সোনারগাঁয়ে ৮ম শ্রেণীর ছাত্রি মার্জিয়া ৩ দিন যাবত নিখোঁজ

সোনারগাঁয়ে ৮ম শ্রেণীর ছাত্রি মার্জিয়া ৩ দিন যাবত নিখোঁজ


জসিম উদ্দিনঃ সোনারগাঁ উপজেলায় ৩ দিন ধরে মার্জিয়া হোসেন নামের (১৩) বছরের স্কুল ছাত্রী নিখোঁজ রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শনিবার সকালে সে বাড়ী থেকে স্কুলে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে।

ডায়েরীতে মার্জিয়ার বাবা বাবুল হোসেন উল্লেখ করেন, গত শনিবার সকালে প্রাইভেট পড়তে যাবে বলে তার ৮ম শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়ে মার্জিয়া সোনারগাঁও পৌরসভার চিলারবাগ গ্রাম থেকে মোগরাপাড়া এইচ জি জি এস স্মৃতি বিদ্যায়তনের উদ্দেশ্যে সকাল ৭টার বাসা থেকে বের হয়ে যায়। দুপুরে বিদ্যালয় ছুটি হওয়ার পর বাড়ি ফিরে না আসায় তার বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন জায়গা ও স্বজনদের বাড়িতে খোঁজ নিয়ে তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় মার্জিয়ার বাবা শনিবার রাতেই একটি সাধারণ ডায়েরী করেন।(ডায়েরী নং- ১০০৪, ২১.০৭.১৯)।

যদি কোনো ব্যাক্তি নিখোঁজ স্কুলছাত্রীর সন্ধান পেয়ে থাকেন তাহলে সোনারগাঁও থানা পুলিশ বা তার পিতা বাবুল হোসেন ( ০১৮৬৪-৫০২৯৯২, ০১৮১৩-৬৪১০২৪) এ নাম্বারে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা  হচ্ছে। 

প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার সুমন

প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার সুমন

জসিম উদ্দিনঃ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন্য করার অপরাধে প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
এদেশের ৩০ লাখ শহীদের পবিত্র রক্তের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতাকারী প্রিয়া সাহা দেশের সাথে যে অন্যায় করেছেন এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চায় সর্বস্তরের জনগন।

বাংলাদেশ স্ম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে সারা বিশ্বের প্রকৃষ্ট উদাহরণ।

বাংলাদেশে মুসলিম,হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সকল ধর্মের মানুষ ভাই ভাই। একে অপরের আপনজন। প্রিয়া সাহা বাংলাদেশকে চরম আঘাত করেছে।

সোশ্যাল মিডিয়া থেকে জানা যায়, প্রিয়া সাহা মহিলা ঐক্য পরিষদ’র কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন, উনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ইউনিয়ন করতেন, রোকেয়া হলে থাকতেন। এখন একটি এনজিও আছে ওনার। বিভ্রান্তিমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য গতবছর তাকে মহিলা ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়, বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার নাটক করে প্রচুর বিদেশি ফান্ড কালেক্ট করেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি চরবানিরী, মাটিভাঙ্গা, নাজিরপুর, পিরোজপুর।

প্রিয়ার স্বামী মলয় সাহা সহকারী পরিচালক দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), তাদের দুই মেয়ে কয়েক বছর ধরে মলয় সাহার দুর্নীতির টাকায় আমেরিকায় বসবাস করছেন, কিছুদিন পূর্বে প্রিয়া সাহাকে দুদকের অফিসিয়াল গাড়ি ব্যবহার করে এয়ারপোর্টে পৌছে দেন তার স্বামী, দুদকের সহকারী পরিচালক মলয় সাহা। সকালে এয়ারপোর্ট পৌছে ফ্লাইট মিস করেন প্রিয়া, তারপর সেদিন রাতেই আরেকটি ফ্লাইটে তিনি আমেরিকায় রওনা হন, তার বিদায় মুহূর্তে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী আকবর কবিরের কন্যা তথাকথিত মানবাধিকার কর্মী খুশী কবির।

প্রিয়া সাহার এই দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের সঙ্গী হওয়ায় তার স্বামী মলয় সাহাকে অতিদ্রুত চাকুরি থেকে অব্যাহতি দিয়ে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হোক; ভুলে গেলে চলবে না তারা স্বামী-স্ত্রী মিলে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন্য করে অনেক বড় ক্ষতি করে ফেলেছেন বাংলাদেশের। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ ব্যাপারেও দৃষ্টি আর্কষণ করছি।

সোনারগাঁও উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিল্লাল হোসেনের নানির ইন্তেকাল

সোনারগাঁও উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিল্লাল হোসেনের নানির ইন্তেকাল
জসিম উদ্দিনঃ সোনারগাঁও উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিল্লাল হোসেনের নানির ইন্তেকাল
জানা গেছে সোনারগাঁও উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নে ইলিয়াসদি গ্রামের  ফজলুল করিম মোল্লার স্ত্রী আছিয়া বেগম ইন্তেকাল করেছেন। ১৮ জুলাই রাত  ৮ টা ৩০ মিনিটে  রাজধানীর ইবনেসিনা হাসপাতালে ধানমন্ডি  চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মুত্যুকাল তার বয়ষ হয়েছিল (৭৫) বছর।

তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সোনারগাঁও উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিল্লাল হোসেন।
আছিয়া বেগম ১৩ তারিখ থেকে শারীরিক অসুস্থায় ভুগছিলেন।
মৃত্যুকালে তিনি  ৬ ছেলে ও ১ মেয়ে সন্তান রেখে গেছেন। তার নাতি  বিল্লাল হোসেন জানান  সকাল ৮ টায় দরিকান্দি স্কুল মাঠে জানাযা শেষে  দরিকান্দি কবরস্থানে দাফন করা হবে।
তার মৃত্যুতে গভির শোক প্রকাশ করেছেন সোনারগাঁও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাসান রাসেদ।

সোনারগাঁয়ে স্কুলের খেলার মাঠে ভবন নির্মাণে এলাকাবাসীর সাথে নিষেধাজ্ঞা দিলেন এমপি খোকা

সোনারগাঁয়ে স্কুলের খেলার মাঠে ভবন নির্মাণে এলাকাবাসীর সাথে নিষেধাজ্ঞা দিলেন এমপি খোকা
জসিম উদ্দিনঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে কয়েকশত বছরের পুরনো ঐতিহাসিক খেলার মাঠ দখল করে স্কুলের ভবন নির্মান করতে নিষেধ করলেন এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা।
এক সময়ের মোগরাপাড়া এইচ.এস.জি.জি স্মৃতি বিদ্যায়তন বর্তমান মোগরাপাড়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে স্কুলের ভবন নির্মাণের কাজ করার জন্য নির্ধারিত স্থানে ইট বালি ও নির্মান সামগ্রী নিয়ে পায়তারা করছে একটি মহল। শতবছরের ঐতিহ্য খেলার মাঠ রক্ষার্থে ফুঁসে উঠেছেন এলাকার উদীয়মান ক্রিকেট ও ফুটবল খেলোয়ারসহ যুব সমাজ।
১৮ জুলাই (বৃহস্পতিবার) দুপুরে মোগরাপাড়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ভবন নির্মাণের কাজ উদ্বোধন করতে যান স্থানীয় সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা ও সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকার।
স্থানীয়দের মধ্যে ক্রিকেট ও ফুটবল প্রেমী রনি,মেহেদি,পরাগ, তানভির, রোমান, তৌফিক ও সুজনের নেতৃত্বে এলাকার সাধারণ জনগণ সংসদ সদস্য ও নির্বাহী কর্মকতাকে গিরে ধরেন এবং বিনয়ের সহিত তাদের খেলার মাঠটি উদ্ধার করার জন্য অনুরোধ করেন।
এলাকাবাসী জানান, মোগরাপাড়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মজিবুর রহমানের স্বেচ্ছাচারিতায় ঐতিহ্যবাহী খেলার মাঠে ভবন নির্মাণ করতে চাইছে গভর্নিং বডি/একটি মহল।
কার অনুমিত নিয়ে শত বছরের পুরানো খেলার মাঠে ভবন নির্মান করছেন উত্তরে প্রধান শিক্ষক মজিবুর রহমান পাশ কেটে যান।
এদিকে স্থানীয় এলাকার যুবসমাজ তাদের একমাত্র খেলার মাঠটিকে স্কুল ভবন তৈরি করতে দিবেনা এই স্লোগান দেন জাতীয় সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা এমপির সামনে।
স্থানীয় সংসদ সদস্যের সামনে প্রধান শিক্ষক মজিবুর রহমান বলেন আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানিনা।
সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা ও নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকার বিষয়টি বুঝতে পেরে খেলার মাঠের পাশেই সরকারি খাস জায়গা আছে প্রয়োজনে সেখানে আপনারা স্কুল ভবন নির্মান করেন এই বলে খেলার মাঠে ভবণ নির্মাণ করতে নিষেধ করেন তিনি।
খাস জমিতে মাটি ভরাটের জন্য প্রাথমিকভাবে এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা অনুদান হিসেবে নগদ ১ লাখ টাকা দেন এবং তিনি বলেন আগামীকাল থেকেই বালু ভরাটের কাজ শুরু করা হোক।
এ সময় ফুটবল ও ক্রিকেট প্রেমিসহ এলাকার সাধারণ জনগন সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা ও নির্বার্হী কর্মকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতার সহিত ধন্যবাদ জানান ও মিষ্টিমুখ করান।

সোনারগাঁয়ে বাল্যবিয়ে নিবন্ধণের দায়ে কাজী ও ৩ সহযোগীর কারাদন্ড

সোনারগাঁয়ে বাল্যবিয়ে নিবন্ধণের দায়ে কাজী ও ৩ সহযোগীর কারাদন্ড

জসিম উদ্দিনঃ সোনারগাঁ উপজেলায় বাল্যবিয়ে নিবন্ধণের দায়ে কাজীসহ ৩ সহযোগীর বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত।
 

আজ {১৭ জুলাই} সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকার এ আদালত পরিচালনা করে তাদের কারাদন্ড প্রদান করেন।
 

উপজেলা সূত্রে জানা যায় , মঙ্গলবার রাতে শরিয়তপুর থেকে ৯ম শ্রেনীতে পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রী (১৩)  কে বাড়ি থেকে পালিয়ে নিয়ে এসে মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুর এলাকার একটি ছেলে সোনারগাঁ উপজেলার কাচঁপুরে নিয়ে আসে।
 

ছেলেটি যাত্রীবাহি বাসে হেলপার হিসেবে কাজ করে এবং কাঁচপুর এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকে। সে মেয়েটিকে তার বাসা বাড়িতে এনে স্থানীয় কাজী হাবিবুর রহমানের কাজী অফিসে নিয়ে বিয়ে করে।
 

এমন সংবাদের ভিত্তিতে কাঁচপুর বাজারে কাজী অফিসে অভিযান চালিয়ে হাবিবুর রহমান তার সহযোগী কাউসার গাজী একই এলাকার সফিকুল ও আতাউরসহ মেয়েটিকে হাতে নাতে আটক করে পুলিশ। পরে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে কাজী হাবিবুর রহমানকে ১ বছর, তার সহযোগী আতাউরকে ০১ বছর, কাউসার গাজীকে ৬ মাস, ও সফিকুল নামের এক সহযোগীকে ১ বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়
 

শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে সোনারগাঁয়ে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে সোনারগাঁয়ে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ
জহির উদ্দিনঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে হোসেনপুর এস.পি ইউনিয়ন ডিগ্রী কলেজের দুইজন শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর প্রতিবাদে কলেজের শিক্ষার্থীরা আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে কলেজের প্রধান ফটকের সামনের সড়ক অবরোধ করে।
ভুক্তভোগী শিক্ষকরা হলে আব্দুল গনি ও মো. নাছির উদ্দিন।তাঁরা দুজনই কলেজের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। তাঁদের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সম্ভুপুরা ইউনিয়নের মুগারচর এলাকায় সহকারী অধ্যাপক আব্দুল গনির সাথে অতিরিক্ত ভাড়া চাওয়া নিয়ে স্থানীয় অটোরিক্সা চালক মোঃ রাজা মিয়ার কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় অপর শিক্ষক মোঃ নাছির উদ্দিন এর প্রতিবাদ করলে রাজা মিয়া তাদেরকে অপমানজনক অকথ্য ভাষায় কথা বলে। একপর্যায়ে দুজনকেই শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। অটোরিক্সা চালক মোঃ রাজা মিয়া মুগারচর নিবাসী মোহাম্মদ আলীর ছেলে। ঘটনার সময় তার আরো দুইজন সহযোগীও উপস্থিত ছিল বলে জানান কলেজ কর্তৃপক্ষ।

এ ঘটনার প্রতিবাদে কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু করেন। ১১টা থেকে কলেজের প্রধান ফটকের সামনের সড়ক অবরোধ করেন। পরে তাঁরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। কলেজের ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলেও শিক্ষার্থীরা আন্দোলন অব্যাহত রাখেন।
পরে খবর পেয়ে পরিদর্শনে আসা সোনারগাঁ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রুস্তম আলী ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের বিচারের আশ্বস্থ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নেন।

এ বিষয়ে জানতে হোসেনপুর  কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ জানান, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক, আমরা প্রশাসনিকভাবে সভা করেছি। কলেজ কমিটির সভায় চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সোনারগাঁয়ে রবি’র এরিয়া ম্যানেজার (সামস আবু সুমেন) পরকীয়ায় আপত্তিকর অবস্থায় স্থানীয়দের হাতে আটক

সোনারগাঁয়ে রবি’র এরিয়া ম্যানেজার (সামস আবু সুমেন)  পরকীয়ায় আপত্তিকর অবস্থায় স্থানীয়দের হাতে আটক


হাসান খানঃ নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁও উপজেলার দমদমা গ্রামে আপত্তিকর অবস্থায় রবি’র এরিয়া ম্যানেজার (সামস আবু সুমেন)সেলিনা নামক মেয়েকে আটক করেছেন স্থানীয়রা। মঙ্গলবার ১৬ জুলাই ভোরবেলা দমদমা গ্রামের পাপ্পুর বাড়ির ৩য় তলা ফ্লাটের ভাড়াটিয়া সামস আবু সুমেনের ঘর থেকে তাদেরকে আটক করে ।

স্থানীয়রা জানান,সামস আবু সুমেন ৫ বৎসর যাবত সোনারগাঁয়ে রবি’র এরিয়া ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন এবং সুমেন বিবাহিত তার একটি মেয়ে সন্তান ও আছে.

এলাকাবাসী জানান দীর্ঘদিন ধরে ওই মেয়ের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন ওই এরিয়া ম্যানেজার। মঙ্গলবার রাতে সেলিনা তার বাড়ীতে দেখা করতে আসলে এলাকাবাসী টের পেয়ে ভোরবেলা বাড়ির ভেতরে ঢুকে তাদের আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে ।

রহস্যজনকভাবে তিনি মেয়েটিকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেন। তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টায় মেবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
এলাকাবাসী সজল , কামাল, আরিফ, সুফিয়া বেগম সহ  ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন সুমেনের স্ত্রী সন্তান ঢাকায় থাকার কারনে ,অবহেলার স্বীকার হয়ে পরনারীর প্রতি আকৃষ্ট হয়েছেন।

সোনারগাঁয়ে গ্যাসের লাইজারের আগুনে পরিবারের স্বপ্ন পুড়ে ছাই

সোনারগাঁয়ে গ্যাসের লাইজারের আগুনে পরিবারের স্বপ্ন  পুড়ে ছাই
জসিম উদ্দিনঃ সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের বন্ধেরা গ্রামে গ্যাস রাইজার বিস্ফোরনে দুটি বসত ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে ঘরে থাকা ৩ লাখ টাকার আসবারপত্র ক্ষতি সাধন হয়েছে। এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

আগুনে পুড়ে যাওযা বাড়ীর মালিক জহিরুল ইসলাম জানান  , গতকাল রাত ১১টার দিকে মোগরাপাড়া ইউপির ছোট সাদিপুর হাফেজিয়া মাদ্রসার পিছনে বন্ধেরা গ্রামে বৃষ্টির সময় হঠাৎ একটি গ্যাস রাইজারে আগুনের সুত্রপাত ঘটে। মুহুর্তের মধ্যে আগুন পাশের একটি টিনসেট ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ঘরের লোকজন নিরাপদে বেরিয়ে আসতে পারলেও ঘরে থাকা ৩ লাখ টাকার আসবারপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তিনি আরো জানান, তার আর্থিক অসচ্ছলতার কারনে শেষ সম্ভল একটি বাড়ি হারিয়ে ছেলে মেয়ে নিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন। এজন্য তিনি সরকারের কাছে সাহায্য কামনা করেছেন।

৩ দিন ধরে দৈনিক আলোচিত কন্ঠের সোনারগাঁ প্রতিনিধি সাংবাদিক রাসেল নিখোঁজ

৩ দিন ধরে দৈনিক আলোচিত কন্ঠের সোনারগাঁ প্রতিনিধি  সাংবাদিক রাসেল নিখোঁজ
জহির উদ্দিনঃ সোনারগাঁয়ে  দৈনিক আলোচিত কন্ঠের সোনারগাঁ প্রতিনিধি রাসেদুল ইসলাম রাসেল গত ১০ জুলাই ব্যবসার কাজে বের হয়ে অধ্যাবধি ফিরে আসে নাই। তার কোন সন্ধান না পেয়ে তার স্ত্রী আসমা আক্তার গতকাল রাতে সোনারগাঁ থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করেছেন।

রাসেলের স্ত্রী আসমা আক্তার জানান, তার স্বামী রাসেল সাংবাদিকতার পাশাপাশি কাঠ ও তৈরি পোশাকের ব্যবসা করেন। ১০ জুলাই সকালে বরিশাল থেকে কাঠ কেনার উদ্যেশে সকাল বেলা নিজ বাড়ি থেকে রওনা দেন। রাসেলের সাথে শেস কথা হয় ১১ জুলাই রাত ৮টায়। রাসেল ফোনে জানায় একটু পরে বাড়ির উদ্যেশে বাসে উঠছি।১২ তারিখ সকালে বাড়ি পৌছাতে পারব।যথাসময়ে বাড়িতে ফিরে না আসায় তাহার স্ত্রী ও আত্মীয়স্বজন রাসেলের ব্যবহৃত ফোন নাম্বারে (০১৯১৩ ৭৬৩৪৫১, ০১৬৮৫ ১৭১৫০৯, ০১৮১৬ ৭৬৫৩০২) ফোন করলে দুটি নাম্বার বন্ধ দেখায়। একটি নাম্বারে ((০১৯১৩ ৭৬৩৪৫১) রিং হলেও তা রিসিভ করেনি। বর্তমানে তার সব কটি নাম্বার বন্ধ আছে। পরিবারের ধারনা, সে মলম পার্টি কিংবা হাইজ্যাকার  অথবা অপহৃত হয়েছে।

নিখোঁজ সাংবাদিক রাসেলের স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যরা জানান, যদি কোন সহৃদয়বান তার খোঁজ পেয়ে থাকেন তবে দয়া করে ( ০১৪০৩ ৮৭৮০০৬ / ০১ ) যোগাযোগ করবেন।
 

প্রধানমন্ত্রীর হাতের ছোঁয়া হারাতে চায় না সোনারগাঁয়ের ভট্টপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

প্রধানমন্ত্রীর হাতের ছোঁয়া হারাতে চায় না সোনারগাঁয়ের ভট্টপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

জসিম উদ্দিনঃ
সোনারগাঁয়ে আফনান নূর নিহা ভট্টপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেনির তিতাস শাখার শিক্ষার্থী। জুলাই মাসের ৪ তারিখ থেকে কেমন জানি আনমনা হয়ে থাকে নিহা। বঙ্গবন্ধুর গৌরবগাঁথা ইতিহাস, প্রধানমন্ত্রীর সোনার বাংল  গড়ার কৃতিত্বের ইতিহাস জানতে চায়। বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর জীবনী শুনে তার চোখের পানি বেরিয়ে আসে। চোখে পানি কেন জানতে চাইলে অঝড় ধারায় কাঁদতে থাকে। সে জানায়, যে পোশাকে বঙ্গবন্ধুর কণ্যার হাতের ছোঁয়া আছে সে পোশাক বাদ দিয়ে তাদের বিদ্যালয়ে নতুন পোশাক আসছে এতে সে খুব কষ্ট পাচ্ছে।


পরে সে বিদ্যালয়ে এসে বন্ধুদের কাছে খোলা চিঠি লিখে তার মনের অনুভ’তি জানায়। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার প্রতি কোমলমতি শিশুদের ভালবাসা সবাইকে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ করে, যে পোশাকে বঙ্গবন্ধু কন্যার হাতের ছোঁয়া আছে, সে পোশাক কখনো গা থেকে নামাবে না। শুরু হয় শিক্ষার্থী অভিভাবকদের যুদ্ধ। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের মাস থেকে পড়ে আসা নীল-সাদা পোশাকের উপর প্রধানমন্ত্রীর আদরে ছোঁয়া ও ভালবাসা প্রবাহমান রাখতে স্থানীয় সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকা, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকার, শিক্ষা অফিসার নিখিল চন্দ্র বিশ্বাস, কাউন্সিলর ফারুক আহমেদ তপন ও সাংবাদিকদের বরাবর স্বারক লিপি প্রদান করে। নতুন পোশাকের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন অধিকাংশ অভিভাবক।
গতকাল সরেজমিন বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কোন রকম মতবিনিময় না করে বিদ্যালয়ের পরিচালনা সভাপতি আবু নাইম ইকবাল এককভাবে ড্রেস পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেন।
আফনান নূর নিহা ও অন্যান্যরা জানান, ২০১৫ সালে সুন্দর হাতের লেখা ও গল্প লেখার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। যখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে নীল-সাদা ড্রেসে পুরস্কার আনতে যায়, তখন প্রধানমন্ত্রী তাকে অনেক আদর করেছে। মাথায়,কপালে ও ড্রেসে হাত বুলিয়ে দিয়েছে। তাই এ পোশাকে প্রধানমন্ত্রীর হাতের ছোয়া লেগে আছে। আরো জানার, আমরা এ পোশাক পড়ে একদিন দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে চাই।
নামপ্রকাশ অনিচ্ছুক একজন অভিভাবক জানান, অধরা প্রমানমন্ত্রীর নিকট হতে পুরস্কার গ্রহনকরার পর থেকে একটি চক্র ২০১৬ সাল থেকেই পোষাক পরিবর্তন করতে চাচ্ছিল। কিন্তু তৎকালিন প্রধান শিক্ষক ওয়াহিদুজ্জামান ও নিবার্হী কর্মকর্তা শাহীনুর ইসলামের বাঁধার কারনে তা বাস্ততবায়ন করতে পারেনি। চক্রটি পরিকল্পিতভাবে তৎকালিন প্রধান শিক্ষককে অন্যত্র বদলী করে পরে নতুন ইউএনও আসার পর তারা আবার সক্রিয় হয়ে পোশাক পরিবর্তনের ঘোষনা দেন। আর নতুন পোষাক বাস্তবায়নের দায়িত্ব নেন বর্তমান প্রধান শিক্ষক রেহেনা বিলকিস।
এ ব্যাপারে অভিভাবক কমিটির সদস্য ও স্থানীয় কাউন্সিলর ফারুক আহমেদ তপন জানান, একটি বিদ্যালয়ের ইউনিফর্ম পরিবর্তন হচ্ছে আমি তা জানতে পারলাম শিক্ষার্থীদের স্বারক লিপি পড়ে। এটা সত্যিই দুঃখজনক।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার নিখিল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, যদি ড্রেস পরিবর্তন করতে হয় তবে সকল শিক্ষক ও অভিভাবক কমিটির সদস্যদের সাথে আলোচনা করে সর্বসম্মতিক্রমে  সরকারকে জানাতে হবে। পরে অভিভাবকদের ড্রেসের ব্যাপারে জানিয়ে দিবে। তবে বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর ছোঁয়া যে ড্রেসে আছে সেই ড্রেস তারা পরিবর্তন করতে চায় না।
চতুর্থ শ্রেনির একজন শিক্ষার্থীর দেয়া স্বারক।

স্বারক লিপিতে স্থানীয় সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকা, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা মোশারফ হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকার, উপজেলা শিক্ষা অফিসার নিখিল চন্দ্র বিশ্বাস, স্থানীর পৌর কাউন্সিলর ও বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সদস্য ফারুক আহমেদ তপন ও উপজেলা প্রেসক্লাব বরাবর লিখিত ভাবে ভট্টপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আগের পোষাক রাখার জন্য আবেদন করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকার জানান, এ ব্যাপারে স্বারক লিপি পেয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, শিক্ষা অফিসারের সাথে কথা বলেছি। যদি কারো আপত্তি থাকে তাহলে যেন স্কুল ড্রেস পরিবর্তন করা না হয়।

সোনারগাঁওয়ে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের ময়লার ভাগাড় হবে ফুলের বাগান এস আই আজাদের আশ্বাস।

সোনারগাঁওয়ে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের ময়লার ভাগাড় হবে ফুলের বাগান এস আই আজাদের আশ্বাস।

জসিম উদ্দিনঃ সোনারগাঁওয়ে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে ময়লার ভাগাড় উচ্ছেদের লক্ষ্যে ব্লাড ফর নারায়ণগঞ্জ এর উদ্যোগে উপজেলার বিভিন্ন সংগঠনসহ  এলাকাবাসী মানববন্ধন করেন।
বুধবার (১০ জুলাই) সকাল ১১ টায়  মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে ময়লার ভাগাড়ের সামনে   এই মানববন্ধন করা হয়।

শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনের  প্রতিক্রিয়া স্বরুপ সোনারগাঁও থানার এস আই আজাদ বলেন, আমরা জাতি হিসেবে লজ্জিত। আজ ময়লার ভাগাড়ের দূর্ভোগ পোহাতে না পেড়ে স্কুল- কলেজের  ছাত্রছাত্রী সহ বিভিন্ন  সংগঠন আজকে তা উচ্ছেদ করার লক্ষে রাস্তায় নেমে মানববন্ধন করছে। এটা ছিল সওজ এর কাজ কিন্তু অত্যন্ত  দুঃখের বিষয় যে অনেকবার তাদের সাথে যোগাযোগ করেও লাভ হয়নি। তাই আমি নিজ উদ্যোগে এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে আজকের মধ্যে ময়লার ভাগাড়টি উচ্ছেদ করবো এবং আগামী পনেরো দিনের মধ্যে " ময়লার ভাগাড়  হবে ফুলের বাগান।"  যেখান থেকে আগে আসতো দুর্গন্ধ সেখান থেকে এখন  থেকে আসবে ফুলের গন্ধ।
তিনি এসময় বাজার সমিতিকে লক্ষকরে বলেন এখন থেকে প্রশাসন এই ময়লার ভাগাড়  নিয়ে চৌকস ভুমিকা পালন করবে যেই এখানে ময়লা ফেলবে তাকে সোজা জেল দেয়া হবে কোনো তদারকি চলবে না। 

উল্লেখ্য যে, গত সাত -আট বছর ধরে  মহাসড়কের উপর উপজেলার মোগরাপাড়া চৌরাস্তার বাজার, পৌরসভাসহ বিভিন্ন এলাকার ময়লা  এনে  নির্বিঘ্নে ফেলা হতো। এতে করে রাস্তাটি হয়ে যায় সরু ও হাজার হাজার গ্রামবাসীর দুর্ভোগের কারণ।  কয়েক মাসে আগে ঘটে এক মাদ্রাসার ছাত্রের অকাল মৃত্যু। বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় ও মিডিয়াতে একাধিকবার ময়লা অপসারণের সংবাদ প্রাকাশিত হলেও টনক নড়েনি সওজের।  চোখে পড়েনি স্থানীয় সাংসদের

সোনারগাঁয়ে ২২’শত পলিথিন জব্দ,৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও কারখানা বন্ধ

সোনারগাঁয়ে ২২’শত পলিথিন জব্দ,৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও কারখানা বন্ধ

জসিম উদ্দিনঃ
পরিবেশ অধিদপ্তর, সোনারগাঁ উপজেলা প্রশাসন ও র‌্যাবের যৌথ অভিযানে সোনারগাঁয়ে অবৈধভাবে গড়ে উঠা পলিথিন কারখানা বন্ধ করা হয়েছে।
সোমবার (৮ জুলাই) সকালে পিরোজপুর ইউনিয়নের ছোট কোরবানপুর গ্রামে শাফায়াত এন্টারপ্রাইজ নামের পলিথিন কারখানায় সোনারগাঁ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকারের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে কারখানাটি বন্ধ করা হয়।
এ সময় অবৈধ পলিথিন শপিং ব্যাগ উৎপাদনকারী কারখানা থেকে ৮শ কেজি শপিং ব্যাগ ও ২৬ বস্তা পলি প্রোপাইলিন জব্দ করা হয়। এছাড়াও ওই প্রতিষ্ঠানকে নগদ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ সময় সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পিরোজপুর ইউনিয়নের ছোট কোরবানপুর গ্রামে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড় পত্র ছাড়াই এ কারখানায় অবৈধ পলিথিন শপিং ব্যাগ উৎপাদন করছিল। খবর পেয়ে আজ সকালে ওই কারখানা অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় ওই প্রতিষ্ঠানকে নগদ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় অবৈধ পলিথিন শপিং ব্যাগ উৎপাদনকারী কারখানা থেকে ৮শ কেজি শপিং ব্যাগ ও ২৬ বস্তা পলি প্রোপাইলিন জব্দ করা হয়। পরে কারখানাটি বন্ধ ঘোষনা করা হয়।
তিনি আরো জানান, অবৈধ পলিথিন উৎপাদন ও ব্যবহারের বন্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা অব্যাহত থাকবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. সাঈদ আনোয়ার ও র‌্যাব-১১ এএসপি মোস্তাফিজুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক মইনুল হক।

টঙ্গীতে গাছা থানা বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা পরিষদের পরিচিতি সভা

টঙ্গীতে গাছা থানা বঙ্গবন্ধু ও জাতীয়  চার নেতা পরিষদের পরিচিতি সভা

জাহিদ হাসান জিহাদঃ টঙ্গীতে গাছা থানা বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা পরিষদের পরিচিতি সভা গতকাল সোমবার টঙ্গী বাজার গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতির কার্যালয়ে পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গাছা থানা বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা পরিষদের সভাপতি আলহাজ্ব শাহীন খানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ডা: মো: ইলিয়াস হাওলাদার মঞ্জুর পরিচালনায় পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এড. আজমত উল্লা খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গাজীপুর জেলা বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান, সহ সভাপতি আ: ছালাম বেপারী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান মোল্লা, সহ প্রচার সম্পাদক মো: আব্দুস সাত্তার মিয়া, নাট্য বিষয়ক সম্পাদক সেলিম মিয়া, গাছা থানা বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা পরিষদের সিনিয়র সহ সভাপতি মাওলানা ইদ্রিস আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক সিহাব উদ্দিন নিপু, সহসভাপতি জসিম উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ মো: রাব্বি হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রায়হান উদ্দিন, সদস্য সজিব হোসেন প্রমুখ।
 

আলোচনা সভা শেষে গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি এড. আজমত উল্লা খানকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

সোনারগাঁ থানার এসআই আজাদের নেতৃত্বে ৮ অপহরণকারী গ্রেফতার

সোনারগাঁ থানার এসআই আজাদের নেতৃত্বে ৮ অপহরণকারী  গ্রেফতার

জসিম উদ্দিন : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে বিজয় হোসেন(১৮) নামের এক যুবককে অপহরন করার চেষ্টা ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল রবিবার দুপুরে সোনারগাঁও পৌরসভা এলাকায় অবস্থিত শেখ রাসেল ষ্টেডিয়ামের সামনে।
এ সময় ফজলে রাব্বি ওরফে রাব্বি(১৯), হমু(২৩), সজিব(২০), ইয়াসিন(২০), আরিফ(২২), মেহেদী হাসান(১৯), রিয়াদ(২৩) ও গাড়ি চালক ফজলুর হক ওরফে ফজল(২৩) নামের ৮ অপহরন কারিকে এলাকাবাসি গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে ।  এ ঘটনায় অপহৃত বিজয়ের মা নুরতাজ বেগম বাদি হয়ে সোনারগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, সোনারগাঁও পৌরসভার গোয়ালদী গ্রামের গোলজার হোসেনের ছেলে বিজয় হোসেন বাংলাদেশ লোকও কারু শিল্প যাদুঘর ২নং গেট সংলগ্ন শোভন পলিব্যাগ লিমিটেডে চাররি করে। প্রতিদিনের ন্যায় সে গত রবিবার ১১টায় ছুটি শেষে যাদুঘরে ঘোরাফেরা শেষে সোয়া ১টায় বাড়ি ফেরাব পথে সাপেরবন্ধ ব্রিজের উপর উঠলে সাদা রং এর পুরাতন হাইস (ঢাকা মেট্রো-ট ১১-৯২২৫) গাড়ি থেকে নেমে ফজলে রাব্বি ওরফে রাব্বি একটি ঠিকান জানতে বিজয় হোসেনকে ডাকদেয়। বিজয় গাড়ির সামনে গেলে তাকে ধাক্কা দিয়ে গাড়িতে তুলে পালানোর চেষ্টা করে। এসময় বিজয়ের ডাকচিৎকারে আশেপাশের লোক জন ছুটে এসে গাড়িটির গতিরোধ করে অপহর কারিদের গণপিটুনি দিয়ে আটক করে রাখে। পরে খবর পেয়ে সোনারগাঁও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে অপহর করার কাজে ব্যহৃত গাড়ি সহ ফজলে রাব্বি ওরফে রাব্বি, হিমু, সজিব, ইয়াসিন, আরিফ,মেহেদী হাসান, রিয়াদ ও গাড়ি চালক ফজলুর হক ওরফে ফজল নামের ৮জনকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় অপহৃতের মা নুরতাজ বেগম বাদি হয়ে সোনারগাঁও থানা মামলা দায়ের করেছে। আজ সোমবার দুপুরে অপহর কারিদের আদালতে পাঠিয়েছে থানা পুলিশ। 
সোনারগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ৮ অপহরন কারিকে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠনো হয়েছে ।

সোনারগাঁয়ে কেন্টাকি টেক্সটাইল লিমিটেড ময়লা বিষাক্ত পানি পুকুরে ঢুকার কারনে মাছ মারা যাচ্ছে

সোনারগাঁয়ে কেন্টাকি টেক্সটাইল লিমিটেড ময়লা বিষাক্ত পানি পুকুরে ঢুকার কারনে মাছ মারা  যাচ্ছে
জসিম উদ্দিনঃ সোনারগাঁও উপজেলায় মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ [বাবু] অনুমতিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে টিপুরদী এলাকায় অবস্থিত কেন্টাকি টেক্সটাইল লিমিটেড নামের পরিবেশদূষণে শীর্ষে গার্মেন্টস ও ডায়িং কারখানা নির্মাণ করা হয়।
কেন্টাকি কোম্পানিটি উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ফুলবাড়িয়া গ্রামের ফসলি জমিতে  টেক্সটাইলে বিষাক্ত তরল- বর্জ্য নিস্কাশন করে ফলে ফসলি জমি এখন পানিবন্দি, জমে থাকা কারখানার বিষাক্ত বর্জ্য কয়েক দিনের বর্ষণে পুকুরের পানিতে মিশে প্রায় ১ লক্ষাধিক টাকার  মাছ মারা গেছে। এতে বিশাল আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে জানান মাছ চাষি রাজিব,শাওন ও রবিন।
শনিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাজী মোঃ নুরুদ্দিনের মালিকানাধীন ফুলবাড়িয়া গ্রামের ২০ শতক জমির উপর পুকুর , পুকুরটি  মাছ চাষের জন্য রাজিব,শাওন,রবিন গত ৪ মাস আগে হাজী মোঃ নুরুদ্দিনের থেকে  ভুজেনিয়ে  মাছ ছাড়েন।কারখানার দূষিত তরল বিষাক্ত বর্জ্য ফসলী জমির উপর নিস্কাশনের ফলে প্রভল বর্ষণ শুরু হওয়ার পর বিষাক্ত বর্জ্য পুকুরের পানিতে মিশে মাছগুলো মরতে থাকে।রুই, কাতলা, তেলাপিয়াসহ প্রায় ১০টি প্রজাতির ছোট বড় সব মাছ মরে যায় তাতে প্রায় ১ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। পুকুরের মাছ মরে ভেসে ওঠেছে শুনে। স্থানীয় ও ভাড়াটিয়াদের মরা মাছগুলো তুলে নিয়ে যেতে দেখা  যায়।
ক্ষতিগ্রস্থ মাছ চাষিরা জানান, কারখানার দূষিত বিষাক্ত বর্জ্য ফসলী জমির উপর নিস্কাশনের ফলে প্রভল বর্ষণ শুরু হওয়ার পর পুকুরের পানিতে মিশে মাছগুলো মরতে থাকে। এ বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে বারবার অভিযোগ করেও এলাকাবাসী কোনো ফলাফল পাননি।
এর প্রতিবাদে এলাকাবাসী গত ০২-০১-২০১৯ ইং বিক্ষোভ সমাবেশ করেছিলো ৯ জানুয়ারী, ২০১৯ দৈনিক ঊষার বাণী পত্রিকায় প্রকাশিত হয় শিরোনাম মোগরাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যানের দুর্নীতি এর পরেও এলাকাবাসী কোন ফলাফল পাইনি , এলাকাবাসীর ধারনা এলাকার নামধারী নেতারা কারখানার দূষিত বিষাক্ত বর্জ্য নিষ্কাসনের জন্য মাসিক মাসহারা পাচ্ছে জার জন্য কালো পানির জন্য কোন মাথাবেথা নেই ।

সোনারগাঁও উপজেলার বৈদ্যের বাজার সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের ওমেদার জাকির হোসেন অনিয়মকে নিয়ম করে ঘুষ, দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার মালিক

সোনারগাঁও উপজেলার বৈদ্যের বাজার সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের  ওমেদার জাকির হোসেন অনিয়মকে নিয়ম করে ঘুষ, দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার মালিক

 জসিম উদ্দিনঃ
নারায়ণগঞ্জে সোনারগাঁও উপজেলার বৈদ্যেরবাজার সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের ওমেদার জাকির হোসেনের খুটির জোর কোথায় এ প্রশ্ন সোনারগাঁয়ের প্রতিটি দলিল লেখকসহ সাধারন মানুষের। ওমেদার জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে সম্পদের পাহাড় গড়াসহ শতাধিক অভিযোগে আড়াইহাজার উপজেলায় বদলির দু’মাসের মধ্যে পুনরায় ব্যাপক তদবির করে সোনারগাঁও উপজেলার বৈদ্যেরবাজার সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে যোগ দেয়। সামান্য ওমেদার হয়ে জাকির হোসেনের মাসিক আয় ৩০ লাক্ষ টাকার উপরে। বৈদ্যেরবাজার সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সব অনিয়ম ও দুর্নীততে সরাসরি জড়িত থাকার পরও কার্যত জাকিরের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থাাই নেয়া হয়নি। সোনারগাঁয়ের বৈদ্যেরবাজার সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের অলিখিত সাব-রেজিস্ট্রার হচ্ছে ওমেদার জাকির হোসেন। কোন দলিল সম্পাদন হবে, কোন দলিল হবে না তার সিদ্ধান্ত আসে জাকির হোসেনের কাছ থেকে। সাব-রেজিস্ট্রার এর নামে প্রতিদিন বিকালে সকল দলিল লেখকদের কাছ থেকে টাকা তুলেন ওমেদার জাকির হোসেন। দীর্ঘদিন যাবত এক অফিসে থেকে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়ালেও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্হাই নেয়া হয় নি। এমনকি, কোন দলিল সম্পাদন করতে কত টাকা ঘুষ দিতে হবে, তার সিদ্ধান্ত দিবে ওমেদার জাকির। কাগজপত্রে যত ঝামেলা থাকুক, মালিকানা থাকুক আর না থাকুক, ভূয়া ব্যক্তিকে মালিক সাঁজিয়ে রেজিষ্ট্রি করা, ভূয়া ও সৃজনকৃত কাগজে রেজিষ্ট্রি হউক না কেন? ওমেদার জাকির হোসেনকে ম্যানেজ করতে পারলে সহজেই দলিল সম্পাদন হয়ে যায় বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, ওমেদার জাকির হোসেন অনিয়মকে নিয়ম করে ঘুষ, দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। ওমেদার জাকির হোসেন নিজেকে নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহা-পরিদর্শকের আত্মীয় পরিচয়ে এবং বৈদ্যেরবাজার সাব-রেজিস্ট্রার আব্দুর রশিদ মন্ডলের নাম ভাঙ্গীয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন পুরো সোনারগাঁও। গত কয়েক বছরের ব্যবধানে ওমেদার জাকির হোসেন হয়ে গেছেন টাকার কুমির। জমি, আলিশান ফ্লাট ও বাড়ীসহ নামে বেনামে কয়েক কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন তিনি।

বৈদ্যেরবাজার সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের এক দলিল লেখক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানায়, এ পর্যন্ত হাজারের উপর ভূয়া জাতীয় পরিচয় পত্র বানিয়ে ও ভূয়া দলিল দাতা এবং সৃজনকৃত কাগজপত্রে বিভিন্ন কোম্পানির নামে দলিল সম্পাদন হয়েছে। প্রতিটি দলিলে মোটা অংকের ঘুষ নিয়ে এহেন অপকর্ম করেছে ওমেদার জাকির হোসেন। এমনকি, দলিল সম্পাদনের পরে মোটা অংকের ঘুষের বিনিময়ে দাগ, খতিয়ান ও জমির পরিমান পর্যন্ত পরিবর্তন করে এই জাকির হোসেন। পাঁচ থেকে দশ লাখ টাকার বিনিময়ে দলিলে জমির পরিমান কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয় জাকির হোসেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার হাড়িয়া এলাকায় এক ব্যক্তি পাঁচ শতাংশ জমি বিক্রি করেন। জমি বিক্রির দলিলে সহি করে ফটোকপি নিজের কাছে রাখেন ওই ব্যক্তি। কয়েক মাস পরে দলিলের সহি মোহর নকল তুলে দেখে তিনি জমি বিক্রি করেছে ৪২ শতাংশ। বর্তমানে এ বিষয়ে নারায়নগঞ্জ জজ কোর্টে মামলা চলমান রয়েছে। এছাড়াও, রেজিষ্ট্রি সংক্রান্ত যে কোন সমস্যার সমাধান করতে পারেন ওমেদার জাকির হোসেন। সোনারগাঁও উপজেলার বৈদ্যেরবাজার সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে প্রতিটি দলিল থেকে নির্দিষ্ট হারে টাকা পান ওমেদার জাকির হোসেন।

জানা গেছে, ওমেদার জাকির হোসেনের বিভিন্ন অপকর্মের জন্য সোনারগাঁও থেকে আড়াইহাজার উপজেলায় বদলি করা হয়। কিন্তু বদলির মাত্র ২ মাসের মাথায় ওমেদার জাকির পুনরায় অদৃশ্য শক্তির জোরে সোনারগাঁয়ে ফিরে আসেন। তাই পুরো সোনারগাঁবাসীর মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, একজন সামান্য ওমেদারের এত ক্ষমতার উৎস কোথায়?

সোনারগাঁয়ে যোগ দিয়েই ওমেদার জাকির অঢেল সম্পদের মালিক বনে গেছেন। নারায়নগঞ্জ সোনারগাঁয়ে রয়েছে জাকির হোসেনের বিশাল আলিশান বাড়ি। চাকরি পাবার পরে সোনারগাঁয়ের জামপুরে কিনেছেন বিশাল পরিমান জমি। অফিস সময়ের পরে সে এলিয়ন গাড়ি হাকিয়ে চলেন।
অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, যে কোন ঝামেলার ও কাগজে ক্রটিপূর্ন ও কাগজপত্রে সমস্যা থাকলে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে কন্ট্রাক্ট করতে হয় জাকিরের সাথে। টাকা যত বেশি কাজ তত দ্রুত। টাকা বেশি দিলে যে কোন কাজ করানো যায় ওমেদার জাকির কে দিয়ে। ভূক্তভোগী ও স্হানীয় এলাকাবাসী, দুদকের মাধ্যমে ওমেদার জাকির হোসেনের অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্ত দাবির পাশাপাশি তাকে অন্যত্র বদলির দাবি জানায়।

এসব ব্যাপারে মুঠোফোনে কথা হয় বৈদ্যেরবাজার সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের ওমেদার জাকির হোসেনের সাথে। তিনি জানায়,আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা। কারন জমির দলিলসহ যাবতীয় কাজ সাব রেজিষ্টারের কাজ আর আমার কাজ হলো কাগজপত্র টেনে দেয়া।

এ ব্যাপারে মুঠোফোনে বৈদ্যেরবাজার সাব-রেজিস্ট্রার আব্দুর রশিদ মন্ডল বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি।

সোনারগাঁও থানার পুলিশের এএসআই মিজানুরএর বিরুদ্ধে গ্রেফতার বানিজ্যের অভিযোগ

সোনারগাঁও থানার  পুলিশের এএসআই মিজানুরএর বিরুদ্ধে গ্রেফতার বানিজ্যের অভিযোগ

হাসান খান : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে সাধারন মানুষকে গ্রেফতার করে ও মোটা অংকের চাঁদার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগী বাবুল হোসেন বাবু ও ফরহাদ হোসেন জানান, ৩ জুলাই বুধবার রাতে বন্ধুর গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান শেষে রাত সাড়ে এগারোটায় তারা তাদের চারবন্ধু দুটি মটর সাইকেলযোগে নিজ বাড়ি নবীগঞ্জ যাচ্ছিলেন। এ সময় এএসআই মিজানুর রহমান কাইকারটেক ব্রীজের মোড়ে তাদের গাড়ি থামিয়ে দেহ তল্লাশী করতে চাইলে তার হাতের আঙ্গুলের চিপায় ছোট একটি পুটলা দেখে তারা বাঁধা দেয়। পরে তারা নিজেরা জামা কাপড় খুলে মিজানকে দেখায়। তাদের কাছে কিছু না পেয়েও নানা অযুহাতে তাদের  গ্রেফতার করে থানায় আনতে চায়। নিজেরা নির্দোষ বলে অনেক অনুরোধ করলেও তাদের চার জনের কাছে ৪০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে। তারা তাদের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করলে পরিবারের লোকজন রাত আড়াইটায় টাকা দিয়ে ছাড়িয়ে নেন।

এছাড়াও গত ৩০ জুন রবিবার পৌরসভার গোবিন্দপুর এলাকা থেকে আল আমিন নামের একজনের পকেটে ইয়াবা ডুকিয়ে গ্রেফতার করে নিয়ে আসার সময় এলাকার শতশত মানুষ মিজানুরের পথরোধ করলে আল আমিনকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একজন জানান, থানা পুলিশের এএসআই মিজানুর রহমান শতশত জনতার সামনে আল আমিনের পকেটে ইয়াবা ঢুকিয়ে গ্রেফতার করতে চাইলে এলাকার মানুষ তার উপর ক্ষেপে যায়। পরে আল আমিনকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।

এ ব্যাপারে এলাকাবাসী জানায়, এলাকার চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী রবিনকে মাদক ব্যবসায় বাঁধা দিলে আল আমিনের সাথে রবিনের হাতাহাতি হয়। এ সময় রবিন মিজানুরকে ফোন দিলে মিজান সকলের সামনে থেকে আল আমিনকে গ্রেফতার করতে চাইলে এলাকাবাসী বাঁধা দেয়।

এ ব্যাপারে মিজানুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, রাত বারোটার দিকে চারজন যুবক উগ্রভাবে হোন্ডা চালিয়ে যাচ্ছিল দেখে তাদের আটক করি। পরে তাদের মুখের গন্ধশুকে বুঝতে পারি তারা বিয়ার খেয়ে এসেছে। টাকার কথা বলতেই তিনি তা এরিয়ে যান। গোবিন্দ পুরের ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আল আমিন একজন মাদক সেবী।

এছাড়াও অভিযানের নামে অপরাধীদের গ্রেফতার করে মোটা অঙ্কের আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগও পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হেলাল উদ্দিন জানান, এমন ঘটনা আমার জানা নেই। যদি এমন ঘটনা তারা ঘটায় তাহলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।