারণে প্রশাসন তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।’

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় মোগরাপাড়া বাসস্ট্যান্ডে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়,ফলের দোকান থেকে শুরু করে টং ও মার্কেটের  দোকানেও মসজিদের নামে সামাদ মুন্সী চাঁদা তোলেন। 

সোনারগাঁ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদ। ফেইসবুক স্টেটাস থেকে জানা যায়। আল্লাহর ঘর মসজিদের নাম করে সমস্ত দোকানপাট এবং ফুটপাত থেকে যে চাঁদা উত্তোলন করা হচ্ছে জার মাসিক আয় দাড়ায় লক্ষ লক্ষ টাকা ,সাধারণ হিসাবে মাসিক  আয় ১০০০০০ টাকা হলে বাৎসরিক আয় ১২,০০০০০ টাকা ২৫ বৎসরে নরমাল হিসেবে  ৩কোটি টাকা আয় থাকার কথা। তার মধ্যে বৎসরে ২ টি ঈদ ও একটি রমজান মাস, দানের পরিমাণ আকাশ ছোঁয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে মসজিদের সেক্রেটারী জানান যে, মসজিদ কমিটি ঋন আছে, ফান্ডে নগদ কোন টাকা নেই। 

এ ছাড়া তিনি ২৫ বছর ধরে স্থানীয় মসজিদ কমিটির সভাপতি পদে রয়েছেন। এভাবে চাকরি বা ব্যবসা না করেও তিনি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন।

এ ব্যাপারে তদন্ত করে মসজিদ কমিটি সহ প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি কামনা করছি, এবং জনগনের  সম্মুখে টাকা আত্মসাতকারির  মুখোশ উন্মোচন করার অনুরোধ জানাচ্ছি 

সোনারগাঁওয়ে কবুতর চুরির আপরাধে ২ যুবককে ৩ মাসে কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত

সোনারগাঁওয়ে কবুতর চুরির আপরাধে ২ যুবককে ৩ মাসে কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত




জসিম উদ্দিনঃ আজ: মঙ্গলবার , ১৪ মে, ২০১৯ ইং
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলায় কবুতর চুরির আপরাধে ২ যুবককে ৩ মাস করে কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত।

মঙ্গলবার সকালে সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকার এ দণ্ডাদেশ দেন ।
দন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, উপজেলার সনমান্দি ইউনিয়নের দড়িকান্দি এলাকার আঃ সালেকের ছেলে আলী শাহীন (২০) ও রূপচাঁদের ছেলে স্বপন (২২)।

সোনারগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হেলাল উদ্দিন জানান, উপজেলার সনমান্দি ইউনিয়নের দড়িকান্দি এলাকার আলী শাহীন ও স্বপন  দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকার বিভিন্ন বাড়ি থেকে কবুতর চুরি করে বিক্রি করে। গত সোমবার রাতেও তারা বিভিন্ন বাড়িতে কবুতর চুরি করতে গেলে এলাকাবাসী তাদের আটক করে পুলিশের কাছে সোর্পদ করে।
পরে  মঙ্গলবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকারের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে বন্যপ্রাণী সংরক্ষন আইনে তাদের দুজনকে ৩ মাস করে কারাদন্ড প্রদান করেছেন।

সোনারগাঁও মোগড়াপাড়া চৌরাস্তার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের উত্তোলনকৃত লক্ষ লক্ষ টাকা উধাও

সোনারগাঁও মোগড়াপাড়া চৌরাস্তার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের উত্তোলনকৃত  লক্ষ লক্ষ টাকা উধাও


জসিম উদ্দিনঃ
সোনারগাঁ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদ। Facebook থেকে নেয়া। আমার মনে খুব কষ্ট লেগেছে,  দুঃখ পেয়েছি এবং লজ্জিতও হয়েছি গত শুক্রবার ১০/০৫/২০১৯  ইং তারিখ যখন  জুমার নামাজ আদায় করার জন্য  সোনারগাঁও মোগড়াপাড়া চৌরাস্তার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে উপস্থিত  হই। জুমার নামাজ শুরু হওয়ার আগে উক্ত মসজিদের সেক্রেটারী জানান যে, মসজিদ কমিটি ঋন আছে, ফান্ডে নগদ কোন টাকা নেই। মসজিদের পানির ট্যাংকির সমস্যা থাকায় মসজিদের জন্য একটি পানির ট্যাংকী ও নগদ ১০০০০/- (দশ হাজার) টাকা প্রদান করেন একজন জুতার দোকানদার।


কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো সোনারগাঁ মোগড়াপাড়া চৌরাস্তার মসজিদ কমিটি  ঋন থাকবে কেন ?  তাহলে উত্তোলনকৃত  এত টাকা যাচ্ছে কোথায়। সোনারগাঁও মোগড়াপাড়া চৌরাস্তায়  প্রায় দুই হাজার দোকান-পাট  রয়েছে, যার প্রতিটি দোকান থেকে প্রতি  সপ্তাহে ১০ টাকা করে উত্তোলন করা হয়। ফলে মাসিক আয় দাড়ায় ৮০০০০/- (আশি হাজার) টাকা এবং ফুটপাতের ফলের দোকান থেকেও দৈনিক মোগড়াপাড়া চৌরাস্তা জামে মসজিদের নাম করে হাজার হাজার টাকা উত্তোলন করা হচ্ছে, যার মাসিক আয় দাড়ায় লক্ষ টাকা ।  তাহলে প্রতি মাসে মোগড়াপাড়া চৌরাস্তার জামে মসজিদ ফান্ডে জমা হওয়ার কথা কয়েক লক্ষ টাকা। তবে আল্লাহর ঘর মসজিদের নাম করে যে সমস্ত দোকানপাট এবং ফুটপাত থেকে যে লক্ষ লক্ষ টাকা উত্তোলন করা হচ্ছে , তা কি মসজিদ কমিটির কেউ জাননা, তা কি মসজিদ ফান্ডে জমা হচ্ছে না। উত্তোলনকৃত টাকাগুলো খাচ্ছে কে? তাহলে সোনারগাঁও মোগড়াপাড়া চৌরাস্তার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের নামে উত্তোলনকৃত মাসিক লক্ষ লক্ষ টাকা  যাচ্ছে কার পেটে  ? এত টাকা মাসিক উত্তোলন হওয়ার পরেও সোনারগাঁ মোগড়াপাড়া চৌরাস্তার মসজিদের ফান্ড শূন্য কেন? উত্তোলনকৃত টাকাগুলো যাচ্ছে কার পেটে ? তবে কি মসজিদ কমিটির বিষয়টি জানা নেই।   প্রশ্নের উত্তর খোঁজতে গভীর ভাবে তদন্ত চলছে, সকলের সহযোগিতা  একান্ত প্রয়োজন।

অস্ত্রের লাইসেন্সধারীরা সন্ত্রাসী কিনা তদন্ত হবে, তালিকা নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপারের কাছে

অস্ত্রের লাইসেন্সধারীরা সন্ত্রাসী কিনা তদন্ত হবে, তালিকা নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপারের কাছে


জসিম উদ্দিনঃ বৈধ অস্ত্রের  লাইসেন্স প্রাপ্তদের তালিকায় কোন সন্ত্রাসী আছে কিনা তা তদন্ত করতে তালিকা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের কাছে পাঠানো হবে এমন সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে। এছাড়া যারা অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়েছেন তারা কি কাজে সেই অস্ত্র ব্যবহার করছেন তাও খতিয়ে দেখা হবে। এমনকি চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা কিংবা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে সেসব বৈধ অস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখতেই এসপির কাছে তালিকা দেয়া হচ্ছে। 

রোববার (১২ মে) সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় এসিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাব্বী মিয়া। সভায় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। 

কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা সভায় প্রশ্ন তোলা হয় অতীতে ওয়াসার পানি নিয়ে নানা অভিযোগ তুললেও কর্ণপাত করা হয়নি। তবে এখন কি করে ওয়াসার পানি ভালো হচ্ছে। সভায় ওয়াসাকে মনিটরিং এর ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
সভায় রমজানে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলোতে পরীক্ষা কি করে নেয়া হচ্ছে এমন প্রশ্ন তুললে এব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। 

এছাড়া রমজানে নগরবাসীকে স্বস্তি দিতে ফুটপাত হকারমুক্ত ও যানজট নিরসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। নগরীসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় কমিউনিটি পুলিশ মোতায়েনের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। এব্যাপারে বেশি বেশি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সুপারিশ করা হয়। 

আইনশৃঙ্খলা সভায় আরো সিদ্ধান্ত গৃহিত হয় রাতে যেসকল নৌযান শীতলক্ষ্যা নদীতে চলাচল করে সেগুলোতে চাঁদাবাজি বন্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার। এছাড়া নতুন কোর্ট এলাকার আশেপাশের বস্তিতে মাদকের বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযানের ব্যাপারেও সুপারিশ করা হয়। 

সভায় নারায়ণগঞ্জ -৬২ এর এসপিপি এস এম হাবিব ইবনে জাহান, অতিরিক্ত  জেলা  প্রশাসক সেলিম রেজা, মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ,  অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট যুথিকা সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মনিরুল ইসলাম, র‌্যাব- ১১’র সহকারী পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি এড. মাহবুবুর রহমান মাসুম, সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান শামীম, পিপি এড. ওয়াজেদ আলী খোকন, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. হাসান  ফেরদৌস জুয়েল, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা বারিক, বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিন্টু বেপারী, রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ বেগম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

ওয়েলফুড মিঠাই মধুবনের লাচ্ছা সেমাইসহ ৫২ পণ্যের উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ

ওয়েলফুড মিঠাই মধুবনের লাচ্ছা সেমাইসহ ৫২ পণ্যের উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ
একটি রিট আবেদনের শুনানিতে রোববার (১২ মে) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছেন। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে আগামী দশদিনের মধ্যে এসব নির্দেশ বাস্তবায়ন করে আদালতে প্রতিবেদন দিতে হবে বলেও জানানো হয়।
আগামী ২৩ মে এই রিট আবেদনের পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য্য করা হয়েছে।
জানা যায়, রমজান মাস শুরুর আগে খোলা বাজার থেকে ৪০৬ পণ্যের নমুনা ক্রয় করে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট (বিএসটিআই)। এরপর এসব পণ্য বিএসটিআইয়ের ল্যাবে পরীক্ষা করে দেখা হয়। এর মধ্যে ৫২ পণ্য ল্যাব পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছে। এ সব পণ্যের মধ্যে রয়েছে সরিষার তেল, চিপস, খাবার পানি, নুডলস, হলুদ ও মরিচের গুঁড়া, আয়োডিন যুক্ত লবণ, লাচ্ছা সেমাই, চানাচুর, বিস্কুট এবং ঘি। এরমধ্যে বাজারে ক্রেতাদের কাছে সুপরিচিত বেশ কয়েকটি কোম্পানির পণ্যও রয়েছে।
বিএসটিআই এসব পণ্যের মান নিয়ে প্রশ্ন তুললেও সেগুলো এখনো বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এসব পণ্য বাজার থেকে সরিয়ে ফেলার বা জব্দ করার কোন উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। ফলে বিষয়টি নিয়ে শেষ পর্যন্ত হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল কনশাস কনজ্যুমার্স সোসাইটি নামে একটি বেসরকারি ভোক্তা অধিকার সংস্থা। বুধবার (৮ মে)সংস্থাটি রিট আবেদন করে। সেই রিট আবেদনের শুনানির পর হাইকোর্ট এই আদেশ দিলেন।
পরদিন ৯ মে ওই রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানিতে মানহীন খাদ্যপণ্যের তালিকা দেখে বিচারক বলেছিলেন,‘কোনো কোম্পানিই তো বাদ নাই।’
খাদ্যে ভেজালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার এ দায়িত্ব নির্বাহী বিভাগের হলেও জনস্বার্থ বিবেচনায় বিষয়টিতে হস্তক্ষেপের কথা তুলে ধরেছে হাই কোর্ট। উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণে আরো বলা হয়, ‘যদিও এ বিষয়গুলো দেখার দায়িত্ব নির্বাহী বিভাগের। আদালতের এগুলো দেখার বিষয় না। তারপরও জনস্বার্থ বিবেচনায় এ বিষয়গুলো আদালত এড়িয়ে যেতে পারে না। খাদ্য নিরাপত্তার ব্যপারে আপস করার কোনো সুযোগ নেই। তাছাড়া এই সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য প্রত্যেকটা নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত অংশগ্রহণ করা দরকার।’
সরকারপ্রধানের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বিচারক বলেন, ‘সরকার ও সরকার প্রধানের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি যে, তারা যেন খাদ্যে ভেজালের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। প্রয়োজনে খাদ্য নিরাপত্তার প্রশ্নে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন, যেভাবে মাদকবিরোধী অভিযানের বিষয়ে করা হয়েছে’
শুনানিকালে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর বলেন, ‘আমরা আশা করি সরকার খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধের বিষয়টি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেবে।’

যেসব পণ্য প্রত্যাহারের আদেশ হয়েছে

আদালত যেসব পণ্য প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছে সেগুলো হলো-তীর সরিষার তেল, জিবি সরিষার তেল, পুষ্টির সরিষার তেল, রূপচান্দা সরিষার তেল, সান চিপস, আরা ড্রিংকিং ওয়াটার, আল সাফি ড্রিংকিং ওয়াটার, মিজান ড্রিংকিং ওয়াটার, মর্ণ ডিউ ড্রিংকিং ওয়াটার, ডানকানের ন্যাচারাল মিনারেল ওয়াটার, আরআর ডিউ ড্রিংকিং ওয়াটার, দিঘী ড্রিংকিং ওয়াটার, প্রাণের লাচ্ছা সেমাই, ডুডলি নুডলস, টেস্টি তানি তাসকিয়া সফট ড্রিংক পাউডার, প্রিয়া সফট ড্রিংক পাউডার, ড্যানিশ হলুদের গুড়া, প্রাণের হলুদের গুড়া, ফ্রেস হলুদের গুড়া, এসিআই পিওর ধনিয়ার গুড়া, প্রাণ কারি পাউডার, ড্যানিস কারি পাউডার, বনলতা ঘি, পিওর হাটহাজারির মরিচের গুড়া, মিষ্টি মেলার লাচ্ছা সেমাই, মধুবনের লাচ্ছা সেমাই, মিঠাই এর লাচ্ছা সেমাই, ওয়েল ফুডের লাচ্ছা সেমাই, এসিআইয়ের আয়োডিনযুক্ত লবণ, মোল্লা সল্টের আয়োডিনযুক্ত লবণ, কিং ময়দা, রূপসা দই, মক্কা চানাচুর, মেহেদি বিস্কুট, বাঘাবাড়ী স্পেশালের ঘি, নিশিতা ফুডসের সুজি, মধুযুলের লাচ্ছা সেমাই, মঞ্জিল ফুডের হুলুদের গুড়া, মধুমতি আয়োডিনযুক্ত লবণ, সান হলুদের গুড়া, গ্রীনলেনের মধ,কিরণ লাচ্ছা সেমাই, ডলফিন মরিচের ও হলুদের গুড়া, সূর্য মরিচের গুড়া,জেদ্দা লাচ্ছা সেমাই, অমৃত লাচ্ছা সেমাই, দাদা সুপার, তীর, মদিনা, স্টারশিপ, তাজ ব্র্যান্ড ও নূর স্পেশালের আয়োডিনযুক্ত লবণ।

সোনারগাঁওয়ে বৈদ্যেরবাজার খেয়া ঘাটে নজিরবিহীন চাঁদাবাজীর অভিযোগ

সোনারগাঁওয়ে বৈদ্যেরবাজার খেয়া ঘাটে নজিরবিহীন চাঁদাবাজীর অভিযোগ


জসিম উদ্দিনঃ  সোনারগাঁও উপজেলোর বৈদ্যেরবাজার খেয়া ঘাট ইজারাদারদের বিরুদ্ধে টোল আদায়ের নামে ব্যাপক চাঁদাবাজী অভিযোগ উঠেছে। বৈদ্যেরবাজার খেয়া ঘাটে চাঁদাবাজদের সীমাহীন অত্যাচারে চরম ভাবে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে কয়েকটি উপজেলার হাজার হাজার মানুষ। 

সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে দ্বিতীয় বারের মত জনৈক জাকির হোসেন বৈদ্যেরবাজার খেয়াঘাট তার ভাগিনা সৈকতের নামে জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে নির্র্দিষ্ট হারে টোল আদায়ের জন্য ইজারা পান। যাত্রীদের কাছ থেকে ২টাকা করে টোল আদায়ের কথা থাকলেও ইজারাদারদের ইচ্ছে মত আদায় করছে টোল। এ নিয়ে যাত্রী ও ইজারাাদের মধ্যে প্রতিনিয়ত ভাগবিতান্ড ও হাতা হাতির ঘটনা ঘটছে। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে বৈদ্যেরবাজার খেয়া ঘাটের চাঁদা আদায়ের ব্যাপারে চলছে সমালোচলার ঝড়। 

মহিতুল ইসলাম হিরু, হাবিব খান ও সফর আলী নামের কয়েকটি ফেইসবুক আইডি থেকে ভুক্তভুগিদের পক্ষে বৈদ্যেরবাজার খেয়া ঘাটের অনিয়ম চাঁদা বাজদের বিরুদ্ধে লিখে আসছেন। খাবিব খান নামের একটি ফেইসবুক আইডিতে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে একাটি পোষ্ট দিয়েছেন কয়েক দিন আগে। তার পোষ্টে আড়াইহাজার ও মেঘনা উপজেলার ভুক্তভগিরা বিভিন্ন কমেন্ট করেছে। এদের হাত থেকে প্রতিকার পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন অনেকেই। বৈদ্যেরবাজার ঘাটের অনিয়মের ঘটনা গণমাধ্যমে তুলে ধরার জন্য বিষেশ অনুরোধ করেন। তারা বলেন, বৈদ্যেরবাজার খেয়া ঘাট দিয়ে মেঘনা উপজেলার নলচর, চালিভাঙ্গা, রামপ্রসাদেরচর, মৈশারচর, চন্দনপুর, তুলতিুলি, মুগারচন, টিটিরচর, রাধানগর, সাপমার, তালতলি সহ ওই উপজেলার ও আড়াইহাজার উপজেলার কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন, খাগকান্দা ইউনিয়নের শত শত লোক প্রতিদিন বৈদ্যেরবাজার খেয়া ঘাট দিয়ে যাতায়াত করেন। বিষেশ করে এই দুটি উপজেলার বেসিরভাগ লোকই ট্রলার বা স্প্রীর্ড বোর্ডের মাধ্য বৈদ্যেরবাজার খেয়া ঘাট দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। ইজারাদারা যাত্রীদের কাছ থেকে ইচ্ছে মত টোল আদায় করে থাকে বলেও অভিযোগ উঠেছে। টাকা কম হলেই যাত্রীদের দূব্যবহার ও হাতের ব্যাগ নিয়ে টানা টানি শুর করে বলেও অনেকের অভিযোগ। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, যাত্রীদের সাথে থাাকা ব্যাগ, আইপি এস এর ব্যাটারি, কাঠ, টিন, বড়, সিমেন্ট সহ বিভন্ন মালামা থেকে ইজারাদাররা তাতের ইচ্ছে মত টোল আদায় করছে। ইজারাদারদের দাবিকৃত টাকা (চাঁদা) না দিলেই শুরু হয় যাত্রীদের হয়রানি ও নির্যাতন। যুদি বিদেশ থেকে কোন লোক দেশে আসে, আর ইজারাদারদের নজরে পড়লেই আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে উঠে তার। বিদেশ ফেত যাত্রীদের কাছ থেকে ৮/১০ হাজার টাকা দাবি করে বসে। চাঁদা বাজদের দাবিকৃত টাকা দিতে অস্বীকার করলে নানা ভাবে হয়রানি করা হয়। যাত্রীদের ব্যাগ নিয়ে করে টানা টানি। চাঁদাবাজরা প্রভাব খাটিয়ে অনেক যাত্রীকে শারীরিক ভাবেও নির্যাতন করে থাকেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মেঘনা ও আড়াইহাজার উপজেলার একাধীক ব্যক্তি জানান,পিরোজপুর ইউনিয়নের পলিথিন জাকির নামে পরিচিত তার নিজস্ব লোক জন দিয়ে বৈদ্যেরবাজার খেয়া ঘাট ও মেঘনা নদী থেকে অবাধে চাঁদা উত্তোলন করে আসছে জাকির গং। 
আরো জানান, যাত্রীদের বহনকৃত ব্যাগ বা লাগেছ  থেকে ১’শ থেকে দেড়’শ টাকা ও বড় লাগেছ হলেতো কথাই নেই। টাকার হার ৩শ থেকে ৪ টাকা চাঁদা আদায় করে চাঁদাবাজরা । 
মেঘনা এলাকার আবুল হোসেন নামের এক ব্যক্তি জানান, মসজিদের আইপিএসের ব্যাটারি নিয়ে বাড়ি থেকে সকালে এসে ৬০ টাকা দিতে হয়েছে। এখন আবার যাওয়ার জন্য ৬০ টাকা দিতে হবে। আমরা কোন দেশে বসবাস করছি। এ ধরনের অনিয়ম দেখারকি কেউনেই ? 

নাম পকাশ না করা শর্তে একাধীক ট্রলার চালাক জানান, চাঁদাবাজদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে মানুষ। কেউ প্রতিবাদ করলেই মারধর শুরু করে ইজারাদারের লোক জন। তারা নিয়ম কানুন বহিঃভূত চাঁদা আদায় করে যাচ্ছে। টোল আদায়ের নামে সব প্রকার নৌ-যান ও যাত্রীদের কাছ থেকে প্রতিদিন কয়েকটি স্পটে লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করে নিচ্ছে তারা। চাঁদার অংক নিয়ে সাধারন ট্রলার চালকদের সাথে টোল ইজারাদারদের লালিত চাঁদাবাজরাদের সাথে মাঝে মধ্যে বাকবিতন্ড করতে দেখা যায়। কেউ প্রতিবাদ করলে তাদেরকে নানা ভাবে নির্যাতন করে ইজারাদারের লোক জন। 
উল্লেখ্য, গত বছর সোনারগাঁও প্রেস ক্লাবের সামনে বৈদ্যেরবাজার খেয়াঘাটের ইজারা বাতিল ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছিল এলাকাবাসী। 
এব্যাপারে জাকির হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকারের সাথে আলাপ করলে তিনি বলেন, বৈদ্যেরবাজার খেয়া ঘাটে অনিয়মের বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ইজারাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বয়স্কভাতার নামে বয়স্কদের যন্ত্রনা দেওয়ার ভাতা!!

 বয়স্কভাতার নামে বয়স্কদের যন্ত্রনা দেওয়ার ভাতা!!




জসিম উদ্দিনঃ সকাল ৮:০০টা থেকে বিকাল ৪:০০টা পর্যন্ত এইভাবে 
বয়স্কদের বসে থাকতে হয় বাইরে রোদে, শুধুমাত্র ১৫০০ টাকার জন্য। আর ৮:০০টায় এসে যদি কেউ লাইন না ধরেন তাহলে বই জমা নেওয়া হয় না। ব্যাংকের ভিতরে ও তাদের বসতে দেওয়া হয় না। 
ব্যাংকের কর্মকর্তারা ব্যাংকের কাজ শুরু করেন ১০:০০ টার অনেক পরে। তবে কোনো বয়স্ক ১০:০০টার পরে বই জমা দিতে আসলে তখন ওনারা বলেন অন্যদিন আসতে, আজ বই জমা নেওয়া হবে না। অথচ বয়স্করা একবার আসতে তাদের কি পরিমান কষ্ট হয় সেটা একমাত্র আল্লাহ ই ভালো জানেন । কষ্ট করে আসার পরে ও ভোগান্তি পোহাতে হয়। নুন্যতম সম্মানটা ও দেওয়া হয় না তাদেরকে। ব্যাংকে আসলে মনে হয় উনাদের গুরুত্বপূর্ণ সময় বয়স্করা নষ্ট করে ফেলতেছেন। 

অথচ ওনারা কাজের সময় কথা বলবে, গল্প করবে, চা খাবে,বিস্কুট খাবে, দুপুরে ভাত খাবে। আর বয়স্করা সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত না খেয়ে রাস্তায় বসে থাকেন, কখন নাম ডাকবে আর কখন সেই টাকা পেলে ঔষধ কিনে বাড়ী যাবেন!! 

এসব দেখার কি কেউ নেই? কিভাবে আমরা উন্নয়নের গল্প করি, সিঙ্গাপুরের সাথে তুলনা করি। ডিজিট্যাল ডিজিট্যাল বলে মুখে ফেনা তুলি। আসুন, বয়স্কদের সম্মান দেই। কতৃপক্ষের দৃষ্টিতে এই বিষয়টি তুলে ধরি। সবাই শেয়ার করে এই অন্যায়ের প্রদিবাদ জানাই।

এটি সোনালী ব্যাংক বহদ্দারহাট শাখা চট্টগ্রামের চিত্র।

সোনারগাঁয়ে মাদকব্যবসায়ীর রহস্যজনক মৃত্যুতে মামলার আসামী ৭ জন

সোনারগাঁয়ে মাদকব্যবসায়ীর রহস্যজনক মৃত্যুতে মামলার আসামী ৭ জন


জসিম উদ্দিনঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে জামপুর ইউনিয়নে রুবেল নামের এক মাদক ব্যবসায়ীর রহস্যজনক মৃত্যুতে নিহতের মা আনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে ওই এলাকার ইনফিনিটি ডাটা পাওয়ার লিমিটেডের মালিককে হুকুমের আসামী দিয়ে ১০ মে শুক্রবার রাতে মামলা দায়ের করেছেন।
মামলায় নিহতের মা উল্লেখ করেন , ৯ মে বৃহস্পতিবার রাতে তার ছেলে রুবেলকে অজ্ঞাত একজন ব্যক্তি ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নেয়ার পর সে নিখোঁজ হয়।পরের দিন লোক মারফতে জানতে পারেন ইনফিনিটি ডাটা পাওয়ার লিমিডেট এর কোম্পানীর টিনের ভেড়ার নিচে তার ছেলের লাশ পড়ে আছে এবং তার ছেলের শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহৃ রয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন,কিছুদিন হলো ওই প্রতিষ্ঠানে কর্মচারী চাঁনমিয়া, মোজাম্মেল, আজম আলী, আলী আফজাল মাসুম, রমজান ও শরিফের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল।এছাড়া আগে ইনফিনিটি ডাটা পাওয়ার লিঃ কোম্পানীর থেকে কিছু ক্যাবল চুরি হয়।সেই ক্যাবল উদ্ধার এবং চোর ধরিয়ে দেওয়ার জন্য ইনফিনিটির মালিক দিলীপ চাঁন্দুপাল রুবেলকে দায়িত্ব দেয়।এজন্য তাকে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে বলেও ঘোষনা করা হয়।
রুবেল সেই চুরি যাওয়া ক্যাবল উদ্ধার ও চোরের সন্ধান দিতে না পাড়ায় চাঁন্দুপালের সাথে বিরোধ চলে আসছিল।ধারনা করা হচ্ছে সে বিরোধের জের ধরেই চান্দুপালের নির্দেশে উক্ত আসামীরা রুবেলকে হত্যা করে লাশটি কোম্পানীর বেড়ার নিচে লুকিয়ে রেখেছে।

গাজীপুরে ফোর্স ইন্টারন্যাশনাল কর্মীকে কুপিয়ে আহত করেছে দূর্বৃত্ত্বরা

গাজীপুরে ফোর্স ইন্টারন্যাশনাল কর্মীকে কুপিয়ে আহত করেছে দূর্বৃত্ত্বরা


জাহিদ হাসান জিহাদ।
গাজীপুর মহানগরের ২২ নং ওয়ার্ড গজারিয়া পাড়া এলাকায় সন্ত্রাসীদের হামলায় আরিফুল ইসলাম নামে ফোর্স ইন্টারন্যাশনাল কর্মীকে কুপিয়ে আহত করেছে দূর্বৃত্ত্বরা। শনিবার(১১ মে) সকাল আটটার সময় অফিসে যাওয়ার পথে ১০/১২ জন সন্ত্রাসী তাকে এলোপাতাড়ি ভাবে মাথায় কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। পরে মেট্রোপলিটন পুলিশকে খবর দিলে সদর থানার এসআই মাহবুব তাকে উদ্ধার করে। পরে তাকে শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করা হয় এবং চিকিৎসা দেওয়া হয়। এলাকাবাসী ও আহত আরিফের স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা যায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী মামুন, ইকবাল, ফারুক, শরীফ, মাসুদ রানা ও মোশারফ নামে ১০/১২ জন সন্ত্রাসী মোটরসাইকেলে করে এসে তাকে এলোপাথাড়ি ভাবে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। এ বিষয়ে সদর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। এলাকাবাসী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানান। সোর্স ইন্টারন্যাশনালের সি ই উ কামরুল হাসানের সাথে মোবাইলে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা জানতে পেরেছি আরিফুল ইসলাম নামে আমাদের কোম্পানি সোর্স ইন্টারন্যাশনাল-এর একজন কর্মীকে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে আহত করেছে। সে গাজীপুরে বিভিন্ন কোম্পানিতে আমাদের প্রোডাক্ট সাপ্লাই এর কাজ করে এ বিষয়ে আমরা আইনের আশ্রয় নেব।

সোনারগাঁয়ে ৯ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার,আদালতে প্রেরণ

সোনারগাঁয়ে ৯ মাদক ব্যবসায়ী  গ্রেফতার,আদালতে প্রেরণ



জসিম উদ্দিনঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে ইয়াবা ও চোরাই  মদসহ ৯ মাদক কারবারিকে আটক করেছে সোনারগাঁ থানা পুলিশ।মাদক কারবারিরা হলো,জাহাঙ্গীর (৪০), বাদল (৪৮), আরিফুর ইসলাম লিমন (২৫), হালিম (২৬), শাহ আলম (৪৭), কান্তি (৩২), সুমন (১৯) ও সাগর(২৫)।

১০ মে (শুক্রবার) রাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়েছে।আটককৃতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এবিষয়ে সোনারগাঁ থানার ওসি (তদন্ত) হেলাল উদ্দিন জানান, শুক্রবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে ইয়াবা ট্যাবলেট ও চোরাই মদসহ ৯ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

গাজীপুরে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে ও গুলি করে গুরুতর আহত

গাজীপুরে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে ও গুলি করে গুরুতর আহত




জাহিদ হাসান (জিহাদ)    : গাজীপুর মহানগর ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান নাহিদকে গুলি করে ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। আশংকাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকায় নেয়া হয়েছে। তিনি বর্তমানে ঢাকার এ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

আজ শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে গাজীপুর শহরের মুক্তমঞ্চ এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। নাহিদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী সেচ্ছ্বাসেবক লীগ নেতা সাইফুল্লাহ শাওন সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

নাহিদ গাজীপুর শহরে অবিস্থত কাজী আজিমুদ্দিন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি।

শাওন জানায়, একটি সেলুন থেকে নেমে মুক্তমঞ্চের নিকট গাড়িতে উঠার সময় কয়েকজন সন্ত্রাসী নাহিদকে লক্ষ্য করে গুলি করে ও এলাপাথারী কুপাতে থাকে। এই সময় জনতা প্রতিরোধ করলে সন্ত্রাসীরা গুলি করে পালিয়ে যায়। অতঃপর তাকে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকার এ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদশীরা জানায়, ঘটনার পর পর পুলিশ এসে গাড়িটি ঘিরে ফেলে ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে অভিযান চালায়।

এই প্রতিবাদে গাজীপুর শহরে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।

সোনারগাঁয়ে তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ীর রহস্যজনক মৃত্যু

সোনারগাঁয়ে তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ীর রহস্যজনক মৃত্যু


জসিম উদ্দিনঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের জামপুর ইউনিয়নের যুগিপাড়ায় অবস্থিত ইনফিনিটি ডাটা পাওয়ার মিলের ভাউন্ডারি দেয়ালের ভিতর থেকে রুবেল হোসেন (২২) নামে এক তালিকাভুক্ত অবৈধ মাদক ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করে সোনারগাঁ থানা পুলিশ।
শুক্রবার (১০মে) সকাল ৯.৩০ টায় সোনারগাঁ থানা পুলিশের পিএসআই ফয়সাল আলম খবর পেয়ে উত্তর কাজিপাড়া এলাকায় ইনফিনিটি ডাটা পাওয়ার লিমিটেড নামে একটি পরিত্যাক্ত মিলের ভাউন্ডারি দেয়ালের ভিতরে রুবেল হোসেন নামে যুবকের মাথা মাটিতে পুঁতে থাকা অবস্থায় উদ্ধার করে। এসআই ফয়সাল জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রুবেল জামপুর ইউনিয়নের মহজমপুর উত্তর কাজীপাড়া নিবাসী মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে। সে সোনারগাঁ থানার তালিকাভুক্ত একজন মাদক ব্যবসায়ী। তার নামে ২০১৮ সালে সোনারগাঁ থানায় একটি মাদক মামলা রয়েছে।
নিহত রুবেলের মা আনোয়ারা বেগম বলেন, রুবেল বৃহস্পতিবার রাতে বাড়িতে ফেরেনি। সে বিভিন্ন সময়ে মাদক সেবন করতো। তার ছেলেকে কেউ হত্যা করেছে। সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে আমার ছেলের হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করি।

নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার পদত্যাগ

নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার পদত্যাগ

জসিম উদ্দিনঃ 
অযোগ্যদের পদোন্নতির প্রতিবাদে জাতীয় পার্টির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন জাতীয় স্বেচ্ছাসেক পার্টির সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা।
বৃহস্পতিবার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাংগঠনিক এক নির্দেশে আট নেতাকে প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে পদোন্নতি দেওয়ার পরই পদত্যাগের ঘোষণা দেন খোকা।
তিনি বলেন, শীর্ষ নেতৃত্বের অযোগ্যতার প্রতিবাদে জাতীয় পার্টির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব পদ থেকে পদত্যাগ করলাম।
লিয়াকত হোসেন খোকা বলেন, আমার পরিচয় আমি পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ও জাতীয় পার্টির একজন সাধারণ কর্মী। সাবেক সফল রাষ্ট্রপতি পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে সুযোগ সন্ধানী অযোগ্য নেতৃত্ব জাতীয় পার্টির সাধারণ কর্মীদের আবেগ নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন।
তবে তিনি পল্লীবন্ধু এরশাদের একজন সাধারণ কর্মী হিসেবে আজীবন জাতীয় পার্টির প্রাথমিক সদস্য পদে বহাল থাকবেন বলেও জানান।
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির জন্মলগ্ন থেকে আমি এ পার্টি করে আসছি। পার্টির বর্তমান নেতৃত্বের উপর আমার আস্থা নেই। পল্লীবন্ধু এরশাদকে অসুস্থ অবস্থায় একটি মহল পার্টির ভেতর যেভাবে প্রমোশন দিচ্ছে তা মেনে নেয়া যায় না।
(তথ্যসূত্র : নিউজ সোনারগাঁও )

সোনারগাঁয়ে দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

সোনারগাঁয়ে দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

জসিম উদ্দিন : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া এলাকায় বুধবার (০৯ এপ্রিল) গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে ৪০ পিস ইয়াবা সহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোনারগাঁ থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) সলিমুল হক জানান, উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় গোপন সংবাদের ভিক্তিতে আলাউদ্দিন ও জীবন মিয়া নামে দুই মাদক ব্যবসায়ীকে ৪০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আলাউদ্দিন মোগরাপাড়া ইউনিয়নের কাবিলগঞ্জ গ্রামের নুরুদ্দিনের ছেলে ও জীবন মিয়া ভৈরবদী গ্রামের আব্দুল মান্নান ওরফে মন্নার ছেলে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।  

মিয়ানমারে ছিটকে পড়লো বাংলাদেশ বিমান ড্যাশ ৮ কিউ ৪০০

মিয়ানমারে ছিটকে পড়লো বাংলাদেশ বিমান ড্যাশ ৮ কিউ ৪০০



০৯-মে-২০১৯

সংবাদ ডেস্কঃ ইয়াংগন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ড্যাশ ৮-কিউ৪০০ উড়োজাহাজ।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মহিবুল হক বলেন, ৩৩ জন আরোহী নিয়ে ঢাকা থেকে ইয়াংগন যাচ্ছিল বিমানের ফ্লাইট বিজি ০৬০।

বুধবার সন্ধ্যায় এ দুর্ঘটনার পর ১৯ জনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে মিয়ানমারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মঞ্জুরুল করিম খান চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।

সন্ধ্যা ৬টা ২২ মিনিটে বৈরি আবহাওয়ার মধ্যে অবতরণের সময় উড়োজাহাজটি রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে। দুর্ঘটনার পর দুই ঘণ্টার বেশি সময় ইয়াংগন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ ওঠানামা বন্ধ থাকে।আহতদের মধ্যে ওই বিমানের পাইলট শামীম নজরুল ও ফার্স্ট অফিসার কবিরুলও রয়েছেন বলে জানান মহিবুল হক।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জেনারেল ম্যানেজার (পাবলিক রিলেশন্স) শাকিল মেরাজ জানান, ফ্লাইট বিজি ০৬০ ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে রওনা হয়েছিল বিকাল ৩টা ৪৫ মিনিটে। বিমানে একটি শিশুসহ মোট ২৯ জন যাত্রী এবং দুই পাইলটসহ মোট চারজন ক্রু ছিলেন।“তাদের কারও জীবনশঙ্কা নেই।”

তিনি জানান, মিয়ানমার থেকে ফিরতি ফ্লাইটের ১৮ জন যাত্রী নিয়ে বিমানের একটি বিশেষে ফ্লাইট বিজি ১০৬১ ভোর ৬টায় ঢাকায় আসবে।
মিয়ানমারের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আসা ছবিতে কানাডার কোম্পানি বম্বার্ডিয়ারের তৈরি ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজটিকে ভাঙা ডানা নিয়ে রানওয়ের পাশে ঘাসের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
এভিয়েশন সেইফটি নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, উড়োজাহাজটির ফিউজিলাজ ভেঙে তিন টুকরো হয়ে গেছে, তলাও ফেটে গেছে। তবে দুর্ঘটনার পর ওই বিমানে আগুন ধরেনি।

মিয়ানমারে বিমানের ম্যানেজার মীর আক্তারুজ্জামান বলেন, উড়োজাহাজটি অবতরণের সময় আবহাওয়া ছিল খুবই খারাপ, ঘন ঘন বজ্রপাত হচ্ছিল। আরোহীদের মধ্যে সবাই কমবেশি ব্যথা পেয়েছেন।

রাষ্ট্রদূত মঞ্জুরুল করিম খান চৌধুরী বলেন, যাত্রীদের মধ্যে দশজনকে বিমানবন্দরে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি ১৯ জনকে নেওয়া হয়েছে বিমানবন্দরের কাছে নর্থ ওকালাপা হাসপাতালে