নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস ২০১৯ পালিত।

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস ২০১৯ পালিত।

 হাসান খান ' নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে সকালে ৩১বার তোপধ্বনীর মাধ্যমে বিজয়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

শহীদ মজনু পার্কে বিজয় স্তম্ভে ফুল দিয়ে একাত্তরের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ,মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং অগণিত মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন ।
 সোনারগাঁ ছাড়াও সারা দেশেই সব শ্রেণি-পেশা’র মানুষ অংশ নিয়েছেন  বিজয় উৎসবে। আজ সরকারি ছুটির দিন। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে । বিজয় দিবসকে ঘিরে প্রধান সড়ক ও সড়ক-দ্বীপ জাতীয় পতাকায় স’জ্জিত করা হয়েছে।

আজ গৌরবময় বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধ শেষে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) আত্মসমর্পণ করেছিল পাকহানাদার বাহিনী। চূড়ান্ত বিজয়ের মধ্য দিয়ে অভ্যুদয় ঘটে বাঙালির স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশের।

বিজয়ের অনুভূতি সবসময়ই আনন্দের। তবে একই সঙ্গে দিনটি বেদনারও, বিশেষ করে যারা স্বজন হারিয়েছেন তাদের জন্য। অগণিত মানুষের আ’ত্মত্যাগের ফসল আমাদের স্বাধীনতা। আমরা গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করি মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের; যেসব নারী ভ’য়াবহ নির্যা’তনের শিকার হয়েছিলেন, তাদের। এ দেশের মানুষের আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক অধিকার তথা স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সফল নেতৃত্ব দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
কোটি কোটি মানুষকে তিনি স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করে তুলেছিলেন। তার সঙ্গে ছিলেন একই লক্ষ্যে অবিচল একদল রাজনৈতিক নেতা। তাদের সবাইকেই আমরা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সকালে বিজয় স্তম্বে ও পরে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সোনারগাঁ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ,মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন, সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রকিবুর রহমান খাঁন, সোনারগাঁ থানার অফিসার্স ইনচার্জ মনিুজ্জামানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সাংস্কৃতিক নেতৃবৃন্দ পৃথকভাবে শ্রদ্ধা জানান।



সোনারগাঁয়ে দ্বীন ইসলাম হত্যা মামলার প্রধান আসামি আহসানউল্লাহ গ্রেফতার।

সোনারগাঁয়ে দ্বীন ইসলাম হত্যা মামলার প্রধান আসামি আহসানউল্লাহ গ্রেফতার।
হাসান খানঃ  সোনারগাঁয়ে দ্বীন ইসলাম হত্যা মামলার প্রধান আসামি আহসানউল্লাহ গ্রেফতার করেছে সোনারগাঁ থানা পুলিশ।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাতে সিরাজগঞ্জ নন্দীপাড়া এলাকা হতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সোনারগাঁ থানার উপ-পরিদর্শক রাজু মন্ডল বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার গভীর রাতে সিরাজগঞ্জ নন্দীপাড়া এলাকা থেকে দ্বীন ইসলাম হত্যার প্রধান আসামি আহসান উল্লাহকে গ্রেফতার করা হয়। এই হত্যার ঘটনায় এর আগেও দুজকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়। বাকি আসামিদের অচিরেই গ্রেফতারেরর চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, গত ৪ অক্টোবর উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের নয়াগাঁও এলাকার মদিনাতুল উলুম মাদ্রাসার সামনে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে নয়াগাঁও গ্রামের সালাউদ্দিনের
 ছেলে দ্বীন ইসলামের সাথে একই গ্রামের আসাদুলের ছেলে আহসানুল্লাহর কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে আহসানুল্লাহ, শাহাবুদ্দিন, আলী হোসেন, শাহীন, এরশাদ উল্লাহ সহ ৫/৬ দ্বীন ইসলামকে এলোপাথারী পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে। ১০ দিন চিকিসার পর ১৪ অক্টোবর রাতে সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে দ্বীন ইসলামের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় দ্বীন ইসলামের বড় ভাই ইলিয়াস মিয়া বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ইতিপূর্বে এ মামলায় শাহীন ও রাজু নামের দুইজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃত আহসান উল্লাহ দ্বীন ইসলাম হত্যা মামলার প্রধান আসামী। সে নয়াগাঁও গ্রামের এরশাদ উল্লাহর ছেলে।

যুবলীগ নেতা সোহেল রানার বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম ষড়যন্ত্র করছে এলাকার মাদক ব্যবসায়ীরা

যুবলীগ নেতা সোহেল রানার বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম ষড়যন্ত্র করছে এলাকার মাদক ব্যবসায়ীরা

স্টাফ রিপোর্টারঃ এলাকার কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ীদের মাদক বিক্রিতে বাধা দেওয়ায় গাজীপুর মহানগর যুবলীগের অন্যতম নেতা এম এম সোহেল রানার বিরুদ্ধে সাংবাদিক লেলিয়ে দিয়ে বিভিন্ন রকম অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র করছে বলে খবর পাওয়া গেছে মর্মে যুবলীগ নেতা এম এম সোহেল রানা বাদী হয়ে গাছা থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেছে যার নং-১২৬৮, তারিখ ৩১-১০-২০১৯। সাধারণ ডায়রীর সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর মহানগরের ৩৮নং ওয়ার্ডের দক্ষিন খাইলকুর এলাকার হাজ্বী বজলুর রহমানের ছেলে গাজীপুর মহানগর যুবলীগের অন্যতম নেতা এম এম সোহেল রানা দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকায় একতা ক্যাবল ভিশন নামক প্রতিষ্ঠানের সাথে সুনামের সহিত ব্যবসা করিয়া আসিতেছে। ব্যবসার পাশাপাশি এলাকার আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করায় উক্ত এলাকার মৃত তারা মিয়ার ছেলে কুখ্যাত ফেনসিডিল ব্যবসায়ী মজিবুর ওরফে ডাইল মজিবুর (৫০), বাবু (৩৫), জয়নাল, দক্ষিন খান এলাকার কাশেম ভূইয়ার ছেলে একরামুল ওরফে গাঞ্জা একরামুল (৩৫), খাইলকুর এলাকার সেকান্দর আলীর ছেলে ইয়াবা হারুন (৪০) এদের বাঁধা হয়ে দাঁড়ানোর কারণে উল্লেখিত ব্যাক্তিরা দীর্ঘদিন যাবৎ গাজীপুর মহানগর যুবলীগ নেতা এম এম সোহেল রানার সাথে বিরোধ করে আসছে। উক্ত বিরোধের ধারাবাহিকতায় ঢাকা থেকে সাংবাদিক এনে গত ৩০-১০-২০১৯ তারিখে দৈনিক দেশ রূপান্তর নামক একটি পত্রিকায় এম এম সোহেল রানাকে নিয়ে সোহেল রানার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশন করে। উক্ত সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর পত্রিকার বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম নিন্দা জানিয়ে এলাকার জনসাধারণ সামাজিক যোগাযোগে প্রতিবাদ জানায়। এদিকে এম এম সোহেল রানা সাংবাদিকদের জানান, আমি একজন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক, ছোট বেলা থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুঁকে ধারণ করে গাজীপুর ২ আসন থেকে বার বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য, বর্তমান যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব জাহিদ আহসান রাসেল এম পি ও গাজীপুর মহানগর যুবলীগের আহŸায়ক আলহাজ্ব কামরুল আহসান সরকার রাসেল ভাইয়ের হাত ধরে রাজনীতি করে আসছি। উল্লেখিত মাদক ব্যবসায়ীরা এলাকায় বীরদর্পে মাদক ব্যবসা করে যুব সমাজকে ধ্বংসের দারপ্রান্তে ঠেলে দিচ্ছে। আমি এলাকাবাসীদের সাথে নিয়ে উক্ত মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় আমার বিরুদ্ধে উক্ত মাদক ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন রকম অভিযোগ এনে মিথ্যা তথ্য সাংবাদিকদের দিয়ে আমার বিরুদ্ধে যে সংবাদ পরিবেশন করছে আমি তার তীব্র প্রতিবাদ জানাই।r

ফেনীর মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় অধ্যক্ষ সহ ১৬ জনের ফাঁসির আদেশ

ফেনীর মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় অধ্যক্ষ সহ ১৬ জনের ফাঁসির আদেশ

হাসান খানঃ ফেনীর মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলাসহ ১৬ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামনুুর রশিদ বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে এ রায় ঘোষণা করেন।
 
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।
 
এর আগে গত ৩০শে সেপ্টেম্বর আলোচিত এ মামলার রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন আদালত। রায়ের মধ্য দিয়ে ৭ মাসের মধ্যেই আলোচিত এই মামলাটির বিচারকাজ শেষ হলো।
নুসরাতকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে মামলা করেন তার মা। সেই ঘটনায় ২৭শে মার্চ গ্রেপ্তার করা হয় অধ্যক্ষকে।
এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ৬ এপ্রিল অধ্যক্ষের লোকজন পরীক্ষার হল থেকে ডেকে মাদ্রাসার প্রশাসনিক ভবনের ছাদে নিয়ে নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। ৫ দিন মৃত্যুর সাথে লড়াই করে ১০ই এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান নুসরাত।
এই ঘটনায় সোনাগাজী মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নুসরাতের বড় ভাই। এরপর সারাদেশে প্রতিবাদের ঝড় উঠলে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়। অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলাকে প্রধান আসামি করে ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন পুলিশ বুরো অফ ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই এর তদন্ত কর্মকর্তা।
 
এ মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত ১৬ আসামি হলেন—সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার বরখাস্ত হওয়া অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলা, সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি রুহুল আমিন, সোনাগাজী পৌরসভার কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম, মাদ্রাসার শিক্ষক আবদুল কাদের, প্রভাষক আফসার উদ্দিন, মাদ্রাসার ছাত্র নূর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, সাইফুর রহমান মোহাম্মদ যোবায়ের, জাবেদ হোসেন ওরফে সাখাওয়াত হোসেন জাবেদ, কামরুন নাহার মনি, উম্মে সুলতানা পপি ওরফে তুহিন, আবদুর রহিম শরিফ, ইফতেখার উদ্দিন রানা, ইমরান হোসেন মামুন, মোহাম্মদ শামীম ও মহি উদ্দিন শাকিল।
হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয় ১২ আসামি। ৯২ জন সাক্ষীর মধ্যে ৮৭ জন সাক্ষ্য প্রদান করেন। আলোচিত এই রায়কে কেন্দ্র করে নুসরাতের বাড়িসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার রয়েছে বলে জানিয়েছেন ফেনী সোনাগাজী মডেল থানার এ,এ,আই দিদার হোসেন।
অধ্যক্ষের যৌন হয়রানির বিষয়ে নুসরাতের অভিযোগ গ্রহণের সময় তার ভিডিও ধারণ করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সোনাগাজী থানার তৎকালীন ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনেরও বিচার চলছে ।

সোনারগাঁয়ের মুক্তিযোদ্ধাদের দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স শুভ উদ্বোধন

 সোনারগাঁয়ের মুক্তিযোদ্ধাদের দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স শুভ উদ্বোধন
হাসান খানঃ নারায়ণগঞ্জ -৩ সোনারগাঁয়ের মুক্তিযোদ্ধাদের দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স শুভ উদ্বোধন, শনিবার (১৯ অক্টোবর) বেলা ১১টায় সোনারগাঁ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের ৩য় তলা ভবনের উদ্ধোধন করা হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক এমপি।
মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি আ.ক.ম মোজাম্মেল হক এমপি বক্তব্যে বলেন।
স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবসে কেবল মুক্তিযোদ্ধারাই দুটি ভাতা পাবেন। অন্য কোনো সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারী এই ভাতা পাবেন না। মুক্তিযোদ্ধারা গত বছর থেকে এ ভাতা পাচ্ছেন।
তিনি আরো বলেন, সারা দেশের স্মৃতিস্তম্ভ ও দখল হয়ে যাওয়া বদ্দভূমি গুলো উদ্ধার করে সংস্কার করা হবে। যাতে আগামী প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারে। সারা দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের দাফনের জন্য ১০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হবে এবং কবরগুলো একই ডিজাইনের হবে যাতে ভবিষৎ প্রজন্ম দেখলেই বুঝতে পারে এটা একটা মুক্তিযুদ্ধার কবর। আগামী বছর মুজিব বর্ষ উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের একই ডিজাইনে বাড়ি করে দেওয়া হবে প্রতিটি বাড়ির ব্যয় হবে ১৫ লাখ টাকা। মুক্তিযোদ্ধাদের গ্যাস বিল, বিদ্যুৎ বিল ও চিকিৎসা খরচ সহ ৩ হাজার টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে আগামী ছয় মাসের মধ্যে কার্যকর করা হবে বলে জানান তিনি।
 

জেলা প্রশাসক মো: জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সাংসদ আব্দুল্লাহ আল কায়সার, পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ, নারায়নগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সাংসদ ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোহাম্মদ আলী, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রশাসক অঞ্জন কুমার সরকার, উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড সংসদের সাবেক কমান্ডার সোহেল রানা, ডেপুটি কমান্ডার ওসমান গনি, কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামীলীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সেলিনা আক্তার, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মান প্রকল্প পরিচালক আব্দুল হাকিম,মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড সোনারগাঁ উপজেলার সভাপতি সনিয়া আক্তার প্রমুখ।

টঙ্গী প্রেসক্লাবে অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলা-ভাংচুর

 টঙ্গী প্রেসক্লাবে অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলা-ভাংচুর

জাহিদ হাসান জিহাদ।।
টঙ্গী প্রেসক্লাবে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে একদল সন্ত্রাসী। এসময় ওই সন্ত্রাসী চক্রটি ক্লাবের অফিসকক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এতে সাধারণ সদস্যদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সন্ত্রাসীদের হামলায় জাহাঙ্গীর আকন্দ নামে এক সাংবাদিক গুরুতর আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল সোমবার আনুমানিক দুপুর আড়াইটার সময়। এঘটনায় টঙ্গী পশ্চিম থানায় অভিযোগ দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
আহত সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আকন্দ বলেন, দুপুর আড়াইটার দিকে আজিজুল হক ও এম. আর নাসিরসহ একদল সন্ত্রাসী অতর্কিতে প্রেসক্লাবে হামলা চালায়। এসময় তারা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম, এ হায়দার সরকার ও সাধারন সম্পাদক কালিমুল্লাহ ইকবালকে হত্যা করার জন্য খুঁজতে থাকে। পরে তাদেরকে না পেয়ে সন্ত্রাসীরা ক্লাবে ব্যাপক ভাংচুর শুরু করে। এসময় সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আকন্দ বাধা দিলে সন্ত্রাসীরা তাকে এলোপাথারি মারধর করে এবং তাদের হাতে থাকা লোহার রড ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে। এতে তার হাতের আঙ্গুল ভেঙ্গে যায় এবং বুকে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে আহত হন।
এ ব্যাপারে টঙ্গী প্রেসক্লাবের সভাপতি এম. এ হায়দার সরকার বলেন, ওই সন্ত্রাসী চক্রটি বেশ কিছু দিন যাবত আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। তারা ক্লাবে আমাকে না পেয়ে সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আকন্দকে পিটিয়ে আহত করেছে এবং ক্লাবের মূল্যবান সম্পদ ভাংচুর করেছে।
এ বিষয়ে টঙ্গী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. কালিমুল্লাহ ইকবাল বলেন, ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ থাকাকালে ব্যাপক দুর্নীতির মাধ্যমে টঙ্গী প্রেসক্লাবের সহ-সাধারণ সম্পাদক এম.আর নাসির প্রায় ৪ লক্ষ টাকা আত্মসাত করেছেন। এ ঘটনায় সম্প্রতি কমিটির নির্বাহী পদসহ সাধারণ সদস্য পদ থেকেও এম. আর নাসিরকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এই ঘটনার জেরে বেশকিছু দিন যাবত নাসির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে নানাভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে।

নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁয়ে খেলা নিয়ে দ্বন্দ্বে হামলায় আহত যুবকের মৃত্যু

নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁয়ে খেলা নিয়ে দ্বন্দ্বে হামলায় আহত যুবকের মৃত্যু



জসিম উদ্দিন রাজিবঃ ক্রিকেট খেলা নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলার ৮দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় দ্বীন ইসলাম (২৬) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। নিহত দ্বীন ইসলাম পিরোজপুর ইউপির নয়াগাঁও গ্রামের মৃত সালাউদ্দিনের ছেলে। ময়না তদন্তের জন্য লাশ নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় দ্বীন ইসলামের বড় ভাই ইলিয়াস মিয়া বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

নিহত দ্বীন ইসলামের ভাই ইলিয়াস জানান, গত ৪ তারিখে নয়াগাঁও ঈদগাহ মাঠে ক্রিকেট খেলা নিয়ে আমার ভাইয়ের রাজু নামের একজনের সঙ্গে তর্ক-বির্তক হয়। এ সময় একই ইউপির বড়নয়াগাঁও গ্রামের এরশাদ উল্লাহ মিয়ার ছেলে আহসান উল্লাহ এসে আমার ছোট ভাইয়ের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়ে। পরে উপস্থিত অন্যরা তাদের মধ্যে মীমাংসা করে দেন। খেলা শেষে দ্বীন ইসলাম বাড়িতে ফেরার পথে আহসান উল্লাহসহ আরো ৩/৪জন অঅমার ভাইয়ের পথরোধ করে তাকে পিটিয়ে এবং হত্যার উদ্যেশে ইট দিয়ে মাথা থেতলে দেয়। এ সময় ভাইয়ের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।


মারাত্মক আহত দ্বীন ইসলামকে উদ্ধার করে প্রথমে একটি স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানে ৮ দিন চিকিৎসার পর গতকাল বিকেলে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসলে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রাতেই ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাই। কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত সাড়ে ৮ টার সময় তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় জড়িতের সন্দেহে একই গ্রামের মোবারক হোসেনের ছেলে শাহিন (২০) নামে একজনকে আটক করেছে সোনারগাঁ থানা পুলিশ।

সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ নেওয়া হয়েছে এবং হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। আসামিদের গ্রেপ্তার করতে থানা পুলিশের কয়েকটি টিম কাজ করছে।

পূবাইলে ঘরে ঢুকে স্বামী-স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা

পূবাইলে ঘরে ঢুকে স্বামী-স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা

জাহিদ হাসান জিহাদ।। গাজীপুরের পূবাইলে স্বামী ও স্ত্রীকে ঘরে ঢুকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে পূবাইল মেট্রো থানার ৪১নং ওয়ার্ডের বসুগাঁও পূর্বপাড়া এলাকা থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহতরা হলেন- আবুল কালাম (৩৯) ও তার স্ত্রী পুতুল বেগম (২৫)। তাদের বাড়ি একই এলাকায়। ওই দম্পতির সাফোয়ান নামে দুই বছরের একটি ছেলে রয়েছে।

পূবাইল থানার এসআই মাসুদ জানান, বুধবার দিবাগত রাতে পূবাইল মেট্রো থানার ৪১নং ওয়ার্ডের বসুগাঁও পূর্বপাড়া এলাকায় ঘরে ঢুকে দুর্বৃত্তরা স্বামী ও স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করে। নিহতদের মরদেহের পাশে মরিচের গুঁড়া পাওয়া গেছে।

পূবাইল থানার ওসি নাজমুল হক ভূঁইয়া জানান, ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আশা করি খুব দ্রুত হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনসহ খুনি ধরা পড়বে।f

সংগঠন কে শক্তিশালী করতে নিজ পরিবারকে ঠিকমতো সময় দিতে পারিনা কাজী আনিস

সংগঠন কে শক্তিশালী করতে নিজ পরিবারকে ঠিকমতো  সময় দিতে পারিনা কাজী আনিস

স্টাফ রিপোর্টার।।নেতা হওয়া চট্টিখানি কথা নয়। এর পেছনে থাকে ঘাম ঝড়ানো পরিশ্রম। থাকে কর্মীদের প্রতি নি:স্বার্থ ভালোবাসা। সেই পরিশ্রম এবং ভালোবাসা দিয়ে যিনি কর্মীবান্ধব নেতা-তিনি কাজি আনিসুর রহমান। বলা যায়-যুবলীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের হাড়ির খবরও যার নখদর্পনে,তিনিই কাজি আনিসুর রহমান। অবশ্য, একদিনেই তিনি এই স্থানটিতে উঠে আসেননি। এর জন্য ত্যাগ-তিতিক্ষা ছিল অবর্ণনীয়। মেধা আর কাজের সমন্বয় ঘটিয়ে মন জয় করে নেন সকলের। হয়ে উঠেন সংগঠনের মধ্যমনি।
যুবলীগের সাংগঠনিক কর্মসূচীর ফাইলপত্র, প্রচার বিভাগের যাবতীয় কাজ, কর্মীদের যাবতীয় তথ্য সংরক্ষণসহ তৃণমূল পর্যায়ে কর্মীদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করাই ছিল কাজি আনিসের সার্বক্ষণিক দায়িত্ব। মূলত এই কারণেই তৃণমুলে সংগঠনের ভিত হয়ে উঠে বেশ শক্তিশালী। ফলে সংগঠনের চেয়ারম্যান কাজপাগল ওমর ফারুক চৌধুরীর নেক নজরেও আসতে থাকেন তিনি। আর এভাবেই স্বীয় যোগ্যতা প্রদর্শনপূর্বক তিনি স্থান পান যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে। বর্তমানে যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক তিনি।
রাতদিন দাপ্তরিক কাজ নিয়ে ব্যস্থ থাকা কাজি আনিস নিজ পরিবারে সময় দিতে না পারলেও সংগঠনকেই নিজের পরিবার মনে করতেন-এমন কথা যুবলীগ কর্মীদের মুখে মুখে। কাজী আনিসুরের এইসকল গুনই একটা সময়ে কাল হয়ে দাঁড়ায়। ফলে একটি চক্র কাজী আনিস এবং যুবলীগ ঘায়েলের ষড়যন্ত্রে মেতে উঠে। বিশেষ করে সারাদেশে যুবলীগ যখন কাউন্সিলদের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে সম্মেলন করে আসছে-সেই সময়ই থেকেই শুরু হয় ঐ চক্রের নানমুখী তৎপরতা। এমনকি খোদ প্রধানমন্ত্রী যখন বিভিন্ন সভাসমাবেশ এবং দলীয় সভায় যুবলীগকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন, তখন থেকেই গাত্রদাহ শুরু হয় ঐ চক্রের।
এ ব্যাপারে রাজশাহী জেলা যুবলীগ নেতা শাহ জামাল জানিয়েছে- সারাদেশে যুবলীগকে চাঙ্গা করতে চেয়ারম্যান-সম্পাদকের পরেই দপ্তর সম্পাদক আনিসুর রহমান কাজ করে গেছেন। যেখানেই যা প্রয়োজন, আনিসুর রহমান তা করে যাচ্ছেন। সারা দেশে যুবলীগকে এগিয়ে নিতে তাঁর চেষ্টার কোন কমতি নেই। নেতাকর্মীদের মধে ঐক্য গড়া, তাদের কে সাংগঠনিকভাবে পাকাপুক্ত করতে তিনি তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছেন।

সুনামগঞ্জ জেলা যুবলীগ নেতা পাভেল আহমদ জানিয়েছেন- সুনামগঞ্জের পদবীধারী নেতা থেকে তৃণমূলের কর্মী পর্যন্ত আনিসুর রহমানের সাথে রয়েছে গভীর সম্পর্ক। কর্মীদের কিভাবে যোগ্যতাসম্পন্ন করে গড়ে তুলতে হয় তা তিনি ভালো করেই যানেন।
যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা আসাদুজ্জামান বলেন, রাজধানীতে চলা ক্যাসিনো থেকে সকল দলের নেতাই ভাগ বসাতেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো- তাহলে যুবলীগ কেনো হঠাৎ করে আলোচনায় আসলো? বিষয়টা সত্যিই রহস্যের। তিনি বলেন, যারা এতদিন টাকা খেয়ে নেশায় বুদ ছিলেন, মূলত সেই চক্রের দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সামনে নিয়ে আসা হলো যুবলীগকে। প্রধানমন্ত্রীর শুদ্ধি অভিযান নতুন বিষয় নয়, উল্লেখ করে তিনি বলেন এরই ধারাবাহিকতায় যুবলীগেরও পথ চলা। কিন্তু যুবলীগের শুদ্ধতায় পথ চলায় বাধা হয়ে দাঁড়ায় একটি পক্ষ। তারা প্রধানমন্ত্রীর নেক নজর থেকে যুবলীগকে সরিয়ে ফেলতে চায়-বলেই চলছে ধারাবহিক প্রচারণা।
সিলেট জেলা যুবলীগ নেতা মাসুম আহমদ একটি ছড়া কেটে বলেন, ‘ও ভাই কানা, আমার জানা, তুমি ছিলে কি ? ঘি যখন পাওনি খেতে, বলছো এখন ছি’। তিনি বলেন, ‘কেটে যাবে ঘণ ঘোর, রাত শেষে আসে ভোর’। যুবলীগ চক্রান্তের শিকার-এমন বিষয় নিশ্চিত করে তিনি বলেন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের বাড়ি ঘিরে রেখেছে র‌্যাব-এমন গুজব ছড়ানো শেষ না হতেই সিলেটে আমাদের মহানগর সভাপতি আলম খান মুক্তির নিকট কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের নাম দিয়ে একটি ফেইক আইডি থেকে চাঁদা চাওয়া হয়। শুধু এখানেই শেষ নয়-চাঁদার জন্য একটি বিকাশ নাম্বার পাঠিয়ে দ্রুত টাকা প্রেরণের তাগিদও প্রদান করা হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সংগঠনের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমানের ব্যক্তিগত সেল ফোনে একাধিকবার ফোন করলেও মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় মন্তব্য আদায় করা সম্ভব হয়নি।

কাজী আনিস একজন দায়িত্বশীল কর্মী বান্ধব নেতা

কাজী আনিস একজন দায়িত্বশীল কর্মী বান্ধব নেতা


স্টাফ রিপোর্টার।।নেতা হওয়া চট্টিখানি কথা নয়। এর পেছনে থাকে ঘাম ঝড়ানো পরিশ্রম। থাকে কর্মীদের প্রতি নি:স্বার্থ ভালোবাসা। সেই পরিশ্রম এবং ভালোবাসা দিয়ে যিনি কর্মীবান্ধব নেতা-তিনি কাজি আনিসুর রহমান। বলা যায়-যুবলীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের হাড়ির খবরও যার নখদর্পনে,তিনিই কাজি আনিসুর রহমান। অবশ্য, একদিনেই তিনি এই স্থানটিতে উঠে আসেননি। এর জন্য ত্যাগ-তিতিক্ষা ছিল অবর্ণনীয়। মেধা আর কাজের সমন্বয় ঘটিয়ে মন জয় করে নেন সকলের। হয়ে উঠেন সংগঠনের মধ্যমনি।
যুবলীগের সাংগঠনিক কর্মসূচীর ফাইলপত্র, প্রচার বিভাগের যাবতীয় কাজ, কর্মীদের যাবতীয় তথ্য সংরক্ষণসহ তৃণমূল পর্যায়ে কর্মীদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করাই ছিল কাজি আনিসের সার্বক্ষণিক দায়িত্ব। মূলত এই কারণেই তৃণমুলে সংগঠনের ভিত হয়ে উঠে বেশ শক্তিশালী। ফলে সংগঠনের চেয়ারম্যান কাজপাগল ওমর ফারুক চৌধুরীর নেক নজরেও আসতে থাকেন তিনি। আর এভাবেই স্বীয় যোগ্যতা প্রদর্শনপূর্বক তিনি স্থান পান যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে। বর্তমানে যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক তিনি।
রাতদিন দাপ্তরিক কাজ নিয়ে ব্যস্থ থাকা কাজি আনিস নিজ পরিবারে সময় দিতে না পারলেও সংগঠনকেই নিজের পরিবার মনে করতেন-এমন কথা যুবলীগ কর্মীদের মুখে মুখে। কাজী আনিসুরের এইসকল গুনই একটা সময়ে কাল হয়ে দাঁড়ায়। ফলে একটি চক্র কাজী আনিস এবং যুবলীগ ঘায়েলের ষড়যন্ত্রে মেতে উঠে। বিশেষ করে সারাদেশে যুবলীগ যখন কাউন্সিলদের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে সম্মেলন করে আসছে-সেই সময়ই থেকেই শুরু হয় ঐ চক্রের নানমুখী তৎপরতা। এমনকি খোদ প্রধানমন্ত্রী যখন বিভিন্ন সভাসমাবেশ এবং দলীয় সভায় যুবলীগকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন, তখন থেকেই গাত্রদাহ শুরু হয় ঐ চক্রের।
এ ব্যাপারে রাজশাহী জেলা যুবলীগ নেতা শাহ জামাল জানিয়েছে- সারাদেশে যুবলীগকে চাঙ্গা করতে চেয়ারম্যান-সম্পাদকের পরেই দপ্তর সম্পাদক আনিসুর রহমান কাজ করে গেছেন। যেখানেই যা প্রয়োজন, আনিসুর রহমান তা করে যাচ্ছেন। সারা দেশে যুবলীগকে এগিয়ে নিতে তাঁর চেষ্টার কোন কমতি নেই। নেতাকর্মীদের মধে ঐক্য গড়া, তাদের কে সাংগঠনিকভাবে পাকাপুক্ত করতে তিনি তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছেন।

সুনামগঞ্জ জেলা যুবলীগ নেতা পাভেল আহমদ জানিয়েছেন- সুনামগঞ্জের পদবীধারী নেতা থেকে তৃণমূলের কর্মী পর্যন্ত আনিসুর রহমানের সাথে রয়েছে গভীর সম্পর্ক। কর্মীদের কিভাবে যোগ্যতাসম্পন্ন করে গড়ে তুলতে হয় তা তিনি ভালো করেই যানেন।
যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা আসাদুজ্জামান বলেন, রাজধানীতে চলা ক্যাসিনো থেকে সকল দলের নেতাই ভাগ বসাতেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো- তাহলে যুবলীগ কেনো হঠাৎ করে আলোচনায় আসলো? বিষয়টা সত্যিই রহস্যের। তিনি বলেন, যারা এতদিন টাকা খেয়ে নেশায় বুদ ছিলেন, মূলত সেই চক্রের দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সামনে নিয়ে আসা হলো যুবলীগকে। প্রধানমন্ত্রীর শুদ্ধি অভিযান নতুন বিষয় নয়, উল্লেখ করে তিনি বলেন এরই ধারাবাহিকতায় যুবলীগেরও পথ চলা। কিন্তু যুবলীগের শুদ্ধতায় পথ চলায় বাধা হয়ে দাঁড়ায় একটি পক্ষ। তারা প্রধানমন্ত্রীর নেক নজর থেকে যুবলীগকে সরিয়ে ফেলতে চায়-বলেই চলছে ধারাবহিক প্রচারণা।
সিলেট জেলা যুবলীগ নেতা মাসুম আহমদ একটি ছড়া কেটে বলেন, ‘ও ভাই কানা, আমার জানা, তুমি ছিলে কি ? ঘি যখন পাওনি খেতে, বলছো এখন ছি’। তিনি বলেন, ‘কেটে যাবে ঘণ ঘোর, রাত শেষে আসে ভোর’। যুবলীগ চক্রান্তের শিকার-এমন বিষয় নিশ্চিত করে তিনি বলেন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের বাড়ি ঘিরে রেখেছে র‌্যাব-এমন গুজব ছড়ানো শেষ না হতেই সিলেটে আমাদের মহানগর সভাপতি আলম খান মুক্তির নিকট কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের নাম দিয়ে একটি ফেইক আইডি থেকে চাঁদা চাওয়া হয়। শুধু এখানেই শেষ নয়-চাঁদার জন্য একটি বিকাশ নাম্বার পাঠিয়ে দ্রুত টাকা প্রেরণের তাগিদও প্রদান করা হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সংগঠনের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমানের ব্যক্তিগত সেল ফোনে একাধিকবার ফোন করলেও মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় মন্তব্য আদায় করা সম্ভব হয়নি।

গাজীপুর সদর উপজেলার পিরুজালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ভাংচুর

গাজীপুর সদর উপজেলার  পিরুজালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ভাংচুর
 
স্টাফ রিপোর্টারঃগাজীপুর সদর উপজেলার পিরুজালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন বন্ধের জন্য উক্ত বিদ্যালয়ে হামলা চালিয়ে বহিরাগত সন্রাসী আজ দুপুরে বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের অফিস রুম ভাংচুর ও প্রধান শিক্ষককে হত্যার হুমকি প্রধান করেছে বলে জানা গেছে
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবু সুবোধ চন্দ্র দাস জানান আমার বিদ্যালয়ে আগামী ১৫ তারিখ ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনের দিন নিরধারন করা হয়েছে  উক্ত নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল আজ তারিই ধারাবাহিকতায় আজ দুপুরে রাজেন্দ্র পুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক নজরুল ইসলাম বি এস সি,  আওয়ামীলীগ নেতা বানাজ উদ্দিন, যুবদল নেতা রাশেল শিকদার, যুবলীগ নেতা খোরশেদ, মজিবুর রহমান শিকদার, ও রুবেল সহ ৩০/৪০ জন বহিরাগত লোক নিয়ে সন্রাসী কায়দায় আমার অফিসে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে উক্ত ভাংচুর কাজে বাধা প্রদান করতে গেলে উল্লেখিত লোকজনেরা আমাকে হত্যার হুমকি প্রদান করে
এবং বলতে থাকে এই বি্দ্যালয়ে কোন নির্বাচন হবেনা নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া হোক  তা না হলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে
এদিকে এক শিক্ষক জানান গাজীপুর ৩ আসনের সাবেক এমপি এ্যাডভোকেট রহমত আলী  সাহেব বিদ্যালয়ে একটি ভবন দেন উক্ত ভবনের কাজ চলছিল উল্লেখিত লোকজনের লেলিয়ে দেওয়া সন্রাসী বাহিনীরা আজ সব কাজ বন্ধ করে দিয়ে চলে যায়
উক্ত ঘটনার পর উক্ত এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে যে কোন সময় বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা বিরাজ করছে  বিষয়টির প্রতি গাজীপুর জেলা প্রশাসনের নজর দাবী করেছে এলাকাবাসী।
এদিকে উক্ত ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাংবাদিকদের জানান

যুবদল নেতা ক্ষমতার পরিবর্তনে আওয়ামীলীগ নেতা জি কে শামীম নগদ টাকা আগ্নেয়াস্ত্র ও মাদক সহ আটক

যুবদল নেতা ক্ষমতার পরিবর্তনে আওয়ামীলীগ নেতা জি কে শামীম নগদ টাকা আগ্নেয়াস্ত্র ও মাদক সহ আটক

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর নিকেতনে নিজ ব্যবসায়িক কার্যালয় ‘জি কে বিল্ডার্সে’ অভিযান চালিয়ে নামধারী যুবলীগ নেতা জি কে শামীমকে আটক করেছে র‌্যাব। এ সময় সেখান থেকে নগদ প্রায় ১০ কোটি টাকাসহ ২০০ কোটি টাকার এফডিআর ডকুমেন্টসহ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্রসহ বিদেশি মদও জব্দ করা হয়।

শামীমের সঙ্গে থাকা তার ৬ জন দেহরক্ষীকেও আগ্নেয়াস্ত্রসহ আটক করা হয়েছে।
জি কে শামীম যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক বলে লোকমুখে শোনা গেলেও যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর দাবি, শামীম যুবলীগের কেউ নয়। তিনি বলেন, (শামীমের) সঙ্গে যুবলীগের কোনো সম্পর্ক নেই।

বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকাকালে শামীম ছিলেন ঢাকা মহানগর যুবদলের সহসম্পাদক এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রভাবশালী নেতা ও সাবেক গণপূর্ত মন্ত্রী মির্জা আব্বাসের খুবই ঘনিষ্ঠ ক্যাডার। সেই জি কে শামীম এখন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।
জি কে শামীম রাজধানীর সবুজবাগ, বাসাবো, মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রভাবশালী ঠিকাদার হিসেবেই পরিচিত। গণপূর্ত ভবনের বেশির ভাগ ঠিকাদারি কাজই জি কে শামীম নিয়ন্ত্রণ করেন। বিএনপি-জামায়াত শাসনামলেও গণপূর্তে এই শামীমই ছিলেন ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণকারী ব্যক্তি।
একসময়ের যুবদল নেতা ক্ষমতার পরিবর্তনে হয়ে যান নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের প্রস্থাবিত সহ-
 সভাপতি জি কে শামীম।

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার সন্মানদী ইউনিয়নের দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত মো. আফসার উদ্দিন মাস্টারের ছেলে তিনি। আফসার উদ্দিন মাস্টার ছিলেন হরিহরদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তিন ছেলের মধ্যে জি কে শামীম মেজো।

বিএনপি-জামায়াত-শিবির ছেড়ে আওয়ামীলীগে আসা হাইব্রিডরা টাকা দিয়ে কমিটি কিনে এনে প্রকৃত আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের নির্যাতন-নিপীড়ন চালাচ্ছে। এতে প্রকৃত আওয়ামীলীগ নেতারা যাতাকলে পড়ে ক্ষোভে নীরব ভুমিকা পালন করছে।এমনটাই বললেন ছাত্রলীগ নেতা খন্দকার রনি , সুজুন, মেহেদী, হাসনাত,শুভ, জাহিদ ও শামিম ।

এবং অনুপ্রবেশ কারী, হাইব্রিড নেতাদের হাত ধরে সাথে যারা থাকে তাদেরও বেবস্থা নেয়া উচিৎ।
এখনও সময় আছে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে দলের ত্যাগি নেতাকর্মীদের বঞ্চিত করে বিএনপি-জামাত-শিবির থেকে আসা হাইব্রিডদের পদ দিয়ে কমিটি দেয়া বন্ধ করতে হবে

বাংলাদেশের গন্তব্য কোথায় হবে এবং কোন ধরনের বাংলাদেশ হবে সেটির পূর্ণাঙ্গ চিত্রটি ২০১৯ সালেই পরিষ্কার হয়ে যাবে। সঙ্গে সঙ্গে বিএনপি-আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে অনুপ্রবেশকারী, হাইব্রিড ও সেলফিবাজদের ভূমিকা কী হবে না হবে সেটিও স্পষ্ট হয়ে উঠবে।

টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজির সুনির্দিষ্ট অভিযোগে তাকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

ময়মনসিংহে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মাদক ব্যবসায়ী রুবেল মিয়া নিহত

ময়মনসিংহে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মাদক ব্যবসায়ী রুবেল মিয়া নিহত

জাহিদ হাসান জিহাদঃ ময়মনসিংহের ভালুকায় পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ রুবেল মিয়া নামে একজন নিহত হয়। শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার হবিরবাড়ি-জামিরদিয়া সড়কের তারা মিয়ার বাড়ির পাশে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশের দাবি, নিহত রুবেল মিয়া (৩১) মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে মাদকের পাঁচটিসহ মোট ৭টি মামলা রয়েছে।

নিহত রুবেল মিয়া উপজেলার জমিরদিয়া গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে।
ডিবি ওসি শাহ কামাল আকন্দ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাত সোয়া ২টার দিকে ভালুকা উপজেলার দক্ষিণ হবিরবাডীর পাকা রাস্তার পশ্চিম পাশে একটি সংঘবদ্ধ দল মাদক ক্রয়-
 বিক্রয় করার সময় ডিবির দুটি টিম সেখানে অভিযানে যায়।

পুলিশের উপস্থিতি টের মপেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়লে পুলিশও আত্মরক্ষার্থে ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এক পর্যায়ে মাদক ব্যবসায়ীরা গুলি করতে করতে পালিয়ে যায়।
এসময় তাদের গুলিতে এক পুলিশ সদস্য আহত হয়। এরপর ঘটনাস্থলে রুবেলকে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ভালুকা থানা পুলিশের সহায়তায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক রুবেলকে মৃত ঘেষণা করেন।

রুবেলের কাছে থেকে ২০০পিস ইয়াবা এবং ১০০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয় বলে জানান তিনি।

সোনারগাঁওয়ে পিরোজপুর ইউনিয়নে র‌্যাবের অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

সোনারগাঁওয়ে পিরোজপুর ইউনিয়নে র‌্যাবের অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
হাসান খানঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে এক মাদক কারবারিকে আটক করেছে র‌্যাব-১১। ১৩ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) রাত আড়াইটায় র‌্যাবের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে আবু কাইয়ুম (৩৩) নাম মাদক ব্যবসায়ীকে ৭৩০পিছ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার করে।
র‌্যাব-১১,স্কোয়াড কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের ঝাউচর গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে মহিউদ্দিনের ছেলে কাইয়ুমকে ৭৩০পিছ ইয়াবাসহ গ্রেফতার করেছে র‌্যাবের সদস্যরা।
কাউয়ুমের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে কাভার্ডভ্যানসহ চোরাই সেগুন কাঠ উদ্ধার

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে কাভার্ডভ্যানসহ চোরাই সেগুন কাঠ উদ্ধার

হাসান খানঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে কাভার্ডভ্যানসহ প্রায় দশ লাখ টাকার চোরাই কাঠ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ ভোরে ঢাকাস্থ কাজী পাড়া হতে কাঠ উদ্ধার করে সোনারগাঁয়ের চেক স্টেশনে সরকারি হেফাজতে রাখা হয়েছে।

সোনারগাঁ উপজেলার স্টেশন অফিসার (ফরেস্ট রেঞ্জার) জহুরল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সামাজিক বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা ড. মো. জাহিদুর রহমান মিয়ার নির্দেশে সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান ও সোনারগাঁ চেক স্টেশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের অভিযানে মিরপুর কাজীপাড়া থেকে একটি কাভার্ডভ্যান (চট্ট মেট্রো-ট ১১-৮৭৬৪) সহ প্রায় সাড়ে চারশ ঘনফুট সেগুন কাঠ উদ্ধার হয়। এ সময় গাড়ির ড্রাইভার ও চোরাই কাজে জড়িত কাউকে পাওয়া যায়নি।

উদ্ধার করা কাঠ জব্দ করে সোনারগাঁয়ের চেক স্টেশনে সরকারি হেফাজতে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় বন আইনে বিভাগীয়ভাবে মামলা করা হবে বলে জানান ফরেস্ট রেঞ্জার জহুরল ইসলাম।

গাজীপুর মহানগরের বাইমাইল এলাকার ফজলু অপহরন মামলার আসামী কথিত যুবলীগ নেতা দিপু গ্রেফতার

গাজীপুর মহানগরের বাইমাইল এলাকার ফজলু অপহরন মামলার আসামী কথিত যুবলীগ নেতা দিপু গ্রেফতার

জাহিদ হাসান জিহাদঃ  গাজীপুরে আলোচিত ফজলু অপহরন ও নিখোজ হওয়ার দেড় বছর পর এই  মামলার এজাহার নামীয় ১ নং আসামি কথিত যুবলীগ নেতা শাহিনুর রহমান দিপু (২৯)কে গাজীপুর সি আই ডি পুলিশ গ্রেফতার করেছে। গাজীপুর সি আই ডি পুলিশের এস আই আজাদ গোপন সংবাদের ভিওিতে খবর পেয়ে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের গেটের সামনে থেকে দিপুকে গ্রেফতার করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস এই আজাদ জানান, গ্রেফতারকৃত শাহিনুর রহমান দিপু এই মামলার এজাহার নামীয় আসামী এবং সে  সোমবার  গাজীপুর আদালতে ১৬৪ ধারায়  স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছে। উল্লেখ্য গত ২৪ মে ২০১৮ইং রাত থেকে নিখোঁজ। ফজলুর মা অজুফা বেগম ২৮মে ২০১৮ইং এ বিষয়ে জয়দেবপুর থানায় সাধারণ ডায়রি (নং ২০৫৬) করেন। এরপরও ফজলু উদ্ধার না হওয়ায় তার মা অজুফা বেগম বাদী হয়ে গত ১২জুন ২০১৮ইং গাজীপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গুম-খুনের অভিযোগে সিআর মামলাটি (নং ১৮) দায়ের করেন। তবে পুলিশ ফজলুকে এ পর্যন্ত উদ্ধার করতে পারেনি। এ বিষয়ে তৎকালীন কোনাবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোবারক হোসেন বলেছিলেন ফজলু একটি অপহরণ মামলার আসামী এবং ঐ মামলায় ২ জন আসামি মোটরসাইকেল সহ গ্রেফতার হয়, মোটরসাইকেল টি ছিল দিপুর। ২৮মে নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে সাধারণ ডায়রি করার আগে থেকেই সে পলাতক রয়েছে। এর মাসখানেক আগে গত ২৭ এপ্রিল অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে জয়দেবপুর থানায় দায়ের হওয়া একটি মামলার (নং ১৪৩) ৩নং আসামী ফজলু। তাই সে গা ঢাকা দিয়েছে। তখন থেকেই তাকে গ্রেফতারের জন্য খুঁজছে পুলিশ। মামলার এজাহারে বাদী অভিযোগ করেন, ফজলু মিয়া গত ৩ বছর ধরে ১নং আসামী শাহিনুর ইসলাম দিপুর ইন্টারনেট ব্যবসার কর্মচারী হিসেবে কাজ করে। ইন্টারনেট ব্যবসার আড়ালে দিপু বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম সহ মাদক ব্যবসা ফজলুকে দিয়ে করাতো। ফজলুর সাথে উঠতি বয়সের কিছু উশৃঙ্খল ছেলে চলাফেরা করতো। তাদেরকে নিয়ে চুরি ছিনতাই সহ বিভিন্ন অপকর্ম করতো এবং মাদকের ব্যবসা করতো। অল্প দিনেই দিপুর নেতৃত্বে এলাকায় ফজলু গ্যাং নামে আলোচনায় আসে।
 ফজলু বাইমাইল এলাকায় জনৈক কামরুজ্জামানের ভাড়া বাসায় স্ত্রীকে নিয়ে বাস করে। দিপুর পিতা শফিকুল ইসলাম শফি মামলার ৪নং আসামী। ফজলুকে দিপু মুঠোফোনে গত ২৪ মে রাতে ভাড়াবাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকে ফজলু নিখোঁজ রয়েছে। ফজলু নিখোঁজ হওয়ার কয়েক দিন পূর্বে দিপুর সাথে ফজলুর বিভিন্ন বিষয়ে কথা কাটাকাটি হয়। ফজলুর বিষয়ে কিছু জিজ্ঞেস করলে আসামীরা বাদী ও স্বাক্ষীদের হুমকী দেয়। বলে, ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিলে ফজলুকে জীবিত ফেরত দিবে। এদিকে বাবা কথিত আওয়ামীলীগ নেতা, ছেলে যুবলীগের খাতায় রাতারাতি নাম লিখিয়ে এমন কোন অপরাধ নাই যে করে না, অপরদিকে দিপুর আপন বড় ভাই জিকু স্থানীয় বিএনপি রাজনীতির সাথে জড়িত। বেশ কিছুদিন আগে দিপুর বড় ভাই জিকু একটি ফেন্সিডিলের চালান সহ কুমিল্লার চান্দিনা পুলিশের হাতে আটক হয়। বর্তমান জিকু মাদক মামলায় জামিনে রয়েছে। জিকূও এই মামলার আসামি।

সোনারগাঁয়ে ভুল চিকিৎসায় গর্ভবতীর মৃত্যু, ক্লিনিক ভাংচুর

সোনারগাঁয়ে ভুল চিকিৎসায় গর্ভবতীর মৃত্যু, ক্লিনিক ভাংচুর

হাসান খানঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের ভুল চিকিৎসায় আমান্তিকা নামের এক গর্ভবতীর মৃত্যুর ঘটনায় সোনারগাঁ জেনারেল হাসপাতাল (ক্লিনিক) ভাংচুর করেছে বিক্ষুব্ধ স্বজনরা।

৯ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় সোনারগাঁ জেনারেল হাসপাতাল নামের একটি ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে।আমান্তিকার স্বজনরা ক্লিনিকের গ্লাস, দরজা জানালাসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করে।ঘটনার পর ওই ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ পালিয়ে যায়।

খবর পেয়ে সোনারগাঁ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষুদ্ধ স্বজনদের বিচারের আশ্বাসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।নিহত আমান্তিকার স্বামী মোঃ পিন্টু মিয়া বাদীতে সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়েরর প্রস্তুতি চলছে। সোনারগাঁ জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে কাউকে পাওয়া যায়নি।

জানা যায়, উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের বড় সাদিপুর গ্রামের পিন্টু মিয়ার স্ত্রী আমান্তিকা গর্ভবতী হলে নিয়মিত চিকিৎসার জন্য শুক্রবার বিকেলে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় সোনারগাঁ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।
সোনারগাঁ জেনারেল ক্লিনিকের চিকিৎসক ডা. নূরজাহান বেগম ওইদিন রোগীকে সিজার করার পরামর্শ দেন এবং নিজেই বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তার সিজার করেন।

এসময় আমান্তিকার একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। তারাহুড়া করে সিজারের পর ওই রোগীর পেটে গজ কাপড় (ব্যান্ডেজ) রেখেই ডা. নূরজাহান কাটা স্থান সেলাই করে দেয়। সিজারের পর আমান্তিকা অবিরত বমি ও পেটে অস্বস্থি হয়ে পেট ফুলে যায়। পুনরায় ডাক্তারের কাছে নিয়ে আসলে সে নারায়ণগঞ্জ কেয়ার হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেয়। ডাক্তার নূরজাহান কেয়ার হাসপাতালে গিয়ে পুনরায় ওই রোগীর সিজার করিয়ে জরায়ু কেটে ফেলেন।

রোগীর অবস্থার অবনতি হলে কেয়ার হাসপাতাল থেকে তাকে ঢাকার গেন্ডারিয়া আজগর আলী হাসপাতালে প্রেরণ করে পরে সোমবার ভোরে সে মারা যায়।

এঘটনায় রোগীর স্বজনরা বিক্ষুদ্ধ হয়ে দুপুরে সোনারগাঁ জেনারেল হাসপাতালে এসে ক্লিনিকের গ্লাস ও দরজা জানালাসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করে।
আমান্তিকার মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পালিয়ে যায়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নিহত আমান্তিকার লাশ একটি এম্বুলেন্সে করে নিয়ে আসে সোনারগাঁ জেনারেল হাসপাতালের সামনে। এসময় রোগীর বিক্ষুদ্ধ স্বজনরা ক্লিনিকে গিয়ে হাসপাতালের গ্লাস ও দরজা জানালাসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করে।
নিহত আমান্তিকার স্বামী মোঃ পিন্টু মিয়া জানান, বন্দর উপজেলার কল্যাণদী গ্রামের সোহেল মিয়ার মেয়ে আমান্তিকার সাথে ২০১৮ সালের ৩রা আগষ্ট তার বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছরের মাথায় ডাক্তারের ভূল চিকিৎসার জন্য তার স্ত্রীকে হারাতে হয়েছে। তিনদিনের মাথায় তার কন্যা সন্তান এতিম হয়েছে। এ হত্যাকান্ডের বিচার দাবী করে দোষী ডাক্তারকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দাবী করেন তিনি।

নিহতের বাবা সোহেল মিয়া জানান, শুক্রবার আমার মেয়েকে সোনারগাঁ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসার পর ডাক্তার সিজার করার পরামর্শ দেন। জরুরি সিজার না করলে মা ও পেটের সন্তান মারা যাবে বলে জানিয়েছেন। ডাক্তারের কথা অনুযায়ী আমরা সিজারের সিদ্ধান্ত নেই। ওইদিন ডাক্তার নূরজাহান আরো ৪টি সিজার করেছেন,পাশাপাশি রোগীর দীর্ঘ লাইন। ডাক্তার তাড়াহুড়া করে সিজারের পর পেটে গজ কাপড় রেখে সেলাই করায় আমার মেয়ের মৃত্যু হয়। আমি আমার মেয়ের হত্যাকারীকে গ্রেফতার করে বিচার দাবী করছি।

সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতাল ভাংচুর হয়েছে। বিক্ষুদ্ধ স্বজনদের পুলিশ বিচারের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

সোনারগাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ফুটপাত দখল বাণিজ্য

সোনারগাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ফুটপাত দখল বাণিজ্য
হাসান খানঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ৬২ নং বৈদ্যের বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ফুটপাত দখল ,ফুটপাতে হাঁটার জায়গা সহ মূল রাস্তার প্রায়  অর্ধেক দখল করে নিয়েছে ফল ,কাঁচামাল চা ও মুদি দোকানীরা। ফলে ফুটপাতে পা ফেলার জায়গা নেই। এতে ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার হচ্ছে শিশু শিক্ষার্থীরা অন্যদিকে যানজটে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ পথচারীরা।
প্রতিদিন স্কুল-কলেজের হাজার হাজার শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক রাস্তার ফুটপাত ধরে চলাচল করে থাকে। সকাল হলেই মূলত এই সড়কে ও ফুটপাতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আনাগোনা শুনা য়ায়। তিল পরিমাণ জায়গা থাকে না। এরই মধ্যে ফুটপাত ও রাস্তা দখল করে হকাররা বিভিন্ন ধরনের পসরা ও মালামাল নিয়ে বসায় স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বিরক্তি চরমে পৌঁছে। বাধ্য হয়েই শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ঝুঁকি নিয়ে ব্যস্ত সড়ক দিয়ে চলাচল করতে হয়। ফুটপাত দখলের ফলে নিরুপায় হয়ে প্রতিদিন অভিভাবকরা তাদের স্কুল পড়ুয়া বাচ্চাসহ ঝুঁকি নিয়ে এভাবে চলাচল করছেন। কোনো কোনো সময় দুর্ঘটনার ঘটনাও ঘটছে।

সরেজমিনে দেখা যায় শুধু ফুটপাত নয় হকাররা রাস্তাও দখল করে পসরা সাজিয়ে বসেন। স্কুলের মূল ফটকের একেবারে সামনে হকারদের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও আপামর জনসাধারণ। ফুটপাত যেন থেকেও নেই। দেখে বোঝার কোনো উপায় নেই যে ব্যস্ততম এই ছোট এলাকায় জনসাধারণের জন্য ফুটপাত আছে! কেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একেবারে সামনে ও পাশঘেঁষে ফুটপাত দিনের পর দিন দখল হয়ে থাকবে,
অনুসন্ধানে দেখা যায়, সোনারগাঁ উপজেলা সংলগ্ন কুশিয়ারা ব্রিজ পার হয়ে আনন্দ বাজার ও বৈদ্যের বাজারের ইউটান থেকে বৈদ্যের বাজার রাস্তায় ফুটপাতের পুরো সীমানা জুড়ে ছোট ছোট দোকান বসিয়েছে। ফুটপাত দখল হয়ে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন কর্মব্যস্ত মানুষ, শিক্ষার্থী, নারী ও শিশুরা।
বিদ্যালয়ের দেয়াল ঘেষা ফুটপাত দখল হয়ে যাওয়ায়, শিশুদের সুন্দর পরিবেশে শিক্ষাদান করতে পারছেন না বলে জানান বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ । পারছেন না শিক্ষামূলক দেয়াল চিত্র একে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়মুখী করার উৎসাহ দিতে।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানান, সোনারগাঁয়ের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দেয়ালগুলো শোবা বর্ধন করলেও আমাদের বিদ্যালয়ের পরিবেশ ভিন্ন। স্থানীয় প্রভাবশালীদের ভয়ে আমরা কিছু বলতে পারছি না।
যেখানে স্কুলের হাজার হাজার কোমলমতি শিশুর আসা-যাওয়ার প্রশ্ন জড়িত সেখানকার ফুটপাত কি দখলমুক্ত করা যায় না? এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের নির্বিঘ্নে চলাফেরার জন্য ও জনসাধারণের দুর্ভোগ লাঘবে ফুটপাত দখলমুক্ত করা হোক।

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে লাফার্জ হোলসিম সিমেন্টের নিজস্ব জেটিতে জাহাজডুবি

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে লাফার্জ হোলসিম সিমেন্টের নিজস্ব জেটিতে জাহাজডুবি

হাসান খানঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মেঘনা নদীর তীরে অবস্থিত লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ এর নিজস্ব জেটিতে একটি পণ্যবাহী জাহাজডুবির খবর পাওয়া গেছে। এমভি মরিয়ম জুসি-২ জাহাজটি ৭৭৫ মেট্টিকটন ফ্লইঅ্যাস সহ গত ৩০ আগস্ট শুক্রবার দুপুরে কম্পানির নিজস্ব জেটিতে তলিয়ে যায়।

জাহাজের মাস্টার সায়েব আলী জানান, ১৯ আগষ্ট ভারতের হলদিয়া বন্দর থেকে ৭৭৫ মেট্টিকটন ফ্লাইএ্যাশ বোঝাই করে জাহাজটি ৩০ আগস্ট মেঘনায় পৌছায়। জাহাজটি মতলব উপজেলার মোহনপুরের কোন এক ডুবোচরে আঘাত পায়। পরে সকাল বেলা জাহাজ ছিদ্র হয়ে পানি উঠতে দেখা যায়। বিষয়টি সাথে সাথে জাহাজের মালিক শেখ ব্রাদার্সের জসীম সাহেব এবং লাফার্জ হোলসিম কোম্পানীর লজিষ্টিক শামিম সাহেবকে জানাই। লজিস্টিক বিভাগ থেকে নিশ্চিত করা হয়, জাহাজটি জেটিতে পৌছাতে পারলে দ্রুত মাল আনলোড করা হবে। কিন্তু জাহাজটি জেটিতে পৌছানোর প্রায় আড়াই ঘন্টা পর ডুবে যায়।

তিনি বলেন, এতে আমাদের বড়রকম ক্ষতি হয়েছে। জাহাজে থাকা খাদ্য দ্রব্য, নাবিকদের মোবাইল সহ কোন কিছুই উদ্ধার করতে পারি নাই।

এ ব্যাপারে লাফার্জ হোলসিম এর শ্রমিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি হাজী মাইনউদ্দিন জানান, এ জাহাজের পূর্বে দুটি জাহাজ আনলোড করছিল। তাই আমরা এটি আনলোড করতে পারি নাই।

লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ জানায়, গত শুক্রবার সকালে মেঘনাঘাটে ফ্লাইঅ্যাশ বহনকারী এমভি মরিয়ম জুসি-২ পৌঁছায়। তখন সেই জাহাজে পানি উঠছিল। মাস্টারের ভাষ্যমতে, আগের দিন জাহাজটি ডুবোচরে আঘাত পেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং সকালে সে জাহাজে পানি উঠতে দেখে। এভাবেই সে জাহাজটিকে মেঘনা ঘাটে লাফার্জ হোলসিম সিমেন্টের নিজস্ব জেটিতে নিয়ে আসি। লজিস্টিক বিভাগ থেকে নিশ্চিত করার পরও মালামাল সরিয়ে নেয়ার কোন চেষ্টা করা হয়নি। এতে প্রায় ১৭ লাখ টাকা মূল্যের ফ্লাই অ্যাশ ছিল।

জাহাজটি উদ্ধারের ব্যাপারে জাহাজের নাবিক সায়েদ আলী জানান, এ ব্যাপারে কয়েকটি উদ্ধারকারী কোম্পানির সাথে কথা হচ্ছে। চুক্তিপত্র সম্পন্ন হলে উদ্ধার কার্যক্রম চলবে।

সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, এ ব্যাপারে আমাদের কেউ কিছু জানায়নি।

সোনারগাঁ মেঘনায় ট্রাকের পিছনে বাসের ধাক্কায় আহত ২০

সোনারগাঁ মেঘনায় ট্রাকের পিছনে বাসের ধাক্কায় আহত ২০


নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁ মেঘনায় হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সামনে ট্রাকের পিছনে বাসের ধাক্কায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।

শনিবার  দুপরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পিরোজপুর ইউনিয়নের মেঘনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।আহত সবাই কুমিল্লা লাকসাম থেকে ঢাকা যাচ্ছিলেন।

বাসে থাকা যাত্রী সাওন,হানিফ,পারবিন সময়ের সোনারগাঁকে জানান
শনিবার সকালে কুমিল্লা লাকসাম থেকে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী বাস (ঢাকা মেট্রো-জ-১৪-২৬৬৪) রওনা করে। পথিমধ্যে দুপরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা এলাকায় ওভারটেকিং করার সময় বাসটি মালবাহী একটি ট্রাককে স্বজোরে ধাক্কা দেয়। এতে বাসের একপাশ দুমড়েমুচড়ে যায়।  সাথে সাথে  ড্রাইভার ও হেলপার পালিয়ে জায়, ঘটনাস্থলে আহত হয় অন্তত ২০ যাত্রী  ।


খবর পেয়ে আশেপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার শেষে স্থানীয় ক্লিনিক ও হাসপাতালে পাঠায়।

সোনারগাঁয়ে রহস্যজনক ইমামকে খুন করা হয় স্বর্ণের বারের ব্যবসার টাকা ফেরত চাওয়ায়

সোনারগাঁয়ে রহস্যজনক ইমামকে খুন করা হয় স্বর্ণের বারের ব্যবসার টাকা ফেরত চাওয়ায়

হাছান খানঃ সোনারগাঁয়ে ইমাম দিদারুল খুনের ঘটনায় বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ক্লু-লেস এই হত্যাকান্ডের পুরোটাই ছিল সুপরিকল্পিত। ইতিমধ্যে পুলিশসহ একাধিক সূত্রে জানা গেছে, দিদারুল হত্যার নেপথ্যে ছিল তারই একজন বন্ধু। ওই বন্ধু অর্থ সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরেই নির্মমভাবে হত্যা করেছে ইমাম বন্ধুকে।
গত ২২ আগস্ট সোনারগাঁ মল্লিকপাড়া গ্রামের নারায়ণদিয়া বায়তুল জালাল জামে মসজিদের ইমাম দিদারুল ইসলামকে গলা কেটে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। নিহত দিদারুল খুলনার তেরখাদা থানার রাজাপুর এলাকার আফতাব ফরাজির ছেলে। এর আগে গত ২৬ জুলাই তিনি মল্লিকপাড়া গ্রামের ওই মসজিদটিতে ইমাম হিসেবে নিয়োগ পান।
হত্যাকান্ডের পর জেলা পুলিশ সুপারের (এসপি) নির্দেশে ক্লু-লেস এ মামলার তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে ইতোমধ্যে আসামিকে শনাক্ত করে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দিবাগত রাতে মাদারীপুরের শিবচর থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতাকৃতের নাম ওহিদুর রহমান (৩১)। সে খুলনার নড়াইলের কলাবাড়ীয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক (টুকু) শেখের ছেলে। ওহিদুর রহমান নিজেও মাদারীপুরের শিবচরের স্থানীয় একটি মসজিদে ইমামতি করতো।
সূত্রমতে, দিদারুলের সঙ্গে বিভিন্ন ব্যবসা সংক্রান্ত ব্যাপারে আর্থিক লেনদেন হয় বন্ধু ওহিদুরের সাথে। স্বর্ণের বার বেচা-কেনার ব্যবসাও ছিল তাঁর। স্বর্ণের বারের ব্যবসা নিয়েই ইমাম ও তার বন্ধুর মধ্যে দ্বন্দ হয়। পরে ইমাম দিদারুল ব্যবসা থেকে সরে আসতে এবং বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে দেওয়া টাকা ওহিদুরের কাছে ফেরত চায়। এতেই তাকে হত্যা করতে পরিকল্পনা সাজায় ওহিদুর।
পরিকল্পনা মতে, হত্যাকান্ডের আগের দিনও দিদারুলের সঙ্গে দেখা করে তার সঙ্গে চা খেয়ে হত্যার পরিকল্পনা সাজিয়ে যায় ঘাতক বন্ধু। পরে হত্যাকান্ডের দিন এশার নামাজের পর রাতের খাবার প্রস্তুত করার সময় দিদারুলকে কিছু নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশ্রিত খাবার খাওয়ানো হয়। এতেই দিদারুল অচেতন হয়ে পড়েন। তার সেই রাতের খাবারও হত্যাকান্ডের পর সেই অবস্থাতেই উদ্ধার করে পুলিশ।
দিদারুল অচেতন হয়ে পড়লে তাকে চাপাতি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে একটি চিরকুট লিখে ফেলে রেখে দরজায় তালা দিয়ে ঘাতক পালিয়ে যায়। এর আগে কুমিল্লায় হত্যাকারী ওহিদুর ও দিদারুল একইসঙ্গে পাশাপাশি মসজিদে ইমামতিও করেছেন। কিলিং মিশনে সেই বন্ধু একাই অংশ নেন বলেও একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। তবে এ হত্যাকান্ডে অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা তা জানতে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এদিকে আসামিকে সাথে নিয়ে ইমাম হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত সরঞ্জাম উদ্ধারে অভিযান চালিয়েছে সোনারগাঁ থানা পুলিশ।
এদিকে দিদারুলের পারিবারিক সূত্র জানায়, নিহত দিদারুল তার বন্ধুর সঙ্গে ব্যবসা করবে বলে বিনিয়োগের জন্য দুটি গবাদী পশু কিছুদিন আগে বিক্রি করে। এছাড়াও সব মিলিয়ে প্রায় তিন লাখ টাকার কাছাকাছি সে বিনিয়োগ করবে বলে পরিবারকে জানিয়েছিল।
জেলা পুলিশের একটি সূত্র জানায়, ওই টাকা থেকেই তার বন্ধুকে স্বর্ণের বারের ব্যবসায় বিনিয়োগের জন্য টাকা দেয় দিদারুল। পরে তাদের মধ্যে কোন কারণে দ্বন্দ হওয়ায় ব্যবসা থেকে সরে আসতে চায় এবং নিজের টাকাও ফেরত চায় দিদারুল। আর এতেই পরিকল্পনা করে তাকে হত্যা করা হয়।
হত্যাকান্ডের পর ফরিদপুরের দিকে গাঁ ঢাকা দেয় সে ওহিদুর। নিজের পরিচয়ও গোপন করে সে। পুলিশ তার সঠিক পরিচয় খুঁজে বের করে মাদারীপুর থেকে গ্রেফতার করে।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, মূল আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলাটির বিষয়ে এখনও তদন্ত চলছে। তদন্তের স্বার্থে বিস্তারিত জানানো যাচ্ছে না।
এদিকে এ হত্যাকান্ডের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে বুধবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করবেন জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ।

নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁয়ে মসজিদের ইমামকে গলা কেটে হত্যা

নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁয়ে মসজিদের ইমামকে গলা কেটে হত্যা


হাসান খানঃ নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের মল্লিকপাড়া এলাকার নারায়নদিয়া বায়তুল জালাল জামে মসজিদের ইমামকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২আগষ্ট) ভোরে রাতে মল্লিকপাড়া এলাকার নারায়নদিয়া বায়তুল জালাল জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ইমাম দিদারুল ইসলাম খুলনা জেলার তেরোখাদা এলাকার আফতাব ফরাজীর ছেলে।
 
পুলিশ ও এলাকাবাসীর সুত্রে জানা যায়, উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ছোট কাজীরগাঁও এলাকার মসজিদের ঈমামের রেফারেন্সে নারায়নদিয়া বায়তুল জালাল জামে মসজিদে আসেন তিনি। ঈদের পরদিন মঙ্গলবার ট্রেনিং এর কথা বলে বাইরে যায় পরে শুক্রবার জুমার নামাজ পড়ান তিনি । এরপর আবার ট্রেনিং এ চলে যান পরে আবার মঙ্গলবার আসরের নামাজ পড়ান তবে তিনি বেশিদিন হয়নি আমাদের মসজিদে এসেছেন। নারায়নদিয়া বায়তুল জালাল জামে মসজিদের ইমামকে কে বা কারা গলা কেটে হত্যা করে মসজিদের হুজরাখানায় ফেলে যায়।

এব্যাপারে সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, নারায়নদিয়া বায়তুল জালাল জামে মসজিদের ইমামের লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে । তবে কি কারনে কে বা কারা হত্যা করেছে তা এখনো জানা যায়নি তবে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

সোনারগাঁও মোঘল সম্রাট ঈশা খাঁ’র রাজধানী সামান্য বৃষ্টিতেই পাকা রাস্তায় জলাবদ্ধতা পর্যটকদের চরম ভোগান্তি

সোনারগাঁও মোঘল সম্রাট ঈশা খাঁ’র রাজধানী সামান্য বৃষ্টিতেই পাকা রাস্তায় জলাবদ্ধতা পর্যটকদের চরম ভোগান্তি
জসিম উদ্দিন {রাজিব}
নারায়ণগঞ্জ জেলার অন্তর্গত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মোগড়াপাড়া ক্রসিং থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার উত্তরে সোনারগাঁও অবস্থিত। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য়ের নান্দনিক ও নৈসর্গিক পরিবেশে ঘেরা বাংলার প্রাচীন রাজধানী সোনারগাঁও।
ধারণামতে বারো ভূঁইয়া প্রধান ঈশা খাঁ’র স্ত্রী সোনাবিবি’র নামানুসারে সোনারগাঁও নামকরণ করা হয়।
ঈশা খাঁ ও তাঁর বংশধরদের শাসনামলে সোনারগাঁও ছিল পূর্ববঙ্গের রাজধানী। সোনারগাঁও-এর আরেকটি নাম ছিল পানাম।
 
সোনারগাঁয়ে এই পর্যটন নগরী পানাম ও বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন সড়কের বিভিন্ন জায়গায় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কের বেহাল দশার কারনে ঐতিহ্যের শিকড় সন্ধানে আসা শতশত পর্যটক ও স্থানীয় এলাকাবাসীর চলাচলে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এ সড়কটি মেরামত করা হলেও কিছুদিনের মধ্যেই রাস্তায় গর্তের সৃষ্টি হয়। তাই এ সড়কটি পূণঃসংস্কারের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী।
 
বাংলাদশ সড়ক ও জনপদের (সওজ) তথ্য মতে, সোনারগা৭ও পৌরসভার চিলারবাগ থেকে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন পর্যন্ত সড়কটি সওজের অধীন। গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি দীর্ঘদিন যাবত সংস্কার না করায় চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়লে এলাকাবাসীর আন্দোলন ও বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প কর্তৃপক্ষের লিখিত আবেদনের পর ৫ মাস আগে সওজের প্রধান কার্যালয় থেকে অর্থ বরাদ্ধ দিয়ে সড়কটি দ্রুত মেরামত করার জন্য নারায়ণগঞ্জ সড়ক বিভাগকে নির্দেশ দেয়া হয়। পরে ওয়েষ্টার্ন কন্সট্রাকশন এন্ড শিপ বিল্ডার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দরপত্রের মাধ্যমে মেরামতের কার্যাদেশ পেয়ে অল্পকিছু জায়গায় নিম্নমানের ইট সুরকি দিয়ে কাজ সম্পন্ন করে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করনে।
 
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনে ঘুরতে আসা পর্যটক ও পৌরসভার কয়েকটি ওয়ার্ড, সনমান্দী, বৈদ্যের বাজার ও বারদীর লোকজনের চলাচলের একমাত্র সড়ক এটি। সামন্য বৃষ্টি হলেই হাটু সমান পানি জমে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত থাকায় ধীরগতিতে যানবাহন চলছে এতে ব্যস্ততম এ সড়কটিতে প্রতিদিন যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

স্থানীয় এলাকাবাসী মাসুদ,হানিফ,রবিন,মামুন ও শিপন হোসেন বলেন, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে পাঁচমাস আগে সড়কটি মেরামতের দুইমাস পরেই ভেঙ্গে যায়। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির পানি জমে সড়কে গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে।
 
এ ব্যপারে সোনারগাঁ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক রবিউল হোসাইন প্রতিদিনের কাগজ প্রতিনিধিকে বলেন, সোনারগাঁয়ের গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ অতিদ্রুত সংস্কার করা অতীব জরুরি। ১৩ জুলাই শুক্রবার বাংলাদেশে দেশে সফররত ওআইসির ৫০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন ও পানাম নগরী পরিদর্শন করতে এসে এ রাস্তার কারনে দূভোর্গে পড়েন। এ রাস্তাটির কারনে প্রতিদিন বিদেশী ও দেশী পর্যটকদের কাছে সোনারগাঁয়ের ঐতিহ্যগত ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে।
 
নারায়ণগঞ্জ সড়ক বিভাগের উপ সহকারী প্রকৌশলী মতিয়ার রহমান বলেন, সড়কটিতে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির পানি জমাট সৃষ্টি হচ্ছে। সড়কটি দ্রুত সংস্কার করতে উর্ধ্বতন কর্র্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।

সোনারগাঁয়ে ৮ম শ্রেণীর ছাত্রি মার্জিয়া ৩ দিন যাবত নিখোঁজ

সোনারগাঁয়ে ৮ম শ্রেণীর ছাত্রি মার্জিয়া ৩ দিন যাবত নিখোঁজ


জসিম উদ্দিনঃ সোনারগাঁ উপজেলায় ৩ দিন ধরে মার্জিয়া হোসেন নামের (১৩) বছরের স্কুল ছাত্রী নিখোঁজ রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শনিবার সকালে সে বাড়ী থেকে স্কুলে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে।

ডায়েরীতে মার্জিয়ার বাবা বাবুল হোসেন উল্লেখ করেন, গত শনিবার সকালে প্রাইভেট পড়তে যাবে বলে তার ৮ম শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়ে মার্জিয়া সোনারগাঁও পৌরসভার চিলারবাগ গ্রাম থেকে মোগরাপাড়া এইচ জি জি এস স্মৃতি বিদ্যায়তনের উদ্দেশ্যে সকাল ৭টার বাসা থেকে বের হয়ে যায়। দুপুরে বিদ্যালয় ছুটি হওয়ার পর বাড়ি ফিরে না আসায় তার বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন জায়গা ও স্বজনদের বাড়িতে খোঁজ নিয়ে তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় মার্জিয়ার বাবা শনিবার রাতেই একটি সাধারণ ডায়েরী করেন।(ডায়েরী নং- ১০০৪, ২১.০৭.১৯)।

যদি কোনো ব্যাক্তি নিখোঁজ স্কুলছাত্রীর সন্ধান পেয়ে থাকেন তাহলে সোনারগাঁও থানা পুলিশ বা তার পিতা বাবুল হোসেন ( ০১৮৬৪-৫০২৯৯২, ০১৮১৩-৬৪১০২৪) এ নাম্বারে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা  হচ্ছে। 

প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার সুমন

প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার সুমন

জসিম উদ্দিনঃ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন্য করার অপরাধে প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
এদেশের ৩০ লাখ শহীদের পবিত্র রক্তের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতাকারী প্রিয়া সাহা দেশের সাথে যে অন্যায় করেছেন এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চায় সর্বস্তরের জনগন।

বাংলাদেশ স্ম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে সারা বিশ্বের প্রকৃষ্ট উদাহরণ।

বাংলাদেশে মুসলিম,হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সকল ধর্মের মানুষ ভাই ভাই। একে অপরের আপনজন। প্রিয়া সাহা বাংলাদেশকে চরম আঘাত করেছে।

সোশ্যাল মিডিয়া থেকে জানা যায়, প্রিয়া সাহা মহিলা ঐক্য পরিষদ’র কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন, উনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ইউনিয়ন করতেন, রোকেয়া হলে থাকতেন। এখন একটি এনজিও আছে ওনার। বিভ্রান্তিমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য গতবছর তাকে মহিলা ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়, বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার নাটক করে প্রচুর বিদেশি ফান্ড কালেক্ট করেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি চরবানিরী, মাটিভাঙ্গা, নাজিরপুর, পিরোজপুর।

প্রিয়ার স্বামী মলয় সাহা সহকারী পরিচালক দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), তাদের দুই মেয়ে কয়েক বছর ধরে মলয় সাহার দুর্নীতির টাকায় আমেরিকায় বসবাস করছেন, কিছুদিন পূর্বে প্রিয়া সাহাকে দুদকের অফিসিয়াল গাড়ি ব্যবহার করে এয়ারপোর্টে পৌছে দেন তার স্বামী, দুদকের সহকারী পরিচালক মলয় সাহা। সকালে এয়ারপোর্ট পৌছে ফ্লাইট মিস করেন প্রিয়া, তারপর সেদিন রাতেই আরেকটি ফ্লাইটে তিনি আমেরিকায় রওনা হন, তার বিদায় মুহূর্তে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী আকবর কবিরের কন্যা তথাকথিত মানবাধিকার কর্মী খুশী কবির।

প্রিয়া সাহার এই দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের সঙ্গী হওয়ায় তার স্বামী মলয় সাহাকে অতিদ্রুত চাকুরি থেকে অব্যাহতি দিয়ে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হোক; ভুলে গেলে চলবে না তারা স্বামী-স্ত্রী মিলে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন্য করে অনেক বড় ক্ষতি করে ফেলেছেন বাংলাদেশের। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ ব্যাপারেও দৃষ্টি আর্কষণ করছি।

সোনারগাঁও উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিল্লাল হোসেনের নানির ইন্তেকাল

সোনারগাঁও উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিল্লাল হোসেনের নানির ইন্তেকাল
জসিম উদ্দিনঃ সোনারগাঁও উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিল্লাল হোসেনের নানির ইন্তেকাল
জানা গেছে সোনারগাঁও উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নে ইলিয়াসদি গ্রামের  ফজলুল করিম মোল্লার স্ত্রী আছিয়া বেগম ইন্তেকাল করেছেন। ১৮ জুলাই রাত  ৮ টা ৩০ মিনিটে  রাজধানীর ইবনেসিনা হাসপাতালে ধানমন্ডি  চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মুত্যুকাল তার বয়ষ হয়েছিল (৭৫) বছর।

তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সোনারগাঁও উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিল্লাল হোসেন।
আছিয়া বেগম ১৩ তারিখ থেকে শারীরিক অসুস্থায় ভুগছিলেন।
মৃত্যুকালে তিনি  ৬ ছেলে ও ১ মেয়ে সন্তান রেখে গেছেন। তার নাতি  বিল্লাল হোসেন জানান  সকাল ৮ টায় দরিকান্দি স্কুল মাঠে জানাযা শেষে  দরিকান্দি কবরস্থানে দাফন করা হবে।
তার মৃত্যুতে গভির শোক প্রকাশ করেছেন সোনারগাঁও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাসান রাসেদ।

সোনারগাঁয়ে স্কুলের খেলার মাঠে ভবন নির্মাণে এলাকাবাসীর সাথে নিষেধাজ্ঞা দিলেন এমপি খোকা

সোনারগাঁয়ে স্কুলের খেলার মাঠে ভবন নির্মাণে এলাকাবাসীর সাথে নিষেধাজ্ঞা দিলেন এমপি খোকা
জসিম উদ্দিনঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে কয়েকশত বছরের পুরনো ঐতিহাসিক খেলার মাঠ দখল করে স্কুলের ভবন নির্মান করতে নিষেধ করলেন এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা।
এক সময়ের মোগরাপাড়া এইচ.এস.জি.জি স্মৃতি বিদ্যায়তন বর্তমান মোগরাপাড়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে স্কুলের ভবন নির্মাণের কাজ করার জন্য নির্ধারিত স্থানে ইট বালি ও নির্মান সামগ্রী নিয়ে পায়তারা করছে একটি মহল। শতবছরের ঐতিহ্য খেলার মাঠ রক্ষার্থে ফুঁসে উঠেছেন এলাকার উদীয়মান ক্রিকেট ও ফুটবল খেলোয়ারসহ যুব সমাজ।
১৮ জুলাই (বৃহস্পতিবার) দুপুরে মোগরাপাড়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ভবন নির্মাণের কাজ উদ্বোধন করতে যান স্থানীয় সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা ও সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকার।
স্থানীয়দের মধ্যে ক্রিকেট ও ফুটবল প্রেমী রনি,মেহেদি,পরাগ, তানভির, রোমান, তৌফিক ও সুজনের নেতৃত্বে এলাকার সাধারণ জনগণ সংসদ সদস্য ও নির্বাহী কর্মকতাকে গিরে ধরেন এবং বিনয়ের সহিত তাদের খেলার মাঠটি উদ্ধার করার জন্য অনুরোধ করেন।
এলাকাবাসী জানান, মোগরাপাড়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মজিবুর রহমানের স্বেচ্ছাচারিতায় ঐতিহ্যবাহী খেলার মাঠে ভবন নির্মাণ করতে চাইছে গভর্নিং বডি/একটি মহল।
কার অনুমিত নিয়ে শত বছরের পুরানো খেলার মাঠে ভবন নির্মান করছেন উত্তরে প্রধান শিক্ষক মজিবুর রহমান পাশ কেটে যান।
এদিকে স্থানীয় এলাকার যুবসমাজ তাদের একমাত্র খেলার মাঠটিকে স্কুল ভবন তৈরি করতে দিবেনা এই স্লোগান দেন জাতীয় সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা এমপির সামনে।
স্থানীয় সংসদ সদস্যের সামনে প্রধান শিক্ষক মজিবুর রহমান বলেন আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানিনা।
সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা ও নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকার বিষয়টি বুঝতে পেরে খেলার মাঠের পাশেই সরকারি খাস জায়গা আছে প্রয়োজনে সেখানে আপনারা স্কুল ভবন নির্মান করেন এই বলে খেলার মাঠে ভবণ নির্মাণ করতে নিষেধ করেন তিনি।
খাস জমিতে মাটি ভরাটের জন্য প্রাথমিকভাবে এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা অনুদান হিসেবে নগদ ১ লাখ টাকা দেন এবং তিনি বলেন আগামীকাল থেকেই বালু ভরাটের কাজ শুরু করা হোক।
এ সময় ফুটবল ও ক্রিকেট প্রেমিসহ এলাকার সাধারণ জনগন সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা ও নির্বার্হী কর্মকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতার সহিত ধন্যবাদ জানান ও মিষ্টিমুখ করান।

সোনারগাঁয়ে বাল্যবিয়ে নিবন্ধণের দায়ে কাজী ও ৩ সহযোগীর কারাদন্ড

সোনারগাঁয়ে বাল্যবিয়ে নিবন্ধণের দায়ে কাজী ও ৩ সহযোগীর কারাদন্ড

জসিম উদ্দিনঃ সোনারগাঁ উপজেলায় বাল্যবিয়ে নিবন্ধণের দায়ে কাজীসহ ৩ সহযোগীর বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত।
 

আজ {১৭ জুলাই} সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকার এ আদালত পরিচালনা করে তাদের কারাদন্ড প্রদান করেন।
 

উপজেলা সূত্রে জানা যায় , মঙ্গলবার রাতে শরিয়তপুর থেকে ৯ম শ্রেনীতে পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রী (১৩)  কে বাড়ি থেকে পালিয়ে নিয়ে এসে মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুর এলাকার একটি ছেলে সোনারগাঁ উপজেলার কাচঁপুরে নিয়ে আসে।
 

ছেলেটি যাত্রীবাহি বাসে হেলপার হিসেবে কাজ করে এবং কাঁচপুর এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকে। সে মেয়েটিকে তার বাসা বাড়িতে এনে স্থানীয় কাজী হাবিবুর রহমানের কাজী অফিসে নিয়ে বিয়ে করে।
 

এমন সংবাদের ভিত্তিতে কাঁচপুর বাজারে কাজী অফিসে অভিযান চালিয়ে হাবিবুর রহমান তার সহযোগী কাউসার গাজী একই এলাকার সফিকুল ও আতাউরসহ মেয়েটিকে হাতে নাতে আটক করে পুলিশ। পরে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে কাজী হাবিবুর রহমানকে ১ বছর, তার সহযোগী আতাউরকে ০১ বছর, কাউসার গাজীকে ৬ মাস, ও সফিকুল নামের এক সহযোগীকে ১ বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়
 

শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে সোনারগাঁয়ে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে সোনারগাঁয়ে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ
জহির উদ্দিনঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে হোসেনপুর এস.পি ইউনিয়ন ডিগ্রী কলেজের দুইজন শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর প্রতিবাদে কলেজের শিক্ষার্থীরা আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে কলেজের প্রধান ফটকের সামনের সড়ক অবরোধ করে।
ভুক্তভোগী শিক্ষকরা হলে আব্দুল গনি ও মো. নাছির উদ্দিন।তাঁরা দুজনই কলেজের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। তাঁদের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সম্ভুপুরা ইউনিয়নের মুগারচর এলাকায় সহকারী অধ্যাপক আব্দুল গনির সাথে অতিরিক্ত ভাড়া চাওয়া নিয়ে স্থানীয় অটোরিক্সা চালক মোঃ রাজা মিয়ার কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় অপর শিক্ষক মোঃ নাছির উদ্দিন এর প্রতিবাদ করলে রাজা মিয়া তাদেরকে অপমানজনক অকথ্য ভাষায় কথা বলে। একপর্যায়ে দুজনকেই শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। অটোরিক্সা চালক মোঃ রাজা মিয়া মুগারচর নিবাসী মোহাম্মদ আলীর ছেলে। ঘটনার সময় তার আরো দুইজন সহযোগীও উপস্থিত ছিল বলে জানান কলেজ কর্তৃপক্ষ।

এ ঘটনার প্রতিবাদে কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু করেন। ১১টা থেকে কলেজের প্রধান ফটকের সামনের সড়ক অবরোধ করেন। পরে তাঁরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। কলেজের ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলেও শিক্ষার্থীরা আন্দোলন অব্যাহত রাখেন।
পরে খবর পেয়ে পরিদর্শনে আসা সোনারগাঁ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রুস্তম আলী ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের বিচারের আশ্বস্থ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নেন।

এ বিষয়ে জানতে হোসেনপুর  কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ জানান, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক, আমরা প্রশাসনিকভাবে সভা করেছি। কলেজ কমিটির সভায় চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সোনারগাঁয়ে রবি’র এরিয়া ম্যানেজার (সামস আবু সুমেন) পরকীয়ায় আপত্তিকর অবস্থায় স্থানীয়দের হাতে আটক

সোনারগাঁয়ে রবি’র এরিয়া ম্যানেজার (সামস আবু সুমেন)  পরকীয়ায় আপত্তিকর অবস্থায় স্থানীয়দের হাতে আটক


হাসান খানঃ নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁও উপজেলার দমদমা গ্রামে আপত্তিকর অবস্থায় রবি’র এরিয়া ম্যানেজার (সামস আবু সুমেন)সেলিনা নামক মেয়েকে আটক করেছেন স্থানীয়রা। মঙ্গলবার ১৬ জুলাই ভোরবেলা দমদমা গ্রামের পাপ্পুর বাড়ির ৩য় তলা ফ্লাটের ভাড়াটিয়া সামস আবু সুমেনের ঘর থেকে তাদেরকে আটক করে ।

স্থানীয়রা জানান,সামস আবু সুমেন ৫ বৎসর যাবত সোনারগাঁয়ে রবি’র এরিয়া ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন এবং সুমেন বিবাহিত তার একটি মেয়ে সন্তান ও আছে.

এলাকাবাসী জানান দীর্ঘদিন ধরে ওই মেয়ের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন ওই এরিয়া ম্যানেজার। মঙ্গলবার রাতে সেলিনা তার বাড়ীতে দেখা করতে আসলে এলাকাবাসী টের পেয়ে ভোরবেলা বাড়ির ভেতরে ঢুকে তাদের আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে ।

রহস্যজনকভাবে তিনি মেয়েটিকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেন। তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টায় মেবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
এলাকাবাসী সজল , কামাল, আরিফ, সুফিয়া বেগম সহ  ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন সুমেনের স্ত্রী সন্তান ঢাকায় থাকার কারনে ,অবহেলার স্বীকার হয়ে পরনারীর প্রতি আকৃষ্ট হয়েছেন।

সোনারগাঁয়ে গ্যাসের লাইজারের আগুনে পরিবারের স্বপ্ন পুড়ে ছাই

সোনারগাঁয়ে গ্যাসের লাইজারের আগুনে পরিবারের স্বপ্ন  পুড়ে ছাই
জসিম উদ্দিনঃ সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের বন্ধেরা গ্রামে গ্যাস রাইজার বিস্ফোরনে দুটি বসত ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে ঘরে থাকা ৩ লাখ টাকার আসবারপত্র ক্ষতি সাধন হয়েছে। এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

আগুনে পুড়ে যাওযা বাড়ীর মালিক জহিরুল ইসলাম জানান  , গতকাল রাত ১১টার দিকে মোগরাপাড়া ইউপির ছোট সাদিপুর হাফেজিয়া মাদ্রসার পিছনে বন্ধেরা গ্রামে বৃষ্টির সময় হঠাৎ একটি গ্যাস রাইজারে আগুনের সুত্রপাত ঘটে। মুহুর্তের মধ্যে আগুন পাশের একটি টিনসেট ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ঘরের লোকজন নিরাপদে বেরিয়ে আসতে পারলেও ঘরে থাকা ৩ লাখ টাকার আসবারপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তিনি আরো জানান, তার আর্থিক অসচ্ছলতার কারনে শেষ সম্ভল একটি বাড়ি হারিয়ে ছেলে মেয়ে নিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন। এজন্য তিনি সরকারের কাছে সাহায্য কামনা করেছেন।

৩ দিন ধরে দৈনিক আলোচিত কন্ঠের সোনারগাঁ প্রতিনিধি সাংবাদিক রাসেল নিখোঁজ

৩ দিন ধরে দৈনিক আলোচিত কন্ঠের সোনারগাঁ প্রতিনিধি  সাংবাদিক রাসেল নিখোঁজ
জহির উদ্দিনঃ সোনারগাঁয়ে  দৈনিক আলোচিত কন্ঠের সোনারগাঁ প্রতিনিধি রাসেদুল ইসলাম রাসেল গত ১০ জুলাই ব্যবসার কাজে বের হয়ে অধ্যাবধি ফিরে আসে নাই। তার কোন সন্ধান না পেয়ে তার স্ত্রী আসমা আক্তার গতকাল রাতে সোনারগাঁ থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করেছেন।

রাসেলের স্ত্রী আসমা আক্তার জানান, তার স্বামী রাসেল সাংবাদিকতার পাশাপাশি কাঠ ও তৈরি পোশাকের ব্যবসা করেন। ১০ জুলাই সকালে বরিশাল থেকে কাঠ কেনার উদ্যেশে সকাল বেলা নিজ বাড়ি থেকে রওনা দেন। রাসেলের সাথে শেস কথা হয় ১১ জুলাই রাত ৮টায়। রাসেল ফোনে জানায় একটু পরে বাড়ির উদ্যেশে বাসে উঠছি।১২ তারিখ সকালে বাড়ি পৌছাতে পারব।যথাসময়ে বাড়িতে ফিরে না আসায় তাহার স্ত্রী ও আত্মীয়স্বজন রাসেলের ব্যবহৃত ফোন নাম্বারে (০১৯১৩ ৭৬৩৪৫১, ০১৬৮৫ ১৭১৫০৯, ০১৮১৬ ৭৬৫৩০২) ফোন করলে দুটি নাম্বার বন্ধ দেখায়। একটি নাম্বারে ((০১৯১৩ ৭৬৩৪৫১) রিং হলেও তা রিসিভ করেনি। বর্তমানে তার সব কটি নাম্বার বন্ধ আছে। পরিবারের ধারনা, সে মলম পার্টি কিংবা হাইজ্যাকার  অথবা অপহৃত হয়েছে।

নিখোঁজ সাংবাদিক রাসেলের স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যরা জানান, যদি কোন সহৃদয়বান তার খোঁজ পেয়ে থাকেন তবে দয়া করে ( ০১৪০৩ ৮৭৮০০৬ / ০১ ) যোগাযোগ করবেন।
 

প্রধানমন্ত্রীর হাতের ছোঁয়া হারাতে চায় না সোনারগাঁয়ের ভট্টপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

প্রধানমন্ত্রীর হাতের ছোঁয়া হারাতে চায় না সোনারগাঁয়ের ভট্টপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

জসিম উদ্দিনঃ
সোনারগাঁয়ে আফনান নূর নিহা ভট্টপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেনির তিতাস শাখার শিক্ষার্থী। জুলাই মাসের ৪ তারিখ থেকে কেমন জানি আনমনা হয়ে থাকে নিহা। বঙ্গবন্ধুর গৌরবগাঁথা ইতিহাস, প্রধানমন্ত্রীর সোনার বাংল  গড়ার কৃতিত্বের ইতিহাস জানতে চায়। বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর জীবনী শুনে তার চোখের পানি বেরিয়ে আসে। চোখে পানি কেন জানতে চাইলে অঝড় ধারায় কাঁদতে থাকে। সে জানায়, যে পোশাকে বঙ্গবন্ধুর কণ্যার হাতের ছোঁয়া আছে সে পোশাক বাদ দিয়ে তাদের বিদ্যালয়ে নতুন পোশাক আসছে এতে সে খুব কষ্ট পাচ্ছে।


পরে সে বিদ্যালয়ে এসে বন্ধুদের কাছে খোলা চিঠি লিখে তার মনের অনুভ’তি জানায়। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার প্রতি কোমলমতি শিশুদের ভালবাসা সবাইকে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ করে, যে পোশাকে বঙ্গবন্ধু কন্যার হাতের ছোঁয়া আছে, সে পোশাক কখনো গা থেকে নামাবে না। শুরু হয় শিক্ষার্থী অভিভাবকদের যুদ্ধ। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের মাস থেকে পড়ে আসা নীল-সাদা পোশাকের উপর প্রধানমন্ত্রীর আদরে ছোঁয়া ও ভালবাসা প্রবাহমান রাখতে স্থানীয় সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকা, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকার, শিক্ষা অফিসার নিখিল চন্দ্র বিশ্বাস, কাউন্সিলর ফারুক আহমেদ তপন ও সাংবাদিকদের বরাবর স্বারক লিপি প্রদান করে। নতুন পোশাকের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন অধিকাংশ অভিভাবক।
গতকাল সরেজমিন বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কোন রকম মতবিনিময় না করে বিদ্যালয়ের পরিচালনা সভাপতি আবু নাইম ইকবাল এককভাবে ড্রেস পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেন।
আফনান নূর নিহা ও অন্যান্যরা জানান, ২০১৫ সালে সুন্দর হাতের লেখা ও গল্প লেখার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। যখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে নীল-সাদা ড্রেসে পুরস্কার আনতে যায়, তখন প্রধানমন্ত্রী তাকে অনেক আদর করেছে। মাথায়,কপালে ও ড্রেসে হাত বুলিয়ে দিয়েছে। তাই এ পোশাকে প্রধানমন্ত্রীর হাতের ছোয়া লেগে আছে। আরো জানার, আমরা এ পোশাক পড়ে একদিন দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে চাই।
নামপ্রকাশ অনিচ্ছুক একজন অভিভাবক জানান, অধরা প্রমানমন্ত্রীর নিকট হতে পুরস্কার গ্রহনকরার পর থেকে একটি চক্র ২০১৬ সাল থেকেই পোষাক পরিবর্তন করতে চাচ্ছিল। কিন্তু তৎকালিন প্রধান শিক্ষক ওয়াহিদুজ্জামান ও নিবার্হী কর্মকর্তা শাহীনুর ইসলামের বাঁধার কারনে তা বাস্ততবায়ন করতে পারেনি। চক্রটি পরিকল্পিতভাবে তৎকালিন প্রধান শিক্ষককে অন্যত্র বদলী করে পরে নতুন ইউএনও আসার পর তারা আবার সক্রিয় হয়ে পোশাক পরিবর্তনের ঘোষনা দেন। আর নতুন পোষাক বাস্তবায়নের দায়িত্ব নেন বর্তমান প্রধান শিক্ষক রেহেনা বিলকিস।
এ ব্যাপারে অভিভাবক কমিটির সদস্য ও স্থানীয় কাউন্সিলর ফারুক আহমেদ তপন জানান, একটি বিদ্যালয়ের ইউনিফর্ম পরিবর্তন হচ্ছে আমি তা জানতে পারলাম শিক্ষার্থীদের স্বারক লিপি পড়ে। এটা সত্যিই দুঃখজনক।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার নিখিল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, যদি ড্রেস পরিবর্তন করতে হয় তবে সকল শিক্ষক ও অভিভাবক কমিটির সদস্যদের সাথে আলোচনা করে সর্বসম্মতিক্রমে  সরকারকে জানাতে হবে। পরে অভিভাবকদের ড্রেসের ব্যাপারে জানিয়ে দিবে। তবে বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর ছোঁয়া যে ড্রেসে আছে সেই ড্রেস তারা পরিবর্তন করতে চায় না।
চতুর্থ শ্রেনির একজন শিক্ষার্থীর দেয়া স্বারক।

স্বারক লিপিতে স্থানীয় সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকা, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা মোশারফ হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকার, উপজেলা শিক্ষা অফিসার নিখিল চন্দ্র বিশ্বাস, স্থানীর পৌর কাউন্সিলর ও বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সদস্য ফারুক আহমেদ তপন ও উপজেলা প্রেসক্লাব বরাবর লিখিত ভাবে ভট্টপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আগের পোষাক রাখার জন্য আবেদন করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকার জানান, এ ব্যাপারে স্বারক লিপি পেয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, শিক্ষা অফিসারের সাথে কথা বলেছি। যদি কারো আপত্তি থাকে তাহলে যেন স্কুল ড্রেস পরিবর্তন করা না হয়।