হাসান খান : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে সাধারন মানুষকে গ্রেফতার করে ও মোটা অংকের চাঁদার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী বাবুল হোসেন বাবু ও ফরহাদ হোসেন জানান, ৩ জুলাই বুধবার রাতে বন্ধুর গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান শেষে রাত সাড়ে এগারোটায় তারা তাদের চারবন্ধু দুটি মটর সাইকেলযোগে নিজ বাড়ি নবীগঞ্জ যাচ্ছিলেন। এ সময় এএসআই মিজানুর রহমান কাইকারটেক ব্রীজের মোড়ে তাদের গাড়ি থামিয়ে দেহ তল্লাশী করতে চাইলে তার হাতের আঙ্গুলের চিপায় ছোট একটি পুটলা দেখে তারা বাঁধা দেয়। পরে তারা নিজেরা জামা কাপড় খুলে মিজানকে দেখায়। তাদের কাছে কিছু না পেয়েও নানা অযুহাতে তাদের গ্রেফতার করে থানায় আনতে চায়। নিজেরা নির্দোষ বলে অনেক অনুরোধ করলেও তাদের চার জনের কাছে ৪০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে। তারা তাদের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করলে পরিবারের লোকজন রাত আড়াইটায় টাকা দিয়ে ছাড়িয়ে নেন।
এছাড়াও গত ৩০ জুন রবিবার পৌরসভার গোবিন্দপুর এলাকা থেকে আল আমিন নামের একজনের পকেটে ইয়াবা ডুকিয়ে গ্রেফতার করে নিয়ে আসার সময় এলাকার শতশত মানুষ মিজানুরের পথরোধ করলে আল আমিনকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একজন জানান, থানা পুলিশের এএসআই মিজানুর রহমান শতশত জনতার সামনে আল আমিনের পকেটে ইয়াবা ঢুকিয়ে গ্রেফতার করতে চাইলে এলাকার মানুষ তার উপর ক্ষেপে যায়। পরে আল আমিনকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।
এ ব্যাপারে এলাকাবাসী জানায়, এলাকার চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী রবিনকে মাদক ব্যবসায় বাঁধা দিলে আল আমিনের সাথে রবিনের হাতাহাতি হয়। এ সময় রবিন মিজানুরকে ফোন দিলে মিজান সকলের সামনে থেকে আল আমিনকে গ্রেফতার করতে চাইলে এলাকাবাসী বাঁধা দেয়।
এ ব্যাপারে মিজানুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, রাত বারোটার দিকে চারজন যুবক উগ্রভাবে হোন্ডা চালিয়ে যাচ্ছিল দেখে তাদের আটক করি। পরে তাদের মুখের গন্ধশুকে বুঝতে পারি তারা বিয়ার খেয়ে এসেছে। টাকার কথা বলতেই তিনি তা এরিয়ে যান। গোবিন্দ পুরের ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আল আমিন একজন মাদক সেবী।
এছাড়াও অভিযানের নামে অপরাধীদের গ্রেফতার করে মোটা অঙ্কের আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগও পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হেলাল উদ্দিন জানান, এমন ঘটনা আমার জানা নেই। যদি এমন ঘটনা তারা ঘটায় তাহলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
