জসিম উদ্দিনঃ সকাল ৮:০০টা থেকে বিকাল ৪:০০টা পর্যন্ত এইভাবে
বয়স্কদের বসে থাকতে হয় বাইরে রোদে, শুধুমাত্র ১৫০০ টাকার জন্য। আর ৮:০০টায় এসে যদি কেউ লাইন না ধরেন তাহলে বই জমা নেওয়া হয় না। ব্যাংকের ভিতরে ও তাদের বসতে দেওয়া হয় না।
ব্যাংকের কর্মকর্তারা ব্যাংকের কাজ শুরু করেন ১০:০০ টার অনেক পরে। তবে কোনো বয়স্ক ১০:০০টার পরে বই জমা দিতে আসলে তখন ওনারা বলেন অন্যদিন আসতে, আজ বই জমা নেওয়া হবে না। অথচ বয়স্করা একবার আসতে তাদের কি পরিমান কষ্ট হয় সেটা একমাত্র আল্লাহ ই ভালো জানেন । কষ্ট করে আসার পরে ও ভোগান্তি পোহাতে হয়। নুন্যতম সম্মানটা ও দেওয়া হয় না তাদেরকে। ব্যাংকে আসলে মনে হয় উনাদের গুরুত্বপূর্ণ সময় বয়স্করা নষ্ট করে ফেলতেছেন।
অথচ ওনারা কাজের সময় কথা বলবে, গল্প করবে, চা খাবে,বিস্কুট খাবে, দুপুরে ভাত খাবে। আর বয়স্করা সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত না খেয়ে রাস্তায় বসে থাকেন, কখন নাম ডাকবে আর কখন সেই টাকা পেলে ঔষধ কিনে বাড়ী যাবেন!!
এসব দেখার কি কেউ নেই? কিভাবে আমরা উন্নয়নের গল্প করি, সিঙ্গাপুরের সাথে তুলনা করি। ডিজিট্যাল ডিজিট্যাল বলে মুখে ফেনা তুলি। আসুন, বয়স্কদের সম্মান দেই। কতৃপক্ষের দৃষ্টিতে এই বিষয়টি তুলে ধরি। সবাই শেয়ার করে এই অন্যায়ের প্রদিবাদ জানাই।
এটি সোনালী ব্যাংক বহদ্দারহাট শাখা চট্টগ্রামের চিত্র।

