জসিম উদ্দিনঃ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন্য করার অপরাধে প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
এদেশের ৩০ লাখ শহীদের পবিত্র রক্তের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতাকারী প্রিয়া সাহা দেশের সাথে যে অন্যায় করেছেন এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চায় সর্বস্তরের জনগন।
বাংলাদেশ স্ম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে সারা বিশ্বের প্রকৃষ্ট উদাহরণ।
বাংলাদেশে মুসলিম,হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সকল ধর্মের মানুষ ভাই ভাই। একে অপরের আপনজন। প্রিয়া সাহা বাংলাদেশকে চরম আঘাত করেছে।
সোশ্যাল মিডিয়া থেকে জানা যায়, প্রিয়া সাহা মহিলা ঐক্য পরিষদ’র কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন, উনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ইউনিয়ন করতেন, রোকেয়া হলে থাকতেন। এখন একটি এনজিও আছে ওনার। বিভ্রান্তিমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য গতবছর তাকে মহিলা ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়, বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার নাটক করে প্রচুর বিদেশি ফান্ড কালেক্ট করেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি চরবানিরী, মাটিভাঙ্গা, নাজিরপুর, পিরোজপুর।
প্রিয়ার স্বামী মলয় সাহা সহকারী পরিচালক দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), তাদের দুই মেয়ে কয়েক বছর ধরে মলয় সাহার দুর্নীতির টাকায় আমেরিকায় বসবাস করছেন, কিছুদিন পূর্বে প্রিয়া সাহাকে দুদকের অফিসিয়াল গাড়ি ব্যবহার করে এয়ারপোর্টে পৌছে দেন তার স্বামী, দুদকের সহকারী পরিচালক মলয় সাহা। সকালে এয়ারপোর্ট পৌছে ফ্লাইট মিস করেন প্রিয়া, তারপর সেদিন রাতেই আরেকটি ফ্লাইটে তিনি আমেরিকায় রওনা হন, তার বিদায় মুহূর্তে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী আকবর কবিরের কন্যা তথাকথিত মানবাধিকার কর্মী খুশী কবির।
প্রিয়া সাহার এই দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের সঙ্গী হওয়ায় তার স্বামী মলয় সাহাকে অতিদ্রুত চাকুরি থেকে অব্যাহতি দিয়ে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হোক; ভুলে গেলে চলবে না তারা স্বামী-স্ত্রী মিলে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন্য করে অনেক বড় ক্ষতি করে ফেলেছেন বাংলাদেশের। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ ব্যাপারেও দৃষ্টি আর্কষণ করছি।


