জসিম উদ্দিনঃ
সোনারগাঁ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদ। Facebook থেকে নেয়া। আমার মনে খুব কষ্ট লেগেছে, দুঃখ পেয়েছি এবং লজ্জিতও হয়েছি গত শুক্রবার ১০/০৫/২০১৯ ইং তারিখ যখন জুমার নামাজ আদায় করার জন্য সোনারগাঁও মোগড়াপাড়া চৌরাস্তার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে উপস্থিত হই। জুমার নামাজ শুরু হওয়ার আগে উক্ত মসজিদের সেক্রেটারী জানান যে, মসজিদ কমিটি ঋন আছে, ফান্ডে নগদ কোন টাকা নেই। মসজিদের পানির ট্যাংকির সমস্যা থাকায় মসজিদের জন্য একটি পানির ট্যাংকী ও নগদ ১০০০০/- (দশ হাজার) টাকা প্রদান করেন একজন জুতার দোকানদার।
কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো সোনারগাঁ মোগড়াপাড়া চৌরাস্তার মসজিদ কমিটি ঋন থাকবে কেন ? তাহলে উত্তোলনকৃত এত টাকা যাচ্ছে কোথায়। সোনারগাঁও মোগড়াপাড়া চৌরাস্তায় প্রায় দুই হাজার দোকান-পাট রয়েছে, যার প্রতিটি দোকান থেকে প্রতি সপ্তাহে ১০ টাকা করে উত্তোলন করা হয়। ফলে মাসিক আয় দাড়ায় ৮০০০০/- (আশি হাজার) টাকা এবং ফুটপাতের ফলের দোকান থেকেও দৈনিক মোগড়াপাড়া চৌরাস্তা জামে মসজিদের নাম করে হাজার হাজার টাকা উত্তোলন করা হচ্ছে, যার মাসিক আয় দাড়ায় লক্ষ টাকা । তাহলে প্রতি মাসে মোগড়াপাড়া চৌরাস্তার জামে মসজিদ ফান্ডে জমা হওয়ার কথা কয়েক লক্ষ টাকা। তবে আল্লাহর ঘর মসজিদের নাম করে যে সমস্ত দোকানপাট এবং ফুটপাত থেকে যে লক্ষ লক্ষ টাকা উত্তোলন করা হচ্ছে , তা কি মসজিদ কমিটির কেউ জাননা, তা কি মসজিদ ফান্ডে জমা হচ্ছে না। উত্তোলনকৃত টাকাগুলো খাচ্ছে কে? তাহলে সোনারগাঁও মোগড়াপাড়া চৌরাস্তার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের নামে উত্তোলনকৃত মাসিক লক্ষ লক্ষ টাকা যাচ্ছে কার পেটে ? এত টাকা মাসিক উত্তোলন হওয়ার পরেও সোনারগাঁ মোগড়াপাড়া চৌরাস্তার মসজিদের ফান্ড শূন্য কেন? উত্তোলনকৃত টাকাগুলো যাচ্ছে কার পেটে ? তবে কি মসজিদ কমিটির বিষয়টি জানা নেই। প্রশ্নের উত্তর খোঁজতে গভীর ভাবে তদন্ত চলছে, সকলের সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন।

